ETV Bharat / state

বাড়ির ছাদে ছাত্রের গুলিবিদ্ধ দেহ! রিল বানানোর সময় দুর্ঘটনা, নাকি খুন ? - STUDENT SHOT IN HEAD

বাড়ির ছাদ থেকে মিলল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের নিথর দেহ ৷ তার মাথায় গুলির ক্ষতচিহ্ন থাকলেও আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়নি ৷

A Student shot in head
মালদার কালিয়াচকে ছাত্রের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার (প্রতীকী ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 21, 2024, 10:41 PM IST

মালদা, 21 নভেম্বর: বাড়ির ছাদ থেকে ছাত্রের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র শোরগোল কালিয়াচকে ৷ রিল বানাতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে নাকি কেউ তাকে খুন করেছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে পুলিশ ৷ কারণ, ওই ছাত্রের মাথায় গুলির চিহ্ন দেখা গেলেও ঘটনাস্থলে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়নি ৷ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে ৷ তদন্ত শুরু করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷

মৃত ছাত্রের নাম সামিউল ইসলাম (17) ৷ বাড়ি কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকের জালুয়াবাথাল গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুর গ্রামে ৷ বাবা রাজিকুল ইসলাম পেশায় ব্যবসায়ী ৷ মা রুমালি বিবি বাড়িতেই থাকেন ৷ স্থানীয় একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত সামিউল ৷ পড়াশোনায় খুব একটা ভালো ছিল না বলেই জানাচ্ছে প্রতিবেশীরা ৷ বছরখানেক আগে বাইক দুর্ঘটনার মুখে পড়ে সে ৷ এরপর থেকেই মানসিক ভারসাম্য কিছুটা হারিয়ে ফেলেছিল সামিউল ৷ রাঁচিতে তার চিকিৎসা চলছিল বলে জানা গিয়েছে ৷ কোনও কাজে তাকে চাপ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা ৷ সামিউলের রিল বানানোর নেশা ছিল ৷

মালদায় গুলিবিদ্ধ ছাত্রের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য (ইটিভি ভারত)

এই খবর পেয়ে এসডিপিও (কালিয়াচক) ফয়সাল রেজা ও কালিয়াচক থানার আইসি সুমন রায়চৌধুরী ঘটনাস্থলে পৌঁছন ৷ এসডিপিও বলেন, "মৃতের মাথায় ক্ষতচিহ্ন রয়েছে ৷ প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, গুলি করা হয়েছে ৷ তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়নি ৷ ওই ছাত্র আত্মঘাতী হলে ছাদেই আগ্নেয়াস্ত্র পড়ে থাকার কথা ছিল ৷ তাছাড়া সে আগ্নেয়াস্ত্র কোথায় পেল সেটা জানা দরকার ?"

ছাত্রের মা রুমালি বিবি বলেন, "ও আমার ছোট ছেলে ৷ বাড়ির কারও সঙ্গে কোনও ঝামেলা হয়নি ৷ গতকাল ও বন্ধুদের ডেকে বাড়িতে আড্ডা জমিয়েছিল ৷ বন্ধুদের খাবার খাইয়েছিল ৷ আজ সকালে আমার সঙ্গে বসেই চা খায় ৷" তিনি মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় শেষবার দেখতে পান ছেলে বাইক নিয়ে বাড়ি ফিরছে ৷ সেই সময় তিনি টোটোয় থাকায় মা-ছেলের মধ্যে কথা হয়নি ৷

তিনি বলেন, "স্কুলে যেতেই বাড়ি থেকে ফোন করে আমায় বলা হয়, পরীক্ষা আর দিতে হবে না ৷ মেয়েকে নিয়ে যেন এখনই বাড়ি ফিরে আসি ৷ সেই মতো মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরি ৷ বাড়ির সামনে জটলা দেখে সন্দেহ হয় ৷ তখনই শুনি, ছাদে সামিউলের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে ৷ কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা আমি জানি না ৷"

এখানেই প্রশ্ন উঠছে, সামিউল কি আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে রিল বানাচ্ছিল ? তখনই কি আচমকা গুলি বেরিয়ে যায় ? সেক্ষেত্রে সেই আগ্নেয়াস্ত্র কোথায় ? আরও কেউ কি তার সঙ্গে ছিল ? আগ্নেয়াস্ত্র কি সামিউলই নিয়ে এসেছিল ? নাকি তার সঙ্গী ? তারা আগ্নেয়াস্ত্র কোথায় পেল ? নাকি আক্রোশের কারণে তাকে খুন করা করেছে ? এসব ভাবিয়ে তুলেছে তদন্তকারীদের ৷

মালদা, 21 নভেম্বর: বাড়ির ছাদ থেকে ছাত্রের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র শোরগোল কালিয়াচকে ৷ রিল বানাতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে নাকি কেউ তাকে খুন করেছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে পুলিশ ৷ কারণ, ওই ছাত্রের মাথায় গুলির চিহ্ন দেখা গেলেও ঘটনাস্থলে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়নি ৷ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে ৷ তদন্ত শুরু করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷

মৃত ছাত্রের নাম সামিউল ইসলাম (17) ৷ বাড়ি কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকের জালুয়াবাথাল গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুর গ্রামে ৷ বাবা রাজিকুল ইসলাম পেশায় ব্যবসায়ী ৷ মা রুমালি বিবি বাড়িতেই থাকেন ৷ স্থানীয় একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত সামিউল ৷ পড়াশোনায় খুব একটা ভালো ছিল না বলেই জানাচ্ছে প্রতিবেশীরা ৷ বছরখানেক আগে বাইক দুর্ঘটনার মুখে পড়ে সে ৷ এরপর থেকেই মানসিক ভারসাম্য কিছুটা হারিয়ে ফেলেছিল সামিউল ৷ রাঁচিতে তার চিকিৎসা চলছিল বলে জানা গিয়েছে ৷ কোনও কাজে তাকে চাপ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা ৷ সামিউলের রিল বানানোর নেশা ছিল ৷

মালদায় গুলিবিদ্ধ ছাত্রের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য (ইটিভি ভারত)

এই খবর পেয়ে এসডিপিও (কালিয়াচক) ফয়সাল রেজা ও কালিয়াচক থানার আইসি সুমন রায়চৌধুরী ঘটনাস্থলে পৌঁছন ৷ এসডিপিও বলেন, "মৃতের মাথায় ক্ষতচিহ্ন রয়েছে ৷ প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, গুলি করা হয়েছে ৷ তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়নি ৷ ওই ছাত্র আত্মঘাতী হলে ছাদেই আগ্নেয়াস্ত্র পড়ে থাকার কথা ছিল ৷ তাছাড়া সে আগ্নেয়াস্ত্র কোথায় পেল সেটা জানা দরকার ?"

ছাত্রের মা রুমালি বিবি বলেন, "ও আমার ছোট ছেলে ৷ বাড়ির কারও সঙ্গে কোনও ঝামেলা হয়নি ৷ গতকাল ও বন্ধুদের ডেকে বাড়িতে আড্ডা জমিয়েছিল ৷ বন্ধুদের খাবার খাইয়েছিল ৷ আজ সকালে আমার সঙ্গে বসেই চা খায় ৷" তিনি মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় শেষবার দেখতে পান ছেলে বাইক নিয়ে বাড়ি ফিরছে ৷ সেই সময় তিনি টোটোয় থাকায় মা-ছেলের মধ্যে কথা হয়নি ৷

তিনি বলেন, "স্কুলে যেতেই বাড়ি থেকে ফোন করে আমায় বলা হয়, পরীক্ষা আর দিতে হবে না ৷ মেয়েকে নিয়ে যেন এখনই বাড়ি ফিরে আসি ৷ সেই মতো মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরি ৷ বাড়ির সামনে জটলা দেখে সন্দেহ হয় ৷ তখনই শুনি, ছাদে সামিউলের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে ৷ কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা আমি জানি না ৷"

এখানেই প্রশ্ন উঠছে, সামিউল কি আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে রিল বানাচ্ছিল ? তখনই কি আচমকা গুলি বেরিয়ে যায় ? সেক্ষেত্রে সেই আগ্নেয়াস্ত্র কোথায় ? আরও কেউ কি তার সঙ্গে ছিল ? আগ্নেয়াস্ত্র কি সামিউলই নিয়ে এসেছিল ? নাকি তার সঙ্গী ? তারা আগ্নেয়াস্ত্র কোথায় পেল ? নাকি আক্রোশের কারণে তাকে খুন করা করেছে ? এসব ভাবিয়ে তুলেছে তদন্তকারীদের ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.