কলকাতা, 9 জানুয়ারি: ডার্বির ঢাকে কাঠি । সঙ্গে বাজতে চলেছে দুই প্রধানের শীর্ষকর্তাদের বাগযুদ্ধ । বুধবার বিকেলে সন্তোষ ট্রফিজয়ী বাংলা দলকে সংবর্ধনা দিয়েছে ভবানীপুর ক্লাব । ময়দানের প্রথম কোনও ক্লাবের এই উদ্যোগ অবশ্যই সাধুবাদ যোগ্য । ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান বাংলা দলকে সংবর্ধিত করবে 17 জানুয়ারি এবং 18 জানুয়ারি । বাংলা ফুটবলে সবচেয়ে বড় সাফল্যের দিনে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের বাক-দ্বৈরথ অব্যাহত ।
টুটু বসু ডার্বির আবহে কিছুটা আচম্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে আক্রমণ করে বসেন । মোহনবাগান প্রেসিডেন্টের এই আক্রমণ নতুন নয় । তবে ইস্টবেঙ্গলকে অস্তমিত সূর্যের সঙ্গে তুলনা করা বোধহয় আগের যাবতীয় বক্তব্যকে ছাপিয়ে গেল । “সূর্য ঢলছে । লাল-হলুদের মতো সূর্য কেন ঢলছে ভাই । সূর্য ঢলছে, লাল-হলুদও ঢলছে । এমন সময় ডার্বি হচ্ছে । তবে ডার্বি মানেই পঞ্চাশ-পঞ্চাশ । রেফারিং নিয়ে এমন মন্তব্য বারবার করা উচিত নয় । অভিযোগ তোলা বারবার উচিত নয় । নীতু অহেতুক অভিযোগ করছে । পল্টু’দা এমন করতেন না । হিসেব করে কথা বলতেন । তবে রেফারির নিরপেক্ষ থাকা উচিত বলে মনে করি,” বলছেন টুটু বসু ।
ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গলকে অস্তাচলে যাওয়া সূর্যের তুলনায় ময়দানে বিতর্কের ঝড় ওঠে । পাল্টা দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারও । তাঁর কথায়, “মোহনবাগান ক্লাব বলে কিছু আছে বলে তো আমার জানা নেই । আমি তো জানি একটা ক্লাবের সঙ্গে মোহনবাগানের কিছুটা সংযুক্তি হয়েছে । টুটুবাবুকে প্রশ্ন করছি । টুটুবাবু বরাবরই একটু হাস্যকর কথা বলে থাকেন । ভেবেছিলাম বয়সের সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছেন, দেখলাম হননি । কার লাইসেন্সে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট খেলছে ? এএফসি, ভারতবর্ষের লিগ বা যেকোনও টুর্নামেন্ট খেলতে গেলে লাইসেন্সের প্রয়োজন হয় । এটিকের ছিল, মোহনবাগানের ছিল । এখন কোন ক্লাবের লাইসেন্সে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট খেলে ? আমরা কোনও ছ’বছর, আট বছরের ক্লাবের কাছে মাথানত, আত্মসমর্পন করিনি । ঢলে কে পড়েছে এতেই প্রমাণ হয়ে যায় । আর রেফারিং নিয়ে ওনার মুখে কথা মানায় না । ক্রীড়া প্রশাসনে উনি আমার থেকে জুনিয়র । কে রেফারিকে তাড়া করেছিল তা সবাই জানে ৷”
ডার্বি স্থানান্তরণের খবর দেরিতে ঘোষণায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া ময়দানে । দু’দলের সমর্থকরা মাঠে বসে ডার্বি দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দেখে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন । এই নিয়ে বাগান সভাপতি রাজ্য সরকারের পাশে । টুটু বলেন, ‘‘ডার্বি কলকাতায় করার ব্যাপারে সুপার জায়ান্ট কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্য সরকার যৌথভাবে মরিয়া চেষ্টা করেছিল । এমনকী সত্তর শতাংশ পুলিশ ও বাকিটা বেসরকারি রক্ষী দিয়েও আয়োজনের চেষ্টা হয়েছিল । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উদ্যোগ নিয়েছিলেন । কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তার বিষয়টি বর্তমান সময়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় ঝুঁকি নেওয়া গেল না ৷’’