দার্জিলিং, 27 অক্টোবর: সিকিম (Sikkim) ভ্রমণে এবার সমস্যায় পড়তে চলেছেন পর্যটকরা ৷ পাশাপাশি, সমস্যায় পড়তে চলেছেন সিকিমবাসীও ৷ ফের একবার সিকিম যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হতে চলেছে পার্বত্য সড়কপথ ৷ কারণ, আগামী 30 অক্টোবর থেকে উড়ান পরিষেবা বন্ধ হতে চলেছে সিকিমের পাকইয়ং বিমানবন্দরে (Pakyong Airport)৷
সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের কাছেই রয়েছে পাকইয়ং বিমানবন্দর ৷ 2018 সালে এই বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ৷ এতদিন এই বিমানবন্দরে পরিষেবা দিচ্ছিল স্পাইসজেট (SpiceJet) ৷ তবে সম্প্রতি স্পাইসজেট কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, তারা আর এই বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামা করাতে পারবে না ৷ এই সিদ্ধান্তের কথা কেন্দ্রকেও জানানো হয়েছে ৷ সূত্রের দাবি, কিছু সমস্যার জেরেই এই পদক্ষেপ করতে হচ্ছে স্পাইসজেটকে ৷ সংস্থার পক্ষ থেকে বিমানবন্দরের ডিরেক্টরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পরবর্তী কোনও সিদ্ধান্ত না-হওয়া পর্যন্ত আগামী 30 অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য পাকইয়ং বিমানবন্দরে পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে ৷ এর অর্থ, যত দিন না অন্য কোনও সংস্থা এখান থেকে বিমান চালাতে রাজি হয়, ততদিন এই বিমানবন্দর কার্যত অকেজো হয়ে পড়ে থাকবে ৷ ফলে যাত্রীরাও কোনও পরিষেবা পাবেন না ৷
আরও পড়ুন: বিমানের কেবিনে ধোঁয়া, 5 হাজার ফুট থেকে নামল স্পাইসজেট এয়ারক্রাফ্ট
গত 27 জুলাই ডিজিসিএ একটি নির্দেশ দেয় স্পাইসজেটকে ৷ মোট বিমানের মধ্যে মাত্র অর্ধেক চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয় তাদের ৷ আসলে, সাম্প্রতিককালে স্পাইসজেটের একাধিক বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে ৷ যার জেরে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারত ৷ তাই সংস্থার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ করা হয় ৷ কিন্তু, এর জেরে স্পাইসজেটকে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয় বলে দাবি সূত্রের ৷ অন্যদিকে, পাকইয়ং বিমানবন্দরে উড়ান পরিষেবা অব্যাহত রাখার জন্য তাদের যাতে কিছু সুবিধা প্রদান করা হয়, সেই দাবি তুলেছিল স্পাইসজেট কর্তৃপক্ষ ৷ কিন্তু, সেই দাবিদাওয়া পূরণ হয়নি বলেই খবর ৷ আর তার ফলেই আপাতত এই বিমানবন্দরে পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্পাইসজেট ৷
উল্লেখ্য, সিকিমের পর্যটন ক্ষেত্রে গতি আনার জন্য তৈরি করা হয় 'গ্রিন ফিল্ড' বিমানবন্দর ৷ প্রায় 201 একর জমিতে 605 কোটি টাকা খরচ করে এই বিমানবন্দর তৈরি করা হয় ৷ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 4 হাজার 500 ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই পাকইয়ং বিমানবন্দরটি 2018 সালের সেপ্টেম্বর মাসে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী ৷ ভারত-চিন সীমান্ত থেকে এর দূরত্ব মাত্র 60 কিলোমিটার ৷ তবে, উদ্বোধনের পর প্রায় দু'বছর এই বিমানবন্দরে কোনও বিমান নামা-ওটা করেনি ৷ পরিষেবা শুরু হয় গত বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ৷ এবার আবার সেই পরিষেবা বন্ধ হওয়ার জোগাড় হল ৷