মোতিহারি (বিহার), 15 এপ্রিল: আবারও বিহারে বিষমদ খেয়ে মৃত্যুর অভিযোগ উঠল ৷ এবারের ঘটনাস্থল রাজ্যের পূর্ব চম্পারণ ৷ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার থেকে এখনও পর্যন্ত এই জেলার অন্তত 22 জন বাসিন্দা বিষমদের বলি হয়েছেন ! যদিও মৃতের পরিজনেরা এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন ৷ তাঁরা বিষমদ পানের বিষয়টিও অস্বীকার করছেন ৷ মৃতদের মধ্যে বাবা-ছেলেও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ দাবি করা হচ্ছে, এই দু'জনই বিষমদের কারবার চালাতেন ৷ কিন্তু, তাঁদের মৃত্যুর পরই তড়িঘড়ি প্রশাসনের তরফে দু'জনের দেহ দাহ করে দেওয়া হয় ! যা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ কেউ কেউ বলছেন, প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দিতেই এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরসিদ্ধি থানা এলাকায় মৃত্যুমিছিল শুরু হয় বৃহস্পতিবার রাত থেকে ৷ প্রথমে এই এলাকার অন্তর্গত মঠ লোহিয়ার বাসিন্দা উপরোক্ত বাবা-ছেলের মত্যু হয় চারঘণ্টার ব্য়বধানে ৷ এঁরা হলেন নবল দাস ও তাঁর ছেলে পরমেন্দ্র দাস ৷ দ্রুত তাঁদের দেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয় ৷ ঘটনার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন পরমেন্দ্রর স্ত্রী ৷ এদিকে, এসবের পর একে একে আরও অনেকের মৃত্যুর খবর আসতে শুরু করে ৷ বাড়তে থাকে অসুস্থের সংখ্যা ৷ প্রশাসন ও সরকারি চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে, অসুস্থতার কারণ ডায়রিয়া ৷ কিন্তু, স্থানীয় বাসিন্দারা এই তত্ত্ব মানতে নারাজ ৷ তাঁরা চাইছেন, ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক ৷ তাতে যদি বিষমদ খেয়ে মৃত্যুর অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে দোষী সকলের আইনানুগ কঠোর শাস্তি হোক ৷
আরও পড়ুন: বিহার বিষমদ পান করে 4 জনের মৃত্যু, গ্রেফতার 10
সরকারি চিকিৎসক অঞ্জনি কুমারকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও বিষমদের প্রসঙ্গে এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি ৷ তাঁর বক্তব্য, তদন্ত চলছে ৷ দেহগুলির ময়নাতদন্ত না হওয়ার পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয় ৷ অসুস্থদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে শোনা যাচ্ছে ৷ তাঁদের মধ্য়ে দু'জনকে মুজাফ্ফরপুরের হাসপতালে 'রেফার' করা হয়েছে ৷ জেলাশাসকের দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, হরসিদ্ধি ছাড়াও তুরকাউলিয়া, সুগৌলি এবং পাহাড়পুরে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ৷ এবং মৃতের সংখ্য়া ক্রমশ বাড়ছে ৷ কী কারণে এই অঘটন, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷