তামিলনাড়ু, 17 অক্টোবর: পূর্ণবয়স্ক হাতির দেহ পড়ে থাকতে দেখে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায় ৷ তামিলনাড়ু-কেরলের সীমান্ত'র কাছে রয়েছে আপ্পানুর জঙ্গল ৷ সেখানেই গ্রামে প্রবেশের সময় বৈদ্যুতিক তারে আটকে যায় হাতিটি ৷ তবে এই জঙ্গলে প্রচুর হাতি রয়েছে। এই হাতিগুলি সাধারণত কেরল- তামিলনাড়ুর বনাঞ্চলে ঘোরাফেরা করে। রবিবার বিদ্যুতের তারের সঙ্গে সংস্পর্শ হয় ওই দাঁতালটির ৷ তারপরই বিপত্তি!
গ্রামবাসীরা জানান, ভোররাতে হাতির চিৎকারে ঘুম ভাঙে তাঁদের। তাঁরা ঘর থেকে বেরিয়ে এসে হাতির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে বন দফতরে খবর দেন। বন দফতরের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে হাতিটির দেহ উদ্ধার করে ৷ পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। কী কারণে হাতিটির মৃত্যু হল তা তদন্ত করে দেখছে আগাশি বন বিভাগ। যেহেতু প্রাথমিক অনুমান করা হয়েছে যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে তাই বিদ্যুৎ বিভাগের আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে ডাকা হয়েছে ৷
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, জঙ্গলে খাবারের পরিমাণ কমে এসেছে। জঙ্গলে পর্যাপ্ত খাবার না-পেয়ে লোকালয়ে বা চাষের জমিতে এসে ঢুকছে হাতি। ফসল নষ্ট করছে বলে চাষিদের অভিযোগ। স্থানীয় চাষিদের একাংশের দাবি, প্রায়শই ফসল নষ্ট হওয়ায় কয়েকজন বাধ্য হয়ে চাষের জমি বিদ্যুতবাহী তার দিয়ে ঘিরে রাখছে। সেই কারণেই এমন ঘটনা কি না সেই প্রশ্নই উস্কে দিয়েছেন কেউ কেউ।
আজকের হাতির দেহ উদ্ধারের পর এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুতে গত 10 বছরে মোট 79টি হাতি বিদ্য়ুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্য়ু হয়েছে, যার মধ্যে 61 শতাংশের মৃত্যু হয়েছে বিদ্যুতের লাইন অবৈধ হওয়ার কারণে ৷ আর বাকি হাতির মৃত্যু ঘটেছে যখন তারা বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে এসেছে ৷ অন্যদিকে, বন দফতরের তরফে জানা গিয়েছে, যেখানে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে, সেখানে থাকা বৈদ্যুতিক তার অবৈধ ৷ এমন কাজ গ্রামবাসীদের ৷
আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামে ফের পূর্ণবয়স্ক হাতির মৃত্যু, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা