কলকাতা, 30 মার্চ : দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে একান্তে বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে (Locket Meets Nadda in Delhi)। তাহলে কী রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতেই লকেট চট্টোপাধ্যায় জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করলেন? কারণ, বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি নিয়ে তিনি ঘনিষ্ঠমহলে একাধিকবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। এমনকী নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণার পর দলীয় কোনও কর্মসূচিতেই তাঁকে দেখা যায়নি।
উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে সংগঠনের কাজ করেছেন। কিন্ত 5 রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে এসেই বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতা সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, রীতেশ তেওয়ারির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেটা নিয়েও বিজেপির অন্দরে প্রবল সমালোচনা হয়। দলের অনুমতি ছাড়া তিনি কেনও এই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। বিজেপির তারকা প্রার্থীদের তালিকায় তাঁর নাম না থাকার জন্য রাজ্য নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন। বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠকে সাধারণ সম্পাদক(সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন। রাজ্যের সাংগঠনিক পরিবর্তনে কাজের লোককে বাদ দিয়ে কাছের লোককে বসানোরও অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ত, বৃহস্পতিবার বঙ্গ বিজেপির সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক স্থগিত
আজ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে এই বৈঠক খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তাহলে কী অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে কোনও নালিশ জানালেন লকেট চট্টোপাধ্যায়? তিনি রাজ্য বিজেপির সংগঠনে কী কোনও বদলের দাবি জানালেন? নাকি সায়ন্তন বসু ও রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সিনিয়র নেতৃত্বকে ফের কাজে লাগানোর জন্য জেপি নাড্ডার কাছে আবেদন করলেন। সেটা এখন বড় প্রশ্ন। যদিও এই বিষয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এটি একেবারেই সৌজন্য সাক্ষাৎ। আমি উত্তরাখণ্ডের দায়িত্বে ছিলাম। সেই বিষয় নিয়েই কথা হয়েছে। তবে, বাংলার বেশকিছু বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে ৷"