টিকিয়াপাড়া , ২৯ এপ্রিল : রাজ্যের রেড জ়োনগুলিতে আরও কড়াকড়ি করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা । লকডাউন যাতে কেউ অমান্য করতে না পারে তাই প্রতিনিয়ত চলছে কড়া নজরদারি । কিন্তু, তারপরও মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছেন । গতকাল বিকেলে টিকিয়াপাড়ায় পুলিশ এবং আইন অমান্যকারী যুবকদের খন্ডযুদ্ধ মনে করিয়ে দিল সেই চিত্রটাই ৷ এই ঘটনার পর, রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক দপ্তর নবান্ন থেকে নির্দেশ আসে বিষয়টিকে কড়া ভাবে মোকাবিলা করার। সেই মতেই আজ পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া থেকে শুরু করে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ ও মহিলা পুলিশকর্মীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ, এরকমই একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নামল হাওড়া পুলিশ। ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে ১৪ জনকে ।
ঘটনার সূত্রপাত গতকাল । কাল বিকেলে টিকিয়াপাড়ার বাজার এলাকায় বেশ কয়েকজন যুবকদের অকারণে ঘোরাঘুরি করতে দেখে কর্তব্যরত পুলিশ ৷ তাদেরকে বাধা দেয় ৷ যুবকরা প্রথমে পুলিশের সঙ্গে বচসা করে । তারপর শুরু করে হাতাহাতি । পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটও ছোড়ে তারা । ভাঙচুর চালায় পুলিশের গাড়িতেও । পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে থাকায় সামাল দিতে এলাকায় RAF নামানো হয় । টিকিয়াপাড়ার বেলিলিয়াস রোড, গঙ্গারাম বৈরাগী লেন ও জোলাপাড়া মসজিদ লেন-সহ একাধিক জায়গাকে সংক্রমিত এলাকা হিসেবে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে প্রশাসন । এই কারণে এই সমস্ত এলাকাগুলিকে সম্পূর্ণ লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে । পুলিশের তরফে বাড়ানো হয়েছে নজরদারিও ।
এই বিষয়ে হাওড়া পুলিশের ডেপুটি কমিশনার(সেন্ট্রাল) জবি থমাস জানান, "আমরা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। ইতিমধ্যেই আমরা রাতে রেইড করেছি টিকিয়াপাড়া এলাকা। তাতে সন্দেহজনক ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে । তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে পুলিশ আধিকারিকদের মত, "এই ১৪ জনের পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে । ইতিমধ্যেই তাদের খোঁজে শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে আজও একইভাবে ওই এলাকায় বিরাট পুলিশ বাহিনী দিয়ে পেট্রোলিং এর কাজ করানো হতে পারে ৷ লকডাউন ভাঙছেন এমন কাউকে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হাওড়া পুলিশ ৷ "
উল্লেখ্য, লকডাউন সফল করতে গিয়ে গতকাল আক্রান্ত হন কয়েকজন পুলিশকর্মী। সেই সঙ্গে পুলিশের গাড়ি এবং ফাঁড়ি ভাঙচুর করে বেশ কিছু উত্তেজিত জনতা। তাদেরই ছোড়া ইটের আঘাতে জখম হন চার পুলিশ কর্মী। এরপর এই রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক দপ্তর নবান্ন থেকে নির্দেশ আসে বিষয়টিকে কড়া ভাবে মোকাবিলা করার। সেই নির্দেশ মাফিক একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করছে হাওড়া পুলিশ।