দমদম, 21 নভেম্বর: এবার ট্রেনের কামড়ায় দেখা গেল সাপ। সারা দিনের কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎই এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতার সমুখীন হলেন প্রত্যক্ষদর্শী পিউ সরকার থেকে শুরু করে অন্যরা। তবে বিস্তর খোঁজাখুজির পরও ট্রেনে সাপ খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি রেলের তরফে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বক্তব্য পেশ করা হয়নি।
রাত নটা নাগাদ দমদম-শান্তিপুর লোকালে ওঠার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই কামরার পেছন থেকে ত্রাহি ত্রাহি চিৎকার আসতে শোনেন পিউ। তিনি দেখতে পান, তড়িঘড়ি যাত্রীরা প্রাণভয় নিজেদের আসনের উপর দাঁড়িয়ে পড়েছেন। তিনিও কিছু বোঝার আগেই এক সহযাত্রীর সাহায্য নিয়ে সিটের উপর উঠে পড়েন। তারপর কয়েকজন যাত্রীর সাপ সাপ বলে চিৎকার শুনতে পান । তখনই বিষয়টি পরিষ্কার হয় তাঁর কাছে।
কামরায় সাপের উপস্থিতি টের পেতেই ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। প্রত্যক্ষদর্শী পিউ সরকার আরও জানিয়েছেন, যাত্রীরা প্রাণভয়ে সিটের উপর উঠে পড়ে চিৎকার করতে থাকেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন দু-তিনবার ট্রেনের চেন টানলেও কোনও কাজ হয়নি। ট্রেনও থামেনি বলে অভিযোগ।
তাঁর মতে, শান্তিপুর লোকালের মহিলা কামরায় চরম ত্রাসের সৃষ্টি হয়। যাঁরা যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেখান থেকে অন্য কোথাও সরে যেতেও ভয় পাচ্ছিলেন। ইতিউতি নজর ঘুরিয়ে সাপটিকে দেখা যায় কি না সেই চেষ্টা করছিলেন। অনেকে আবার ভয় পাচ্ছিলেন যে সাপটি সিট বেয়ে ওপরে উঠে না পরে! তেমন কোনও ঘটনা অবশ্য ঘটেনি।
পিউ সরকার জানান যে কীভাবে ট্রেনের কম্পার্টমেন্টের মধ্যে সাপ ঢুকে পড়ল সেটা কেউই বুঝতে পারছিলেন না। তবে সহযাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছিলেন যে অনেনেই ঝুড়িতে করে সাপ নিয়ে যান। তাঁদের মধ্যেই কারও ঝাঁপি হয়ত খুলে যেতেই সাপটি বেকায়দায় বেরিয়ে পড়েছে।
শেষমেশ বেলঘড়িয়া স্টেশনে ট্রেন থামতেই সমস্ত যাত্রীরা প্রাণভয়ে নেমে যান । রেল পুলিশ কামরায় উঠে কামড়াটি তন্ন তন্ন করে খুঁজেও সেই সাপের সন্ধান পায়নি। পূর্ব রেলের শিয়ালদা ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন যে, "খবরটি কর্তৃপক্ষের কানে এসেছে ৷ তবে খাতায়-কলমে স্টেশন মাস্টার, আরপিএফ কিংবা জিআরপির কাছে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি । তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখবে কর্তৃপক্ষ ।"