টেক্সাস, 23 অগস্ট: ভারতের এই চন্দ্রযান-3 মিশনই একটা সাফল্য ৷ বিক্রম ল্যান্ডার যদি এবারও চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অতরণে অসফল হয়, তার পরও এই মিশনকে সফল হিসেবেই দেখতে হবে ৷ এমনটাই মত রেডওয়্যার স্পেস-এর চিফ গ্রোথ অফিসার এবং নাসার প্রাক্তন আধিকারিক মাইক গোল্ডের ৷ তাই তিনি ভারতের এই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন ৷
মাইক গোল্ড মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে পরিচিত একটি নাম ৷ তাঁকে আর্টেমিস রেকর্ডের স্থপতি হিসেবেও বিবেচনা করা হয় ৷ তাছাড়া চাঁদে অনুসন্ধানের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা ও নানা ক্ষেত্রে অবদান রয়েছে মাইক গোল্ডের ৷ তিনি নাসার স্পেস পলিসি ও পার্টনারশিপের প্রাক্তন সহযোগী প্রশাসকও ছিলেন ।
সংবাদসংস্থা এএনআই-কে মাইক গোল্ড বলেন, “আমরা একটি নতুন যুগে প্রবেশ করছি । চাঁদের অন্বেষণের আর্টেমিস যুগ যেখানে আমরা শুধু একবার নয়, দু’বার নয়, বরং চাঁদে স্থায়ী উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছি । এই মিশনটি চাঁদ সম্পর্কে আমাদের ধারণা, সম্পদ ব্যবহার করায় আমাদের ক্ষমতা এবং শেষ পর্যন্ত আমরা চাঁদে কোথায় বসতি স্থাপন করতে পারব, তা নিয়ে সাহায্য করার জন্য অমূল্য তথ্য সংগ্রহ করবে । সুতরাং এটি সেই প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ । মিশনটি সফল হোক বা অবতরণ হোক বা না হোক, আমার মতে এই মিশনটি সামগ্রিকভাবে সফল ৷’’
তিনি আরও বলেন, "এটি আক্ষরিক অর্থে সহযোগিতাকে চাঁদের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে । এই মুহূর্তে নাসা ও ইসরো একসঙ্গে পৃথিবীর উপর অনেক কাজ করছে ৷ যেমন এনআইএসএআর-এর মতো প্রকল্প, যেখানে ভারতের সঙ্গে আমাদের ব়্যাডার সিস্টেম থাকবে, যা পৃথিবীকে অধ্যয়ন করতে সক্ষম হবে । আর জলবায়ু পরিবর্তন ও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যাগুলি মোকাবিলা করার জন্য প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে ৷ যা শুধু ভারত বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে ।"
আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়ে চাঁদে অবতরণ করবে বিক্রম, দাবি ইসরোর চেয়ারম্যানের
সংবাদসংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদনে মাইক গোল্ড আরও বলেন, "চন্দ্রযান-3 এর পাশাপাশি আর্টেমিসের মাধ্যমে পৃথিবীর কক্ষপথ ছাড়িয়ে চাঁদের পৃষ্ঠে চলে যাবে এই অংশীদারিত্ব, যেখানে রোবোটিক ও মানুষের দ্বারা মহাকাশ অনুসন্ধানের পরবর্তী যুগের সূচনা হতে চলেছে ৷"