নয়াদিল্লি, 19 মে : নিঠারি হত্যা মামলা ৷ শুনলেই পিলে চমকে ওঠার মতো ৷ 2006 সালে নিঠারি হত্যা মামলা স্তম্ভিত করে দিয়েছিল গোটা দেশকে । যেখানে মনিন্দর সিং পান্ধেরের বাড়ির একটি নর্দমায় একাধিক শিশু ও মহিলার হাড়গোড় পেয়েছিল পুলিশ । সেই নিঠারি হত্য়া মামলার রায় ঘোষণা হল বৃহস্পতিবার (Noida Serial Murder Case ) ৷ গাজিয়াবাদের বিশেষ সিবিআই আদালত বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করে । ভৃত্য সুরেন্দ্র কোলি এবং মনিন্দর সিং পান্ধেরের শাস্তি ঘোষণা করেছে আদালত । মূলত এই ঘটনার 14 তম মামলায় ভৃত্য সুরেন্দ্র কোলিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে ৷ পান্ধেরকে এই 14তম মামলায় অনৈতিকভাবে পতিতাবৃত্তির জন্য দোষী বিবেচনা করে 7 বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ৷
আসামিপক্ষের আইনজীবী এদিন জানান, মামলার রায় এসেছে । এই মামলা থেকে পুরো নিঠারি ঘটনায় কি হয়েছিল তা ফাঁস হয়েছে ৷ এই মামলায় পরিচারক সুরেন্দ্র কোলিকে 364 ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, 376 ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং 302 ধারায় মৃত্যুদণ্ড এবং অন্যান্য মামলায় সাজা ঘোষণা করা হয়েছে । এছাড়াও দ্বিতীয় দোষী মনিন্দর সিং পান্ধেরকে অনৈতিকভাবে দেহ ব্য়বসা সংক্রান্ত মামলায় 2 বছর এবং 5 ধারায় 7 বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে ।
আরও পড়ুন : Kultali Woman Death : পণের দাবিতে গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ, আটক মৃতার স্বামী ও শাশুড়ি
তিনি আরও জানান, নিঠারি মামলায় 16টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল । এর মধ্যে সুরেন্দ্র কোলি 14টি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ৷ মনিন্দর সিং পান্ধেরের বিরুদ্ধে নথিভুক্ত হওয়া 7টি মামলার মধ্যে দুটিতে তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত ।
নিঠারি মামলায় সিবিআই এর পক্ষ থেকে মোট 17টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছিল । এর মধ্যে 16টির বিচার শুরু হয়েছে । সুরেন্দ্র কোলিকে 12টি মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে । 2009 সালের 13 ফেব্রুয়ারি সুরেন্দ্র কোলিকে প্রথমবারের মতো মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় । বর্তমানে পান্ধের এবং কোলি গাজিয়াবাদের ডাসনা জেলে বন্দি । 14 তম মামলা একটি মহিলা সম্পর্কিত ৷ যিনি রহস্য়জনকভাবে বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন । এই ঘটনায় অপহরণের মামলা হয়েছে । সুরেন্দ্র কোলির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ওই তরুণীর মোবাইল ফোন । এরপর পান্ধেরের সন্ধান পেয়ে ডি-5 কোঠির একটি ড্রেন থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার হয় । পরে দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হলে ডিএনএ পরীক্ষার পর মেয়েটিকে শনাক্ত করা হয় ।
প্রসঙ্গত, 2006 সালে নিঠারি হত্যা রহস্য় গোটা দেশের সামনে আসে । পান্ধেরের একটি বাড়ির নর্দমায় থেকে একাধিক শিশু ও মহিলার হাড়গোড় পেয়েছিল পুলিশ । ঘটনার পর পর তদন্তে নেমে সিবিআই জানতে পারে, বিভিন্নভাবে নানা অছিলায় পান্ধেরের ওই বাড়িতে যুবতী ও শিশুদের নিয়ে যাওয়া হত । এরপরই তাঁদের ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ।