কলকাতা, 21 জুন: রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় 2013 সালের জমি অধিগ্রহণ আইনের শর্ত না-মেনে ওই প্রকল্পে জমি নেওয়া হয়েছে ৷ এছাড়াও এই প্রকল্পের জন্য পরিবেশের কোনও ছাড়পত্র নেওয়া হয়নি । আদিবাসীদের জমি ও ফরেস্ট ল্যান্ড নেওয়া হচ্ছে বিধি না-মেনেই, এই অভিযোগে প্রসেনজিৎ বসু নামে এক ব্যক্তি মামলা করেন কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। রাজ্যকে দু'সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট । তার এক সপ্তাহের মধ্যে মামলাকারীকে এর উত্তর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত । 18 জুলাই ফের শুনানির জন্য মামলাটি রাখা হয়েছে ।
মামলাকারীর আইনজীবী ঝুমা সেন বলেন, "জমি অধিগ্রহণে এবং ক্ষতিপুরণে স্বচ্ছতা থাকা জরুরি । এটা একটা ক্যাটেগরি-এ প্রজেক্ট । পরিবেশে দফতরের 2016 আইন অনুযায়ী অনুমতি লাগে । জমি যাতে অধিগ্রহণ আর না করা হয় সেই নির্দেশ দিক আদালত । কারণ একটা মেমোরান্ডাম দিয়ে প্রজেক্ট করা হচ্ছে । এটা আদিবাসী অধ্যুষিত এরিয়া । 2013 সালের জমি অধিগ্রহণ আইন লাগুই করা হয়নি । আরটিআই করা হয়েছিল ৷ সেখানে জানতে চাওয়া হয়েছিল সোশ্যাল অ্যাসেসমেন্ট হয়েছিল কি না । কিন্ত জানোনো হয়, করা হয়েছে তবে জানানো যাবে না । বর্তমানে জমি অধিগ্রহণে এলাকার সাধারণ মানুষের মতামত খুবই গুরুত্বপূর্ণ । "
রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) বলেন, "জমি নেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষের সন্মতিতে । 2013 সালের অ্যাক্টে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে রাজ্যের কোথাও বাধার কথা বলা হয়নি । জমি অধিগ্রহণ আইনের সেকশন 108 অনুযায়ী জমি পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ক্ষতিপুরণ দেবে, পুনর্বাসন ব্যবস্থা করবে ।" তিনি আরও বলেন, "সারা দেশে কোল বেসড পাওয়ার প্লান্ট বানানো এখন এমনিতে অনেক সমস্যার । কেন্দ্র সরকার এই কোল বেসড পাওয়ার প্লান্ট বানানোয় সন্মতি দিয়েছে । "
আরও পড়ুন : Primary Recruitment Scam : মানিক ভট্টাচার্যের সম্পত্তির হিসাব চাইল হাইকোর্ট
ওয়েস্ট বেঙ্গল পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের (West Bengal Power Development Corporation Limited) তরফে আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্র বলেন, "2145টি ফ্যামিলি সহমত দিয়েছে । ফলে এই মামলার কোনও গ্রাউন্ড নেই ।"