কলকাতা, 30 নভেম্বর: শীতের আগমনে বাধা সৃষ্টি করল ঘূর্ণিঝড় ফেঞ্জল। বঙ্গে প্রভাব না ফেললেও দেশের দক্ষিন পূর্ব এলাকায় বিরাট মেঘের সৃষ্টি করেছে। ফলে উত্তর পশ্চিম দিক থেকে ছুটে আসা ঠান্ডা বাতাস বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। যার প্রভাবে বাংলার আবহে ঠান্ডার আগমনে বাধা পড়ছে।
শুক্রবার দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত ঘূর্ণিঝড় ফেঞ্জল। আজ শনিবার তামিলনাডুর পুদুচেরির কাছাকাছি জায়গায় ‘ফেঞ্জল’ আছড়ে পড়বে। পূর্বাভাস মতো এই ঘূর্ণিঝড়ের বাংলায় কোনও প্রভাব পড়বে না। তবে দুই 24 পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে ঘনীভুত ঘূর্ণিঝড়টি আজ শনিবার তামিলনাডু উপকূলে পুদুচেরির খুব কাছে ল্যান্ডফল করবে বলে মনে করছেন আবহবিদরা। ইতিমধ্যেই তামিলনাডু ও কর্নাটকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হওয়ায়, সেখানে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বঙ্গে ফেঞ্জল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব না পড়লেও আকাশে হালকা মেঘের আস্তরণ দেখা গিয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে দক্ষিণবঙ্গে আগামী 2 থেকে 3 দিনে উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে বেশ কিছু জেলাতে। নতুন করে তাপমাত্রা নামার সম্ভাবনা কম।
সপ্তাহান্তে বৃষ্টির পূর্বাভাস উপকূলের চার জেলাতে। আজ, 30 নভেম্বর শনিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। পয়লা ডিসেম্বর, রবিবার হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ 24 পরগনা জেলাতে।
শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 21 ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে 3.5 ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 28 ডিগ্রি সেভসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে 0.9 ডিগ্রি নিচে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল সর্বনিম্ন 53 শতাংশ সর্বোচ্চ 91 শতাংশ। আজ, শনিবার দিনের আকাশ হালকা মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। রাজ্যের কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। আজ দিনের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে 27 ডিগ্রি এবং 21 ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে ।