দিল্লি, 20 জুন : লাদাখের গালওয়ান ভ্যালিতে সম্প্রতি সংঘর্ষের পর ভারত-চিন সম্পর্ক ফের খারাপের দিকে ৷ এর মধ্যেই বেজিং ভারতের প্রতিবেশী দেশ ও শক্তিশালী মিত্র বাংলাদেশকে আক্রমণাত্মকভাবে উসকে দিচ্ছে বলে বলে মনে করা হচ্ছে ৷
লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে পরিস্থিতির খারাপ হওয়া এবং নেপাল তাদের নতুন মানচিত্রে ভারতীয় অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করা ৷ দু'টিই মিলিতভাবে চাপ তৈরি করেছে ভারতের উপর ৷
ভারত-চিন সংঘর্ষে শহিদ হন 20 জন সেনাকর্মী ৷ এর প্রতিশোধ নিতে চিনের অর্থনীতির ক্ষতি করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করছে ভারত ৷ এরই মধ্যে বেজিং বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য যোগাযোগ করেছে ৷ 5,161টি পণ্যের উপর 97 শতাংশ শুল্ক ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে চিন ৷ ঢাকাকে বেজিংয়ের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ৷
কম উন্নত দেশ হওয়ার কারণে বাংলাদেশের তরফেই প্রথম এই ছাড়ের কথা চিনকে বলা হয়েছিল ৷ আর লাদাখে সংঘর্ষের একদিন পরই অর্থাৎ 16 জুন চিনও সেই পদক্ষেপ করে ৷ বাংলাদেশ বিদেশমন্ত্রকের একটি বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের পণ্যগুলির উপর 97 শতাংশ শুল্কে ছাড় দেওয়ার কথা নোটিস দিয়ে 16 জুন জানিয়েছে চিনের অর্থমন্ত্রকের স্টেট কাউন্সিলের শুল্ক কমিশন ৷ এই ছাড় 1 জুলাই থেকে কার্যকর হবে ৷
আগে এশিয়া-প্যাসিফিক বাণিজ্যিক চুক্তির অধীনে 3,095টি পণ্যের শুল্ক-মুক্ত বাণিজ্য করত বাংলাদেশ ৷ তার সঙ্গেই সংযোজন হল এই নতুন তালিকাটি ৷ বেজিংয়ের সঙ্গে ঢাকার এই ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় দিল্লি কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে ৷ কারণ, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বহু বছরের ভালো সম্পর্ক চিনকে দূরে রাখতে সাহায্য করত ৷ কিন্তু, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও NRC-র কারণে কিছুটা হলেও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে চিড় ধরে ৷ যার জেরে ঢাকায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয় ৷