রাজকোট (গুজরাত), 23 এপ্রিল: নির্বাচনী যুদ্ধে জিততে কোনও প্রচেষ্টাই বাদ রাখে না রাজনৈতিক দলগুলি ৷ প্রতিটা গ্রামে, সকলের বাড়িতে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করেন নেতারা ৷ কিন্তু গুজরাতের (Gujarat) রাজ সমাধিলয় গ্রাম (Raj Samadhilaya Village) এক্ষেত্রে একেবারে ব্যতিক্রম ৷ কারণ, সেখানে রাজনৈতিক দলগুলির প্রবেশাধিকার নেই ৷
পড়তে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি ৷ পশ্চিম ভারতের ওই রাজ্যে এখন বিধানসভার নির্বাচন (Gujarat Polls 2022) চলছে ৷ সেখানে প্রচারে ব্যস্ত সব রাজনৈতিক দল ৷ সব কেন্দ্রের সব জায়গায় যাচ্ছেন প্রার্থীরা ৷ কিন্তু ওই একটা গ্রাম ছাড়া ৷ এক আধদিন নয়, এই নিয়ম চলে আসছে সেই 1983 সাল থেকে ৷ টানা 39 বছর ওই গ্রামে কোনও রাজনৈতিক নেতা প্রচারে উপস্থিত হতে পারেননি ৷
এই গ্রামটি রাজকোট (Rajkot) থেকে 20 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ৷ গ্রামে ঢোকার মুখেই সাইন বোর্ড দেওয়া হয়েছে ৷ সেখানে লেখা হয়েছে সমস্ত নিয়মাবলী ৷ যা গ্রামের লোকেরা এমনকী, বাইরে থেকে আসা ব্যক্তিরা মেনে চলেন ৷ তাই গ্রামের মানুষের ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে সেখানে যান না কোনও নেতা ৷
কিন্তু এই ধরনের ফতোয়া সাধারণত জারি করা হয় ভোট বয়কটের সময় ৷ কোনও সমস্যার সমাধানে এমন ভোট বয়কট ও তার জেরে এই ধরনের ফতোয়া নতুন নয় ৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কী কারণে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাখা হয়েছে প্রায় চার দশক ধরে !
গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, গ্রামে কোনও সমস্যা নেই ৷ ওয়াইফাই, সিসিটিভি ক্যামেরা-সহ সবই আছে ৷ ফলে ভোট বয়কটের জন্য এসব তারা করেন না ৷ শুধু গ্রামের বাসিন্দাদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা ৷
এর জন্য একটি কমিটি রয়েছে, তারাই সব ঠিক করে ৷ এমনকী, ভোট না দিলে দিতে হয় জরিমানা ৷ জানা গিয়েছে, এর আগের ভোটগুলিতে প্রায় 100 শতাংশ ভোট পড়েছে ৷ কিন্তু যাঁরা ইচ্ছে করে ভোট দেননি ৷ তাঁদের 51 টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যেই কি গুজরাতে জিততে মরিয়া মোদি ?