মাহোবা (উত্তরপ্রদেশ), 16 অক্টোবর: বাড়ির মেয়েকে উত্যক্ত করায় এক যুবকের উপর চোটপাট করেছিল তরুণীর পরিবার ৷ তার জেরে তাদের লক্ষ্য করে বেপরোয়া গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল ওই যুবক ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে ৷ এই ঘটনায় মেয়েটির পরিবারের সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৷ তাঁরা ভর্তি হাসপাতালে ৷
উত্তরপ্রদেশের মাহোবার পানওয়াড়ি থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে । পুলিশ জানিয়েছে, গ্রামের যুবক জিতেন্দ্র তিওয়ারি কলেজে যাওয়ার পথে এক তরুণীকে উত্যক্ত করতেন । নিয়মিত হয়রানির শিকার হয়ে মেয়েটি তাঁর বাবাকে বিষয়টি জানান । দুই দিন আগে, তরুণীর বাবা যুবকের বাড়িতে গিয়ে জিতেন্দ্রের বাবা নরেন্দ্র তিওয়ারির কাছে গোটা বিষয়টি জানান । এতেই জিতেন্দ্র ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল সন্ধ্যায় মেয়েটির বাড়িতে আসেন ।
অভিযোগ, তিনি বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন । তারপর বেশ কয়েকবার বাইকে চড়ে গোটা বাড়িটি প্রদক্ষিণ করেন । এই উৎপাত দেখে মেয়েটির পরিবারের লোকজন তাঁর উপর চোটপাট করায় সেই মুহূর্তের জন্য এলাকা ছেড়ে চলে যান ওই যুবক ৷ এর কিছুক্ষণ পরেই হাতে একটি পিস্তল নিয়ে সেখানে ফিরে আসেন তিনি ৷ তিনি তরুণীর পরিবারকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা করলে তাঁর হাত থেকে পিস্তলটি ছিনিয়ে নেন মেয়েটির পরিবারের লোকজন ।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ পরিবারের
এই ঘটনা জানার পর নরেন্দ্র তাঁর লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান এবং মেয়েটির পরিবার কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ । তরুণীর বাবা, ঠাকুমা, কাকা, পিসি এবং পরিবারের আরও তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৷ তাঁদের চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । ঘটনার খবর পেয়ে মাহোবা পুলিশ সুপার-সহ স্থানীয় থানার একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে ।
জানা গিয়েছে, ওই তরুণীকে প্রতিদিন কলেজে যাওয়ার পথে বাধা দিতেন এবং উত্যক্ত করতেন ওই যুবক । গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি তরুণীর সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করার চেষ্টা করেন এবং এ ব্যাপারে পুলিশে অভিযোগ করলে তাঁকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকিও দেন ।
মাহোবার পুলিশ সুপার অপর্ণা গুপ্তা বলেন, একটি গুলি চালানোর মামলার তথ্য পাওয়া গিয়েছে । এসপি-র কথায়, "আহত সাতজনের মাহোবা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা হচ্ছে । এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য চারটি দল গঠন করা হয়েছে । এখনও পর্যন্ত আহত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি ৷"