ETV Bharat / state

টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নামে কোটি টাকার প্রতারণা, অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপি'র রাজ্য সম্পাদক

টেন্ডাল পাইয়ে দেবেন বলে বিপুল টাকা জালিয়াতি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৷ দু'জনেই গ্রেফতার ৷

Accused BJP Leader Nabarun Nayak
(বাঁদিক থেকে ঘড়ির কাঁটা অনুযায়ী) তমলুক থানার সামনে বিজেপি নেতা নবারুণ নায়েক, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিজেপি নেতা এবং রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে তিনি (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 3 hours ago

তমলুক, 26 নভেম্বর: কেন্দ্রীয় সরকারের টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক ব্যক্তির কাছ থেকে এক কোটি 60 লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক নবারুণ নায়ক ও তাঁর স্ত্রী তনুশ্রী রায় নায়েক ৷ এরপর প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হল নবারুণ ও তাঁর স্ত্রী ৷ বিজেপি নেতা নবারুণ নায়েক-সহ ছ'জনের বিরুদ্ধে তমলুক থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছিল ৷ এদিকে তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ছবি সামনে এসেছে ৷

সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদও চলছিল দীর্ঘদিন ধরে । অবশেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তমলুক থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তথা বিজেপি তমলুক সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি নবারুণ নায়েক ও তাঁর স্ত্রী তনুশ্রী রায় নায়ক ৷ এই টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় অসমের চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ৷

টেন্ডাল পাইয়ে দেবেন বলে বিপুল টাকা জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপি নেতা নবারুণ নায়েক ও তাঁর স্ত্রী (ইটিভি ভারত)

কলকাতার গড়িয়ার ঠিকাদার বিশ্বজিৎ দত্ত ও তাঁর সহযোগী ঠিকাদার ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা ভাস্কর মণ্ডল দু'জন বুঝতে পারেন তাঁরা টেন্ডার নিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ৷ তখনই তাঁরা তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নবারুণ নায়েককে তমলুক থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় ৷ কিন্তু তিনি তা এড়িয়ে যান বলে অভিযোগ ৷

এদিন চতুর্থ বার পুলিশি জেরার মুখোমুখি হন বিজেপি নেতা ও তাঁর স্ত্রী ৷ তখনই একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে ৷ এরপরই সন্ধ্যায় তমলুক থানা বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নবারুল নায়ক ও তার স্ত্রী তনুশ্রী নায়ককে গ্রেফতার করে ।

সূত্রে জানা যায়, অসমে কম্বল সরবরাহের নাম করে 1 কোটি 60 লক্ষ টাকার কমিশন নিয়েছিলেন বিজেপি নেতা নবারুণ ৷ নথি জালিয়াতি করে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর নামে ৷ এই মর্মে এফআইআর দায়ের হয়েছিল তমলুক থানায় ৷ তাঁর নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছিলেন নবারুণ ৷

তমলুক নগর মণ্ডলের সভাপতি বলেন, "আমি এই বিষয়টি জানি না ৷ তবে বিজেপি এধরনের কাজকর্মে প্রশ্রয় দেয় না ৷ অভিযোগ প্রমাণিত হলে দল যথাযথ ব্যবস্থা নেবে ৷" অন্যদিকে তৃণমূল নেতা পার্থসারথি মাইতি বলেন, "বিজেপির সব নেতারাই দুর্নীতিগ্রস্ত, এমনকি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তিনিও দুর্নীতিগ্রস্ত ৷ পরে সব সামনে আসবে ৷"

তমলুক, 26 নভেম্বর: কেন্দ্রীয় সরকারের টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক ব্যক্তির কাছ থেকে এক কোটি 60 লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক নবারুণ নায়ক ও তাঁর স্ত্রী তনুশ্রী রায় নায়েক ৷ এরপর প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হল নবারুণ ও তাঁর স্ত্রী ৷ বিজেপি নেতা নবারুণ নায়েক-সহ ছ'জনের বিরুদ্ধে তমলুক থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছিল ৷ এদিকে তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ছবি সামনে এসেছে ৷

সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদও চলছিল দীর্ঘদিন ধরে । অবশেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তমলুক থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তথা বিজেপি তমলুক সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি নবারুণ নায়েক ও তাঁর স্ত্রী তনুশ্রী রায় নায়ক ৷ এই টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় অসমের চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ৷

টেন্ডাল পাইয়ে দেবেন বলে বিপুল টাকা জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপি নেতা নবারুণ নায়েক ও তাঁর স্ত্রী (ইটিভি ভারত)

কলকাতার গড়িয়ার ঠিকাদার বিশ্বজিৎ দত্ত ও তাঁর সহযোগী ঠিকাদার ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা ভাস্কর মণ্ডল দু'জন বুঝতে পারেন তাঁরা টেন্ডার নিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ৷ তখনই তাঁরা তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নবারুণ নায়েককে তমলুক থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় ৷ কিন্তু তিনি তা এড়িয়ে যান বলে অভিযোগ ৷

এদিন চতুর্থ বার পুলিশি জেরার মুখোমুখি হন বিজেপি নেতা ও তাঁর স্ত্রী ৷ তখনই একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে ৷ এরপরই সন্ধ্যায় তমলুক থানা বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নবারুল নায়ক ও তার স্ত্রী তনুশ্রী নায়ককে গ্রেফতার করে ।

সূত্রে জানা যায়, অসমে কম্বল সরবরাহের নাম করে 1 কোটি 60 লক্ষ টাকার কমিশন নিয়েছিলেন বিজেপি নেতা নবারুণ ৷ নথি জালিয়াতি করে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর নামে ৷ এই মর্মে এফআইআর দায়ের হয়েছিল তমলুক থানায় ৷ তাঁর নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছিলেন নবারুণ ৷

তমলুক নগর মণ্ডলের সভাপতি বলেন, "আমি এই বিষয়টি জানি না ৷ তবে বিজেপি এধরনের কাজকর্মে প্রশ্রয় দেয় না ৷ অভিযোগ প্রমাণিত হলে দল যথাযথ ব্যবস্থা নেবে ৷" অন্যদিকে তৃণমূল নেতা পার্থসারথি মাইতি বলেন, "বিজেপির সব নেতারাই দুর্নীতিগ্রস্ত, এমনকি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তিনিও দুর্নীতিগ্রস্ত ৷ পরে সব সামনে আসবে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.