ETV Bharat / bharat

26/11; তারপর এক যুগ...

সেই দিনের ওই হামলার পর থেমে যায়নি বাণিজ্য নগরী ৷ উলটে আরও পাঁচগুণ বেশি গতিতে ছুটছে সারা শহর৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই রাতের জখম অনেকটাই ভরাট হয়েছে ঠিক৷ কিন্তু মুম্বইবাসীর স্মৃতিতে এখনও চাটকা সেই আঘাত৷

Mumbai terror attack
Mumbai terror attack
author img

By

Published : Nov 26, 2020, 9:08 PM IST

মুম্বই, 26 নভেম্বর : তারিখটা ছিল 26 নভেম্বর৷ আজকের তারিখ৷ শুধু সাল বদলেছে৷ কেটে গেছে 12টা বছর৷ 2008 সালে আজকের দিনেই দশকের সব থেকে বড় জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছিল বাণিজ্য নগরী৷ ঘন ঘন এ কে 47-এর গুলির শব্দে রাতের ঘুম উরেছিল মুম্বইবাসীর৷ নাশকতাবাদীদের গুলিতে প্রাণ হারিয়ে ছিলেন অন্তত 197 জন৷ আহত হয়েছিলেন 600 জন৷ এক রাতে কামা হাসপাতাল, ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস, ওবেরয় হোটেল, তাজ হোটেল, লিওপোল্ড ক্যাফে, ও মুম্বই ছাবাদ হাউস সহ মোট ছয়টি উল্লেখযোগ্য জায়গায় হামলা চালায় নাশকতাবাদীরা৷ রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছিল হামলার তীব্রতাও৷ নাশকতা রুখতে তৎপর হয় মুম্বই পুলিশ৷ সংঘর্ষে প্রাণ হারান পুলিশকর্মী আহতও হন বেশ কয়েকজন৷ এই ঘটনার পর কেটে গেছে এক যুগ৷ তবে থেমে যায়নি মুম্বইয়ের প্রাণ৷ উলটে আরও পাঁচগুণ বেশি গতিতে ছুটছে সারা শহর৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই রাতের জখম অনেকটাই ভরাট হয়েছে ঠিক৷ কিন্তু মুম্বইবাসীর স্মৃতিতে এখনও চাটকা সেই আঘাত৷

তাজ হোটেল
তাজ হোটেলে কমপক্ষে 300 জনকে পণবন্দি করে আততায়ীরা

মুম্বইয়ের অন্যতম ব্যস্ত রেল স্টেশন ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাস৷ প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী নিজেদের গন্তব্যে যাতায়াত করে এই স্টেশন থেকে৷ ওই দিন সময়টা ছিল ঘরে ফেরার৷ সারাদিন কাজ-কর্ম সেরে নিজের আস্থানায় ফেরার জন্য প্রতিদিনের মতোই ওই রাতেও স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় ছিলেন কয়েক হাজার যাত্রী৷ এমন সময় লিওপোল্ড ক্যাফেতে হয় প্রথম হামলা ৷

তদন্ত করছে মুম্বই পুলিশ
তদন্ত করছে মুম্বই পুলিশ

তার ঠিক কিছুক্ষণ পরই জঙ্গিদের অপর একটি দল নিজেদের সঙ্গে রাখা আগ্নেয়াস্ত্র থেকে এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাসে৷ সেই রাতে মুম্বইয়ের রাজপথে বয়েছিল রক্তের ধারা৷ পর দিন সকালেও স্টেশনে লেগেছিল চাপ চাপ রক্ত৷ সারা শহর জুড়ে ছেয়ে ছিল আতঙ্কের কালো মেঘ৷ ওই রাতে ছত্রপতি রেল স্টেশনে নাশকতাবাদীদের ছোড়া গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত 58 জন৷ আহত হয়েছিলেন 100 জনের বেশি৷

পড়ে রয়েছে কার্তুজ
পড়ে রয়েছে কার্তুজ

নাশতকার হাতে থেকে নিস্তার পায়নি ওবেরয়, তাজ হোটেল, লিওপোল্ড ক্যাফে৷ ওবেরয় হোটেলে সেই সময় উপস্থিত কমপক্ষে 300 জনকে পণবন্দি করে আততায়ীরা ৷ তাঁদের মধ্যে 30জনের হত্যা করা হয়৷ পালটা NSG কমান্ডরের গুলিতে খতম হয় দুই জঙ্গি৷

গুলির শব্দে ভেঙেছে দরজার কাঁচ
গুলির শব্দে ভেঙেছে দরজার কাঁচ

তবে তাজ হোটেলে হামলার পরই সারা বিশ্বে সারা ফেলেছিল এই ঘটনা৷ হামলার জেরে কমপক্ষে 31 জন নিহত হন৷ পালটা চার জঙ্গিকে খতম করে মুম্বই পুলিশ৷ পাশাপাশি জঙ্গিদের আরও দুইটি দল হামলা করে ছাবাদ হাউস ও লিওপোল্ড ক্যাফেতে৷ মূলত সেই সময় ক্যাফেতে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো৷ সেখানেই 10 জনকে হত্যা করে আততায়ীরা৷

মুম্বই, 26 নভেম্বর : তারিখটা ছিল 26 নভেম্বর৷ আজকের তারিখ৷ শুধু সাল বদলেছে৷ কেটে গেছে 12টা বছর৷ 2008 সালে আজকের দিনেই দশকের সব থেকে বড় জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছিল বাণিজ্য নগরী৷ ঘন ঘন এ কে 47-এর গুলির শব্দে রাতের ঘুম উরেছিল মুম্বইবাসীর৷ নাশকতাবাদীদের গুলিতে প্রাণ হারিয়ে ছিলেন অন্তত 197 জন৷ আহত হয়েছিলেন 600 জন৷ এক রাতে কামা হাসপাতাল, ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস, ওবেরয় হোটেল, তাজ হোটেল, লিওপোল্ড ক্যাফে, ও মুম্বই ছাবাদ হাউস সহ মোট ছয়টি উল্লেখযোগ্য জায়গায় হামলা চালায় নাশকতাবাদীরা৷ রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছিল হামলার তীব্রতাও৷ নাশকতা রুখতে তৎপর হয় মুম্বই পুলিশ৷ সংঘর্ষে প্রাণ হারান পুলিশকর্মী আহতও হন বেশ কয়েকজন৷ এই ঘটনার পর কেটে গেছে এক যুগ৷ তবে থেমে যায়নি মুম্বইয়ের প্রাণ৷ উলটে আরও পাঁচগুণ বেশি গতিতে ছুটছে সারা শহর৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই রাতের জখম অনেকটাই ভরাট হয়েছে ঠিক৷ কিন্তু মুম্বইবাসীর স্মৃতিতে এখনও চাটকা সেই আঘাত৷

তাজ হোটেল
তাজ হোটেলে কমপক্ষে 300 জনকে পণবন্দি করে আততায়ীরা

মুম্বইয়ের অন্যতম ব্যস্ত রেল স্টেশন ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাস৷ প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী নিজেদের গন্তব্যে যাতায়াত করে এই স্টেশন থেকে৷ ওই দিন সময়টা ছিল ঘরে ফেরার৷ সারাদিন কাজ-কর্ম সেরে নিজের আস্থানায় ফেরার জন্য প্রতিদিনের মতোই ওই রাতেও স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় ছিলেন কয়েক হাজার যাত্রী৷ এমন সময় লিওপোল্ড ক্যাফেতে হয় প্রথম হামলা ৷

তদন্ত করছে মুম্বই পুলিশ
তদন্ত করছে মুম্বই পুলিশ

তার ঠিক কিছুক্ষণ পরই জঙ্গিদের অপর একটি দল নিজেদের সঙ্গে রাখা আগ্নেয়াস্ত্র থেকে এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাসে৷ সেই রাতে মুম্বইয়ের রাজপথে বয়েছিল রক্তের ধারা৷ পর দিন সকালেও স্টেশনে লেগেছিল চাপ চাপ রক্ত৷ সারা শহর জুড়ে ছেয়ে ছিল আতঙ্কের কালো মেঘ৷ ওই রাতে ছত্রপতি রেল স্টেশনে নাশকতাবাদীদের ছোড়া গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত 58 জন৷ আহত হয়েছিলেন 100 জনের বেশি৷

পড়ে রয়েছে কার্তুজ
পড়ে রয়েছে কার্তুজ

নাশতকার হাতে থেকে নিস্তার পায়নি ওবেরয়, তাজ হোটেল, লিওপোল্ড ক্যাফে৷ ওবেরয় হোটেলে সেই সময় উপস্থিত কমপক্ষে 300 জনকে পণবন্দি করে আততায়ীরা ৷ তাঁদের মধ্যে 30জনের হত্যা করা হয়৷ পালটা NSG কমান্ডরের গুলিতে খতম হয় দুই জঙ্গি৷

গুলির শব্দে ভেঙেছে দরজার কাঁচ
গুলির শব্দে ভেঙেছে দরজার কাঁচ

তবে তাজ হোটেলে হামলার পরই সারা বিশ্বে সারা ফেলেছিল এই ঘটনা৷ হামলার জেরে কমপক্ষে 31 জন নিহত হন৷ পালটা চার জঙ্গিকে খতম করে মুম্বই পুলিশ৷ পাশাপাশি জঙ্গিদের আরও দুইটি দল হামলা করে ছাবাদ হাউস ও লিওপোল্ড ক্যাফেতে৷ মূলত সেই সময় ক্যাফেতে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো৷ সেখানেই 10 জনকে হত্যা করে আততায়ীরা৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.