কলকাতা, 22 নভেম্বর : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সান্ধ্য শাখার অস্তিত্ব 2012 সালে বিপন্ন হয়েছিল । বহু লড়াইয়ের পর 2017 সালে ছাত্র ইউনিয়নের চেষ্টায় ফিরিয়ে আনা হয় । কিন্তু, কয়েক বছর না যেতেই ফের অস্তিত্ব হারানোর সম্মুখীন হয় । বিগত কয়েকমাস ধরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যে, বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে ইতিহাসে স্নাতকোত্তরের সান্ধ্য কোর্স । সেই গুঞ্জন শোনা যেতেই প্রতিবাদে সোচ্চার হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (AFSU)। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ইতিহাস বিভাগের সান্ধ্য শাখা বন্ধ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় আর্টস ফ্যাকাল্টির অ্যাডমিশন কমিটি । আগামীকাল আর্টস ফ্যাকাল্টির অন্যান্য বিভাগে স্নাতকোত্তর কোর্সে ভরতি প্রক্রিয়ার সঙ্গে সান্ধ্য শাখাতেও ভরতি প্রক্রিয়া শুরু করা হবে ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্ট ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শুভায়ন আচার্য মজুমদার জানান, "কয়েকমাস আগে জানা যায় ইতিহাসের সান্ধ্য শাখা বন্ধ করে দিতে চাইছে ইতিহাস বিভাগ । বিভাগের বক্তব্য, যে সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন তাতে তাঁদের পক্ষে সান্ধ্য শাখায় পড়ানো সম্ভব নয় । বিষয়টি সামনে আসতে প্রতিবাদে সোচ্চার হয় আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন । দফায় দফায় বিক্ষোভ-অবস্থান করেন তাঁরা । প্রথমে ইতিহাস বিভাগ রাতে তাঁদের সিদ্ধান্ত বদল করে সেই চেষ্টা করেন AFSU-র সদস্যরা । কিন্তু, তাতে লাভ না হওয়ায় উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের দারস্থ হন তাঁরা ।" জানা গেছে, উপাচার্যও সান্ধ্য শাখা বন্ধ হোক তা চাইছিলেন না । গোটা বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিনি । সেখানেই সান্ধ্য শাখা চালু রাখা ও তার দেখভাল করার জন্য একজন কো-অর্ডিনেটর নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । গঠন করা হয় একটি অ্যাকাডেমিক অ্যাডভাইজ়ারি কমিটি । অ্যাডমিশন কমিটির এই সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য বোর্ড অফ স্টাডিজ়ের কাছে পাঠানো হবে । সেই অনুমোদন পেলে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে ফের সফল হবে ইতিহাসের সান্ধ্য শাখা ।
AFSU-র সাধারণ সম্পাদক শুভায়ন আচার্য মজুমদার বলেন, "ইতিহাসের সান্ধ্য শাখা বন্ধ করে দিতে চাইছিল বিভাগ । তাঁরা বলছিল, আমাদের আর পড়ানোর ক্ষমতা নেই । আগামীকাল থেকে যে অ্যাডমিশন প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে তাতেও ইতিহাসের সান্ধ্য শাখাকে বাদ রাখার ভাবনাচিন্তা করেছিল । আমরা বারবার দাবি জানাই, এই ইভনিং কোর্সটা বন্ধ করা যাবে না । প্রয়োজনে আরও শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে । আমাদের সেই দাবির লড়াইয়ে সফল হওয়ায় আমরা খুব খুশি ।"