ETV Bharat / briefs

"এরপর সবাই বাঁচাল বলবে" মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ বামেদের - CPI(M)

বামফ্রন্ট সরকারের সময় রাজ্যের বিদ্যুৎবণ্টন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল বলে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী সেভ লাইফ, সেফ ড্রাইভের এক সরকারি অনুষ্ঠানে দাবি করেন। তারপরই CPI(M)পলিটব্যুরো সদস্য সুজন চক্রবর্তী এবং মহম্মদ সেলিম মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিক ইশুতে আক্রমণ করেন।

Cpim
Cpim
author img

By

Published : Jul 9, 2020, 1:47 PM IST

কলকাতা,9 জুলাই : মুখ্যমন্ত্রী সেভ লাইফ, সেফ ড্রাইভের এক সরকারি অনুষ্ঠানে গতকাল দাবি করেছিলেন বামফ্রন্ট সরকারের সময় রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল। এই প্রসঙ্গে পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী অভিযোগ করে বলেন, “রাজ্যের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিয়ে সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী অসত্য কথা বলেছেন ।” অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে শ্রমিক বিরোধী আখ্যা দিয়েছেন CPI(M)পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম।

গতকাল মুখ্যমন্ত্রী সেভ লাইফ, সেফ ড্রাইভের এক সরকারি অনুষ্ঠানে দাবি করেছেন বামফ্রন্ট সরকারের সময় রাজ্যের বিদ্যুৎ বন্টন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল। এই প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, রাজ্যের মানুষ জানেন বামফ্রন্ট সরকারের সময় রাজ্যজুড়ে বিদ্যুতায়নের কাজ হয়েছিল। এখন আকাশছোঁয়া বিদ্যুতের দাম। সব কল-কারখানা বন্ধ। লকডাউন। স্কুল কলেজ বন্ধ। তাহলে কেন এখনও রোজ লোডশেডিং হয়? মুখ্যমন্ত্রী এর উত্তর দিন।


সুজন চক্রবর্তী আরও বলেন, “ মুখ্যমন্ত্রী সত্যি কথা বলেন না। বিকৃত মিথ্যে কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে এরপরে সবাই বাঁচাল বলবে। প্রচেষ্টা প্রকল্পের মাধ্যমে মাত্র দেড় লাখ মানুষকে দেখেছেন। অংকের হিসেবে যা শতাংশেও আসে না। অন্য রাজ্য থেকে এই রাজ্যে যারা বাঁচবার জন্য এসেছিলেন। তারা প্রত্যেকে ফিরে ফিরে যাচ্ছেন বাইরের রাজ্যগুলিতেই। কোথাও কোনও কর্মসংস্থান নেই। লেখাপড়া জানা জেলার ছেলে মেয়েরা চাকরি পাচ্ছেন না। আপার প্রাইমারিতে গত সাত বছর নিয়োগ নেই। TET, SSC, কলেজ সার্ভিস কমিশন,PSC,গ্রুপ ডির রেজাল্ট বেরিয়ে প্যানেল হয়ে রইল। নিয়োগ এখনও হয়নি। কলকারখানা বন্ধ। স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে প্রতিযোগিতা চলছে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে। অসুস্থ মানুষ হাসপাতালে ভরতি হতে পারছেন না। ডায়ালিসিস করাতে গিয়ে বিপদে পড়ছেন মানুষ। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এবং করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন, কোনও মানুষের চিকিৎসা নেই। রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী, এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত এই প্রতিযোগিতায় রাজ্যের মানুষের বিপদ বাড়ছে। অতীতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্য পরিষেবা ভালো ছিল। এখন সব বন্ধ। কারণ সরকার মানুষের জন্য নয়, সরকার ব্যবসার জন্য। সবকিছুকেই বেসরকারিকরণ করে দেওয়া হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না স্কুলও। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মনগড়া মিথ্যে কথা বলেন। সরকারি খরচে সরকারি টাকায়। " তিনি আরও অভিযোগ তুলে বলেন,”অনুষ্ঠানে লকডাউনের সামাজিক দূরত্বের নিয়ম ভেঙেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি পয়সায় আবোল তাবোল বকছেন। গত 10 বছরে 30 কোটি টাকা খরচ করে একের পর এক কমিশন করেছেন। বামফ্রন্ট মন্ত্রিসভার সদস্যদের অভিযুক্ত করতে। কমিশনের রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত বেরোয়নি। রাজ্যে সাড়ে 6 হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়ে গেল আমফানের ত্রাণে। দুর্নীতিতে মজে গেছে রাজ্যের সরকার।"


CPI(M) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহম্মদ সালিম জানিয়েছেন, “কেন্দ্রীয় সরকার এই দুঃসময়ে ধর্মের রাজনীতি করছে। রাজ্য সরকার ভোটের জন্য বেছে বেছে রেড জ়োন তৈরি করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া প্রয়োজন মানুষের স্বার্থে। আরও ভালোভাবে পরিকল্পনা করে কোরোনা ভাইরাসকে মোকাবিলা করা যেত পারে ।”

কলকাতা,9 জুলাই : মুখ্যমন্ত্রী সেভ লাইফ, সেফ ড্রাইভের এক সরকারি অনুষ্ঠানে গতকাল দাবি করেছিলেন বামফ্রন্ট সরকারের সময় রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল। এই প্রসঙ্গে পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী অভিযোগ করে বলেন, “রাজ্যের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিয়ে সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী অসত্য কথা বলেছেন ।” অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে শ্রমিক বিরোধী আখ্যা দিয়েছেন CPI(M)পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম।

গতকাল মুখ্যমন্ত্রী সেভ লাইফ, সেফ ড্রাইভের এক সরকারি অনুষ্ঠানে দাবি করেছেন বামফ্রন্ট সরকারের সময় রাজ্যের বিদ্যুৎ বন্টন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল। এই প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, রাজ্যের মানুষ জানেন বামফ্রন্ট সরকারের সময় রাজ্যজুড়ে বিদ্যুতায়নের কাজ হয়েছিল। এখন আকাশছোঁয়া বিদ্যুতের দাম। সব কল-কারখানা বন্ধ। লকডাউন। স্কুল কলেজ বন্ধ। তাহলে কেন এখনও রোজ লোডশেডিং হয়? মুখ্যমন্ত্রী এর উত্তর দিন।


সুজন চক্রবর্তী আরও বলেন, “ মুখ্যমন্ত্রী সত্যি কথা বলেন না। বিকৃত মিথ্যে কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে এরপরে সবাই বাঁচাল বলবে। প্রচেষ্টা প্রকল্পের মাধ্যমে মাত্র দেড় লাখ মানুষকে দেখেছেন। অংকের হিসেবে যা শতাংশেও আসে না। অন্য রাজ্য থেকে এই রাজ্যে যারা বাঁচবার জন্য এসেছিলেন। তারা প্রত্যেকে ফিরে ফিরে যাচ্ছেন বাইরের রাজ্যগুলিতেই। কোথাও কোনও কর্মসংস্থান নেই। লেখাপড়া জানা জেলার ছেলে মেয়েরা চাকরি পাচ্ছেন না। আপার প্রাইমারিতে গত সাত বছর নিয়োগ নেই। TET, SSC, কলেজ সার্ভিস কমিশন,PSC,গ্রুপ ডির রেজাল্ট বেরিয়ে প্যানেল হয়ে রইল। নিয়োগ এখনও হয়নি। কলকারখানা বন্ধ। স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে প্রতিযোগিতা চলছে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে। অসুস্থ মানুষ হাসপাতালে ভরতি হতে পারছেন না। ডায়ালিসিস করাতে গিয়ে বিপদে পড়ছেন মানুষ। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এবং করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন, কোনও মানুষের চিকিৎসা নেই। রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী, এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত এই প্রতিযোগিতায় রাজ্যের মানুষের বিপদ বাড়ছে। অতীতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্য পরিষেবা ভালো ছিল। এখন সব বন্ধ। কারণ সরকার মানুষের জন্য নয়, সরকার ব্যবসার জন্য। সবকিছুকেই বেসরকারিকরণ করে দেওয়া হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না স্কুলও। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মনগড়া মিথ্যে কথা বলেন। সরকারি খরচে সরকারি টাকায়। " তিনি আরও অভিযোগ তুলে বলেন,”অনুষ্ঠানে লকডাউনের সামাজিক দূরত্বের নিয়ম ভেঙেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি পয়সায় আবোল তাবোল বকছেন। গত 10 বছরে 30 কোটি টাকা খরচ করে একের পর এক কমিশন করেছেন। বামফ্রন্ট মন্ত্রিসভার সদস্যদের অভিযুক্ত করতে। কমিশনের রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত বেরোয়নি। রাজ্যে সাড়ে 6 হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়ে গেল আমফানের ত্রাণে। দুর্নীতিতে মজে গেছে রাজ্যের সরকার।"


CPI(M) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহম্মদ সালিম জানিয়েছেন, “কেন্দ্রীয় সরকার এই দুঃসময়ে ধর্মের রাজনীতি করছে। রাজ্য সরকার ভোটের জন্য বেছে বেছে রেড জ়োন তৈরি করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া প্রয়োজন মানুষের স্বার্থে। আরও ভালোভাবে পরিকল্পনা করে কোরোনা ভাইরাসকে মোকাবিলা করা যেত পারে ।”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.