ETV Bharat / bharat

অনলাইন ক্লাসে বাধা, লাতেহারে ফিরবে না তো আগের ছবি?

author img

By

Published : Jul 18, 2020, 9:08 AM IST

একসময় মাওবাদীদের আখড়া ছিল ঝাড়খণ্ডের লাতেহার জেলা । পড়াশোনা ছিল অনেক দূরে । পরে পড়াশোনা শুরু হলেও কোরোনার জেরে ফের ভাঁটা পড়ে তাতে ।

ছবি সৌজন্যে : ETV ভারত ইংলিশ
ছবি সৌজন্যে : ETV ভারত ইংলিশ

ধানবাদ, 18 জুলাই : ঘুম ভাঙলেই বোমা-গুলির শব্দ । বাতাসে ভাসত বারুদের গন্ধ । আজ এখানে খুন তো কাল ওখানে । লাশের খবরই শোনা যেত সবসময় । মাওবাদীদের আখড়া ছিল ঝাড়খণ্ডের লাতেহার জেলা । বড় থেকে ছোটো সবারই প্রায় স্বপ্ন ছিল, মাওবাদী কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করার । পড়াশোনা ছিল অনেক দূরে ।

পিছিয়েপড়া জেলাগুলির অন্যতম । একদিকে অর্থাভাব । দিন আনা দিন খাওয়ার সংসারে শিক্ষার চেয়ে এক মুঠো খাবারের চিন্তা এখানকার মানুষের কাছে অনেক বেশি ছিল । তার উপর এই মাওবাদী আখড়া । ভবিষ্যৎ অন্ধকার হচ্ছিল এক এক প্রজন্মের । সম্প্রতি তারা বুঝতে পারে, শিক্ষাই একমাত্র অস্ত্র । যা দিয়ে সমাজে উন্নতি আনা যায় । নিজেদেরও উন্নতি হয় । শুরু হয় বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো । এখন এখানকার বেশিরভাগ বাচ্চাই স্কুলে যায় ।

এভাবে সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল এতদিন । বাধ সাধে কোরোনা । সংক্রমণের জেরে মার্চ মাস থেকে বন্ধ হয়ে যায় স্কুলগুলি । কিছুদিন পর থেকে শুরু হয় অনলাইন ক্লাস । যাতে অনেকেই উপকৃত হয় । কিন্তু যাদের কাছে ফোনটাই নেই ? ফোনের ব্যবহারই যারা জানে না ? বা এই পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট রিচার্জ করার ক্ষমতা নেই ? তাদের কী হবে ? যাদের দিন আন্তে পান্তা ফুরোয়, দু'বেলা দু'মুঠো খাবার ঠিকমতো জোটে না তাদের কাছে কোথা থেকে আসবে স্মার্ট ফোন ? ফলে, মোবাইলের অভাবে পিছিয়ে পড়ছে এইসব ছাত্র-ছাত্রীরা ।

লাতেহারে ফিরবে না তো আগের ছবি?

অনেক ছাত্র-ছাত্রীই বলছে, "কী পড়াশোনা হচ্ছে বুঝতে পারছি না । আমাদের কাছে তো তেমন কোনও ফোন নেই । সিলেবাস কী করে শেষ হবে বুঝতে পারছি না । খুবই অসুবিধা হচ্ছে ।" অনেকেই আবার বলছে, আমাদের বাড়িতে তো ফোনই নেই । ক্লাস হচ্ছে যে সেটাই জানি না । বই থেকেই যতটা নিজে নিজে পড়া যায়, পড়ছি ।

অভিভাবকদের একাংশের কথায়, অনেকেই বাড়িতে বাচ্চাকে সাহায্য করতে পারে । আমরা তো তা'ও পারছি না । পড়াশোনাই জানি না । ফলে, বাচ্চারা পিছিয়ে পড়ছে ।

লাতেহারের অনেকে এখন বলছে, গুলি, বন্দুক ছেড়ে যদিও বা স্কুলমুখী হয়েছিল এরা । আবার সেই পুরানো দিনেই ফিরে যাবে না তো ? ফলে স্কুল কবে খুলবে সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে ।

ধানবাদ, 18 জুলাই : ঘুম ভাঙলেই বোমা-গুলির শব্দ । বাতাসে ভাসত বারুদের গন্ধ । আজ এখানে খুন তো কাল ওখানে । লাশের খবরই শোনা যেত সবসময় । মাওবাদীদের আখড়া ছিল ঝাড়খণ্ডের লাতেহার জেলা । বড় থেকে ছোটো সবারই প্রায় স্বপ্ন ছিল, মাওবাদী কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করার । পড়াশোনা ছিল অনেক দূরে ।

পিছিয়েপড়া জেলাগুলির অন্যতম । একদিকে অর্থাভাব । দিন আনা দিন খাওয়ার সংসারে শিক্ষার চেয়ে এক মুঠো খাবারের চিন্তা এখানকার মানুষের কাছে অনেক বেশি ছিল । তার উপর এই মাওবাদী আখড়া । ভবিষ্যৎ অন্ধকার হচ্ছিল এক এক প্রজন্মের । সম্প্রতি তারা বুঝতে পারে, শিক্ষাই একমাত্র অস্ত্র । যা দিয়ে সমাজে উন্নতি আনা যায় । নিজেদেরও উন্নতি হয় । শুরু হয় বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো । এখন এখানকার বেশিরভাগ বাচ্চাই স্কুলে যায় ।

এভাবে সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল এতদিন । বাধ সাধে কোরোনা । সংক্রমণের জেরে মার্চ মাস থেকে বন্ধ হয়ে যায় স্কুলগুলি । কিছুদিন পর থেকে শুরু হয় অনলাইন ক্লাস । যাতে অনেকেই উপকৃত হয় । কিন্তু যাদের কাছে ফোনটাই নেই ? ফোনের ব্যবহারই যারা জানে না ? বা এই পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট রিচার্জ করার ক্ষমতা নেই ? তাদের কী হবে ? যাদের দিন আন্তে পান্তা ফুরোয়, দু'বেলা দু'মুঠো খাবার ঠিকমতো জোটে না তাদের কাছে কোথা থেকে আসবে স্মার্ট ফোন ? ফলে, মোবাইলের অভাবে পিছিয়ে পড়ছে এইসব ছাত্র-ছাত্রীরা ।

লাতেহারে ফিরবে না তো আগের ছবি?

অনেক ছাত্র-ছাত্রীই বলছে, "কী পড়াশোনা হচ্ছে বুঝতে পারছি না । আমাদের কাছে তো তেমন কোনও ফোন নেই । সিলেবাস কী করে শেষ হবে বুঝতে পারছি না । খুবই অসুবিধা হচ্ছে ।" অনেকেই আবার বলছে, আমাদের বাড়িতে তো ফোনই নেই । ক্লাস হচ্ছে যে সেটাই জানি না । বই থেকেই যতটা নিজে নিজে পড়া যায়, পড়ছি ।

অভিভাবকদের একাংশের কথায়, অনেকেই বাড়িতে বাচ্চাকে সাহায্য করতে পারে । আমরা তো তা'ও পারছি না । পড়াশোনাই জানি না । ফলে, বাচ্চারা পিছিয়ে পড়ছে ।

লাতেহারের অনেকে এখন বলছে, গুলি, বন্দুক ছেড়ে যদিও বা স্কুলমুখী হয়েছিল এরা । আবার সেই পুরানো দিনেই ফিরে যাবে না তো ? ফলে স্কুল কবে খুলবে সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.