কর্ণাটক, 13 ডিসেম্বর: ঠিক যেন দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ৷ সেই বিভীষিকাময় স্মৃতি এবার ফিরে এল কর্ণাটকে (Shraddha murder horror returns in Karnataka) ৷ এখানে এক ব্যক্তিকে খুন করে প্রায় 30 টুকরো করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ৷ মৃতের নাম পরশুরাম কুলালি (54) ৷ ঘটনাটি ঘটেছে বাগোলকোটের মুধোলা এলাকায় ৷ অভিযুক্তের নাম ভিট্টল কুলালি ৷ তার বয়স 20 বছর ৷
জানা গিয়েছে, প্রতিরাতে মদ্যপান করে ঘরে ফিরে ছেলে ভিট্টলকে মারধর করতেন ওই ব্যক্তি ৷ চলত গালিগালাজ ৷ দিনের পর দিন এই অত্যাচার সহ্য করতে না-পেরে গত 6 ডিসেম্বর বাবাকে রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করে ওই যুবক ৷ এরপর মন্তুর বাইপাস সংলগ্ন নিজেদেরই জমিতে বাবার দেহ নিয়ে যায় সে ৷ সেখানে সে প্রথমে চেষ্টা করে কুয়োর জলে বাবার দেহ ডুবিয়ে দিতে যাতে কেউ দেখতে না পায় ৷ কিন্তু মৃতদেহটি না ডোবায়, সেটি টুকরো করার সিদ্ধান্ত নেয় ভিট্টল (Son killed and chopped father in Karnataka) ৷
এরপর করাত দিয়ে বাবার দেহ কেটে প্রায় 30 টুকরো করে ওই যুবক (son chopped father into more than 30 pieces, thrown in borewell in Karnataka) ৷ তারপর তা জলাশয়ে ফেলে দেয় ৷ ক'দিন পর সেখান থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করলে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা ৷ দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাদন্তে পাঠানো হয় ৷ তদন্তে উঠে আসে আসল ঘটনা ৷ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ এই ঘটনায় ফিরে আসছে দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি ৷ শ্রদ্ধাকে খুন করে তাঁর দেহ 35 টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল তাঁর প্রেমিক তথা লিভইন পার্টনার আফতাব আমিন পুনাওয়ালা ৷ তারপর রাতে সেই দেহাংশগুলি সে ফেলে দিয়ে আসত জঙ্গলে ৷ ঘটনার প্রায় 6 মাস পরে গত মাসে বিষয়টি সামনে আসে ৷