কলকাতা, 11 নভেম্বর: সোমবার আদালতের নির্দেশেই শুনানির জন্য শিয়ালদা আদালতে পেশ করা হয় আরজি কর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে। পাশাপাশি, এই ঘটনায় আজ এই ঘটনায় দ্বিতীয় চার্জশিট পেশ করা হতে পারে আদালতে। আরজি কর কাণ্ডের প্রথম দুই সাক্ষী হিসাবে আজ আদালতে বয়ান দেবেন নির্যাতিতার বাবা-মা। শিয়ালদহ আদালতে তাঁদের বয়ান নথিভূক্ত করবেন এই মামলার বিচারক।
এই মামলায় মোট 128 জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে আদালতে। এই 128 জনের মধ্যে রয়েছেন কলকাতা পুলিশ, জুনিয়র চিকিৎসক, ফরেন্সিক বিভাগের আধিকারিক-সহ আরও অনেকে। প্রত্যেকেরই বয়ান পরপর নথিবদ্ধ করা হবে। তবে, এই সাক্ষ্যগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হবে নির্যাতিতার বাবা-মা-কে দিয়ে ৷ আজ প্রথমে নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবার বয়ান নথিভূক্ত করা হবে ৷ এর পরে নির্যাতিতার মায়ের বয়ান নথিভূক্ত করবেন বিচারক ৷
এর আগের দিন সঞ্জয় রায় সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে দাবি করেছিল, তাকে সরকার ফাসাচ্ছে । আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার সঙ্গে সেই কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। আজ ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তার জন্য আজ শিয়ালদা আদালতে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
সঞ্জয়ের শুনানির পাশাপাশি আজ এই ঘটনায় সাক্ষ্য গ্রহণের পক্রিয়া শুরু হবে। সিবিআই সূত্রের খবর, 51 জনের সাক্ষ্য নিতে পারে শিয়ালদা আদালত। কারণ, এই ঘটনায় দেওয়া চার্জশিটে সাক্ষীদের তালিকায় এই 51 জনের নাম দিয়েছে সিবিআই ৷ সোমবার শিয়ালদা আদালতে অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করতে পারে। সেই চার্জশিটে নাম থাকতে পারে সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র এবং তথ্য প্রমাণের লোপাটের অভিযোগ আনা হতে পারে এঁদের বিরুদ্ধে। এমনটাই জানা গিয়েছে।
সিবিআই সূত্রের খবর, গত 14 সেপ্টেম্বর টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মন্ডল ও আরজি কর হাসপাতালের প্রক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই। মূলত, তাদের বিরুদ্ধে গত 9 অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে ওই তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর ঘটনাস্থল থেকে তথ্য-প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছিল । এই দু'জনের বিরুদ্ধেই এই ঘটনায় দ্বিতীয় চার্জশিট জমা দিতে পারে সিবিআই।
এর আগে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে 'বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স' জোগার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সঞ্জয় রায় একমাত্র অভিযুক্ত। আগে এই ঘটনার প্রথম চার্জশিটেই উল্লেখ করেছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।