অযোধ্যা, 19 অক্টোবর: মহন্তের অস্বাভাবিক মৃত্যু অযোধ্যায় ৷ বৃহস্পতিবার সকালে সেখানকার বিখ্যাত হনুমানগড়ী কমপ্লেক্সের একটি আশ্রমে ঘটনাটি ঘটে ৷ মৃতের নাম মহন্ত দুর্বল দাস ৷ তিনি যে ঘরে থাকতেন, সেখানেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷ প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে যে শ্বাসরোধ করে ওই মহন্তকে খুন করা হয়েছে ৷ এই ঘটনায় সন্দেহভাজন মহন্তর দুই শিষ্য ৷ একজন পলাতক ৷ দ্বিতীয়জনকে আটক করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে ৷
এই ঘটনার তদন্তে ওই আশ্রমে যান অযোধ্যার পুলিশ সুপার রাজকরণ নায়ার ৷ সংশ্লিষ্ট এলাকা উত্তরপ্রদেশ পুলিশের যে রেঞ্জের মধ্যে পড়ছে, সেখানকার আইজিও ঘটনাস্থলে যান ৷ এছাড়া পুলিশের আরও একাধিক কর্তা সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন ৷ মৃতদেহ উদ্ধারের সময় ফরেনসিক দলও ঘটনাস্থলে ছিল ৷ তারাও একাধিক নমুনা সংগ্রহ করেছে ৷
আশ্রমিকদের থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে যে সকালে অনেকক্ষণ ঘর থেকে মহন্ত দুর্বল দাস বের না হওয়ায়, তাঁরা ডাকাডাকি করেন ৷ তার পরও কোনও সাড়া মেলেনি ৷ তখনই তাঁদের সন্দেহ হয় ৷ দরজা ভেঙে দেখা যায় ওই মহন্ত অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৷ সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসককে খবর দেওয়া হয় ৷ চিকিৎসক এসে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ এর পর খবর যায় পুলিশের কাছে ৷
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, রাতেই শ্বাসরোধ করে মহন্ত দুর্বল দাসকে খুন করা হয়েছে ৷ অন্য আশ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ ওই মহন্তর দু’জন শিষ্যের বিষয়ে জানতে পারে ৷ তাঁদের একজন ঋষভ শুক্লা ৷ তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি আশ্রমে ৷ তাঁর সন্ধানে পুলিশ চারটে টিম তৈরি করেছে ৷ ওই টিমগুলি এখন বিভিন্ন জায়গায় ঋষভের সন্ধান করছে ৷
ওই আশ্রমে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে ৷ স্বাভাবিকভাবে পুলিশ ওই সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে গিয়ে জানতে পারে রাতে সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ সেই কাজটি করেছেন সন্দেহভাজন দ্বিতীয় শিষ্য ৷ তাঁকে পুলিশ আপাতত আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ৷
পুলিশ খতিয়ে দেখছে, কী কারণে খুন ? মহন্ত দুর্বল দাসের সঙ্গে এই দু’জন শিষ্যর কোনও গোলমাল হয়েছিল কি না ! টাকা-পয়সা বা অন্য কিছুর জন্য এই খুন কি না ! এই ঘটনার পিছনে অন্য কেউ জড়িয়ে রয়েছে কী ?
আরও পড়ুন: তেলেঙ্গানার যুবতিকে চাকরি দেওয়ার নামে লখনউয়ে ডেকে 'গণধর্ষণ', গ্রেফতার 3