এই মাইন সুরক্ষিত গাড়িটি অর্থাৎ MPV ( Mine Protected Vehicle ) তৈরি করেছে ভারতীয় অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি ৷ এই যুদ্ধ গাড়িটি ব্যবহার করা হয় ভারতীয় সেনায় ও সেন্ট্রাল রিজ়ার্ভ পুলিশ ফোর্সে ৷ দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যাসপির PK II থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই যুদ্ধ গাড়িটি তৈরি করা হয় ৷ ক্যাসপির PK II যুদ্ধ গাড়িটি ভারত ব্যবহার করেছিল 1990 সালে ৷
এরপর সেই গাড়িটি থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে ভারতীয় অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি তৈরি করে আরও উন্নত একটি মাইন সুরক্ষিত যুদ্ধ গাড়ি ৷ তবে, গাড়িটি শুধু মাইন সুরক্ষিতই নয় ৷ এই গাড়িতে থাকা রিমোর্ট কন্ট্রোলে চলা অস্ত্র সিস্টেম নিমেষে ধ্বংস করতে পারে শত্রুপক্ষের ঘাঁটি ৷
2001 সালে প্রথম এই যুদ্ধ গাড়িটি তৈরি করা হয় ৷ খরচ পড়ে মোট 14 মিলিয়ন ডলার ৷ এরপর তা 2004 সালে নেপালে রপ্তানি করা হয় ৷ 2005 সালে এই যুদ্ধ গাড়িটি আরও একটি সংস্করণ তৈরি করা হয় ৷ বর্তমানে এই মাইন সুরক্ষিত গাড়িটির দুটিই সংস্করণ রয়েছে ৷ 2007 সালে মেদাকের অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিতে প্রথম সংস্করণ ' আদিত্য ' তৈরি করা হয় ৷ ভারতীয় সেনার সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী , 1400 টি গাড়ির চুক্তি করা হয় ৷ 2007 সালের নভেম্বর মাসের মধ্যে তৈরি করা হয় 250 টি গাড়ি ৷
প্রধানত IED বিস্ফোরণ আটকাতেই এই যুদ্ধ গাড়ি ব্যবহার করা হয় ৷ বর্তমানে কাশ্মীরেও এই গাড়ি পাঠানো হয়েছে ৷ সীমান্ত ছাড়াও দেশের অন্দরে নকশাল হামলা রুখতে ব্যবহার করা হয় এই গাড়ি ৷
2012 সালে আরও উন্নত যুদ্ধ গাড়ি তৈরি করার প্রস্তাব আনা হয় ৷ এরপর তৈরি করা হয় আরও উন্নত মাইন সুরক্ষিত গাড়ি ' যুক্তিরথ ' ৷ 2009 সালে ভারতীয় সেনার অর্ডারে 14 টি যুক্তিরথ তৈরি করা হয় ৷ 2012 সালের একটি ডিফেন্স এগজ়িবিশনে যুক্তিরথকে সর্বসমক্ষে আনা হয় ৷ 2016 সালের সেপ্টেম্বর মাসে আরও 250 টি যুক্তিরথ তৈরির অর্ডার দেয় ভারতীয় সেনা ৷ 2018 সালে জবলপুরের অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি তৈরি করে সেই 250 টি যুক্তিরথ ৷ ভারতীয় সেনার তরফে সেগুলি পাঠানো হয় কাশ্মীর ও দেশের উত্তর সীমান্তে ৷
2016 সালে দুবাইতে একটি অনুষ্ঠানে এই উন্নত প্রযুক্তির মাইন সুরক্ষিত যুদ্ধ গাড়ি তৈরির জন্য মেদাকের অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি গোল্ডেন পিকক ইনোভেটিভ অ্যাওয়ার্ড পায় ৷
ভারতীয় সেনা এই MPV কে Wer’wolf MKII - এর বিপরীতে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে ৷ IED বিস্ফোরণেও এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয় ৷ তবে, এখনও পর্যন্ত বরফের উপর এই গাড়ির পরীক্ষা করা হয়নি ৷