দিল্লি, 11জুন : দিল্লির কস্তুরবা হাসপাতালে রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা গণ ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। কোরোনা পরিস্থিতিতে বিক্ষোভে বসা উচিত নয় বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান কস্তুরবা হাসপাতালের চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ডঃ সুনীল কুমার।
তিনি জানান, ওই চিকিৎসকেরা বিগত তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। তিনি একটি ভিডিয়ো মেসেজে বলেন, " বিগত তিন মাস ধরে কস্তুরবা হাসপাতালের কোনও রেসিডেন্ট চিকিৎসক বেতন পাননি। এই পরিস্থিতিতে প্রতিবাদে বসা উচিত নয় বলেই আমরা গণ ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা পরিষেবা দেওয়া বন্ধ করিনি। কিন্তু হাসপাতাল যদি আমাদের বেতন দিতে না পারেন, তাহলে আমরা অন্য হাসপাতালে পরিষেবা দিতে ইচ্ছুক। "
তিনি আরও যোগ করে বলেন, " সাধারণ মানুষ আমাদের কোরোনা যোদ্ধা বলে আখ্যা দিচ্ছেন। সাধারণ মানুষ আমাদের সম্মান করছেন, এটি খুব ভালো কথা। কিন্তু এটা কি সম্মান জানানোর কোন পদ্ধতি? আমরা আমাদের বেতন চাই। আমি চাই দিল্লির মানুষ জানুক যে দিল্লির চিকিৎসকেরা বেতন পাচ্ছেন না। "
কস্তুরবা হাসপাতালের চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সকল সদস্য-চিকিৎসকেরা হাসপাতালে অতিরিক্ত সুপারকে একটি চিঠি দিয়ে জানান, 16 জুনের মধ্যে বেতন না পেলে, সকলে গণ ইস্তফা দেবেন।
ওই চিঠিতে লেখা হয়, " এই প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে সকল চিকিৎসকরা নিজেদের এবং পরিবারের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। এরমধ্যে বেতন না পাওয়ায় আমরা বাড়ি ভাড়া, যাতায়াতের বিপুল খরচ বহন করতে এমনকী, অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীও কিনতে পারছি না। "
ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, " আমরা টাকা ছাড়া কাজ করতে পারব না। কোরোনা পরিস্থিতিতে আমরা প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে কাজ করছি। এর জন্য আমাদের সঠিক সময়ে বেতন দেওয়া উচিত। যদি 16 তারিখের মধ্যে বেতন না দেওয়া হয় এবং ভবিষ্যতে সঠিক সময়ে বেতন পাওয়ার নিশ্চয়তা না দেওয়া হয়, তাহলে আমরা গণ ইস্তফা দিতে বাধ্য হব। আশা করা হচ্ছে, কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেবে এবং সময়ের মধ্যেই এই পরিস্থিতির সমাধান করবে।"