ইম্ফল, 12 সেপ্টেম্বর: ফের উত্তেজনা ছড়ালো মণিপুরে ৷ মঙ্গলবার সকালে কাঙ্গপোকপি জেলায় একদল অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের গুলিতে কমপক্ষে 3 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, ইরেঙ্গ এবং করম ভাইফেই গ্রামীণ এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে ৷ এই প্রসঙ্গে এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, এদিন সকালে ঘটনাটি ঘটে, অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন ব্যক্তি গুলি করে খুন করে ইরেঙ্গ এবং করম ভাইফেই এলাকার 3 জন বাসিন্দাকে ৷
এই বিষয়ে কমিউনিটি অন ট্রাইবাল ইউনিটি বা সিওটিইউ (COTU) এর তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্র সরকার যদি চায় মণিপুরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসুক, তাহলে তাহলে এখানকার জেলাগুলি উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা বলে চিহ্নিত করুক এবং সশস্ত্র বাহিনীকে 1958 সালের (বিশেষ ক্ষমতা) আইন মেনে নিয়োগ করুক ৷ মণিপুরের পাহাড়ি এলাকা তেঙ্গনৌপাল এলাকায় গত 8 সেপ্টেম্বর সংঘর্ষে 3 জনের মৃত্যু হয় ও কমপক্ষে 50 জন আহত হন ৷
আরও পড়ুন: 'সেনাবাহিনী কেন এডিটরস গিল্ডকে মণিপুরে যেতে বলল ?', বিস্মিত দেশের প্রধান বিচারপতি
গত কয়েক মাস ধরে উত্তপ্ত দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুর ৷ মূলত কুকি ও মেইতেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে গত মে মাস থেকে ৷ এখনও শান্তি ফেরেনি এই রাজ্যে ৷ পরিস্থিতি সামলাতে কেন্দ্র বাধ্য হয়ে সেনা নামিয়েছে এই পাহাড়ি রাজ্যে, কিন্তু সমাধান সূত্র ও স্থিতাবস্থা এখনও অধরা ৷ সংঘর্ষে 150 জনের বেশি মণিপুরবাসীর মৃত্যু হয়েছে গত কয়েক মাসে ৷ হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া ৷ তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন বিভিনিন শরণার্থী শিবিরে ৷ ঘরছাড়াদের মধ্যে বহু মহিলা ও শিশুও রয়েছে ৷ মণিপুর ইস্যুতে সরব হয়েছে বিরোধীরা ৷ এই পরিস্থিতি সামলাতে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার ব্যর্থ বলে অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেসের মতো দলগুলি ৷ মণিপুর ইস্যুতে গত মাসে লোকসভায় সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবও আনে বিরোধীরা ৷ সেই বিতর্কে অংশ নিয়ে বক্তব্যও রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷