দেশের কৃষি ব্যবস্থা এখন ভয়ঙ্কর আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছে ৷ সবুজ বিপ্লবের জেরে দেশের কৃষিক্ষেত্রে যে সাফল্য এসেছিল, তা এখন প্রতিকূলতার মধ্যে সাঁতার কাটছে ৷ এটা সকলেরই জানা যে কৃষিক্ষেত্রই দেশের অর্থনীতির শিরদাঁড়া ৷ এই দেশের 130 কোটি মানুষের মধ্যে 87 কোটি নাগরিকের জীবনযাত্রা নির্ভর করে কৃষিক্ষেত্রের উপর৷ স্বাধীনতার সময় GDP-এ কৃষি ক্ষেত্রের অংশীদারিত্ব ছিল 55 শতাংশ ৷ এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে 13 শতাংশে ৷ বর্তমানে এই দেশের 85 শতাংশেরও বেশি কৃষক সম্প্রদায় খেতমজুর হিসেবে কাজ করে ৷ দেশের মোট খাদ্য সামগ্রী জোগানের অর্ধেকই সরবরাহ করে এই চাষিরা ৷ খাদ্য সুরক্ষা, রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আমদানি, শিল্পক্ষেত্রে কাঁচামাল সংগ্রহ, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নতি ইত্যাদি বিষয়ে কৃষি ক্ষেত্র একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে৷ কিন্তু বর্তমানে চাষবাসের ক্ষেত্র এখন বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন, যার ফলে ক্ষুদ্র চাষিদের জীবনও বিপর্যস্ত ৷ এই ধরনের দুর্দশার পরও মোদি সরকার চাইছে 2022-23 আর্থিক বছরের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করবে ৷ এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কেন্দ্রের তরফে অশোক দালওয়াই-এর নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করে৷ সেই কমিটি সাতটি কৌশল তৈরি করেছে ৷ 2015-16 আর্থিক বছরে কৃষকদের গড় বার্ষিক আয় ছিল 96703 টাকা ৷ কৃষকদের জন্য সহায়ক নীতির মাধ্যমে ওই কমিটি 2022-23 আর্থিক বছরের মধ্যে কৃষকদের বার্ষিক গড় আয় 192694 টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে ৷ কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার জন্য সরকারের এই প্রচেষ্টার বাস্তবায়ন করতে হলে কৃষকদের আয় প্রতি বছর 15 শতাংশ করে বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে বলে অশোক দালওয়াই-এর নেতৃত্বাধীন ওই কমিটি প্রস্তাব দিয়েছে ৷ এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে আগামী দুই বছর কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এটা কত বড় চ্যালেঞ্জ ৷
গত তিন বছরে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে সরকারের এই লক্ষ্য ঠিক কতটা অবাস্তব ৷ কেন্দ্রীয় সরকার এবারের বাজেটে এই সাফল্যে পৌঁছানোর জন্য 16 টি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৷ কিন্তু কোনও লক্ষ্যমাত্রার জন্যই সেই পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি, যার মধ্যেদিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয় ৷
বরাদ্দের উপর কাটছাঁট
বর্তমানে জটিল পরিস্থিতিতে সকলেই মনে করেন কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়নে আগেকার তুলনায় এখন অনেক বেশি বরাদ্দ করা হয় ৷ যদিও 2020-21 আর্থিক বছরের বাজেট সম্পূর্ণ অন্য পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে ৷ প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনা, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের মতো যে বিষয়গুলিতে কৃষকরা সরাসরি সাহায্য পান, সেই ক্ষেত্রগুলিতে এবার বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো হবে বলে আশা করা হয়েছিল ৷ একমাত্র এতেই কৃষকদের আয় বাড়ার সম্ভাবনা ছিল ৷ ওই কমিটি পরামর্শ দিয়েছিল যে 2022-এর মধ্যে যদি কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে হয়, তাহলে অতিরিক্ত 6.4 লাখ কোটি টাকার তহবিল ব্যবহার করা প্রয়োজন৷ কিন্তু এই ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর পরিবর্তে কমিয়ে দেওয়ার ঘটনায় প্রত্যেকেই বিস্মিত হয়েছেন ৷
উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে যে কৃষি এবং সেচের মতো কৃষি সহযোগী ক্ষেত্রগুলিতে বরাদ্দ করা হয়েছে 1.58 লাখ কোটি টাকা ৷ গত বছর এই অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ ছিল 1.52 লাখ কোটি টাকা ৷ যেটা ইঙ্গিত করে যে বরাদ্দ বেড়েছে মাত্র ছয় লাখ কোটি টাকা ৷ বরাদ্দ এত কম পরিমাণ বাড়লে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা সম্ভব নয় ৷ যদি গ্রামোন্নয়নকে ধরা হয়, তাহলে এই বরাদ্দের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় 2.83 লাখ কোটি টাকা ৷ যা এবারের মোট বাজেট বরাদ্দ 30.4 লাখ কোটি টাকার 9.3 শতাংশ ৷ 2019-20 আর্থিক বছরের বাজেটে এর পরিমাণ ছিল 9.83 শতাংশ ৷ এর মানে গ্রামীণ অর্থনীতির মানোন্নয়নে কেন্দ্র বাজেট বরাদ্দ 0.5 শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে ৷ গত আর্থিক বছরে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনায় বরাদ্দ করা হয়েছিল 75 হাজার কোটি টাকা ৷ 8.46 কোটি পরিবারের জন্য সারা বছরে খরচ হয়েছে 42440 কোটি টাকা ৷ এবারের বাজেটেও আবার সেই একই পরিমাণ 75 হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ৷
সারা দেশে সবমিলিয়ে 14.5 কোটি কৃষক রয়েছেন ৷ প্রত্যেক কৃষকের জন্য ছয় হাজার টাকা বরাদ্দ করতে হলে এই বছর মোট বরাদ্দের পরিমাণ হওয়া উচিত ছিল 87 হাজার কোটি টাকা ৷ রাজ্যগুলির অনুরোধের ভিত্তিতে কেন্দ্র বাজারে হস্তক্ষেপ করার বিষয়ে একটি যোজনা বলবৎ করেছে, যার ফলে কৃষকদের নষ্ট হয়ে যাওয়া সামগ্রীর উপর ক্ষতি লাঘব করার বিষয়টি সুনিশ্চিত করা যাচ্ছে । এছাড়াও একটি সহায়ক মূল্যের প্রকল্প রয়েছে । গতবছর এই দুই প্রকল্পের জন্য তিন হাজার কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছিল । কিন্তু এই বছর ওই বরাদ্দে এক হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট করা হয়েছে । ওই একই যোজনাগুলিতে বরাদ্দ করা হয়েছে দুই হাজার কোটি টাকা ।
এটা উল্লেখ্য যে এই বছর শুধুমাত্র অন্ধ্রপ্রদেশেই এই খাতে তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে । 2018 সালে প্রধানমন্ত্রী আশা স্কিম আনা হয়েছিল যে সমস্ত চাষিরা তৈলবীজ এবং ডাল শস্য উৎপাদন করেন তাঁদের জন্য । এই খাতে বাজেট বরাদ্দ 500 কোটি টাকা সংকুচিত করা হয়েছে । এর থেকে গরিব চাষিদের জন্য কিছু করার বিষয়ে সরকারের সদিচ্ছা ঠিক কতটা, তা প্রকাশ পাচ্ছে । বয়স্ক, প্রান্তিক এবং ক্ষুদ্র চাষিদের জন্য তৈরি হওয়া প্রধানমন্ত্রী কিষাণ জনধন যোজনায় 2019 সালে 680 কোটি টাকার বরাদ্দ হয় । কৃষকদের প্রশিক্ষণ এবং তাঁদের মানোন্নয়নের জন্য 10 হাজার সংস্থা তৈরির পরিকল্পনায় বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র 500 কোটি টাকা । এটাও যথেষ্ট বিস্ময়কর । এটাও আশ্চর্যের বিষয় যে এই সংস্থাগুলির জন্য বরাদ্দ হয়েছে মাত্র 500 কোটি টাকা । 2025 সালের মধ্যে সারাদেশে দুগ্ধ উৎপাদন দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে । অন্ধ্রপ্রদেশ ইতিমধ্যেই দেশে দুগ্ধ উৎপাদনে শীর্ষস্থানে রয়েছে । দেশের প্রায় আট মিলিয়ন পরিবার এই পেশার সঙ্গে যুক্ত । এদের একটা বড় অংশ দারিদ্রতার সম্মুখীন । অথচ এই ক্ষেত্রে মাত্র 60 কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে । পোষ্য প্রাণীদের খাবার এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খরচ এখন অনেক দামি হয়েছে এবং এই টাকায় তা কখনওই পাওয়া সম্ভব নয় । এই হারে দুগ্ধ উৎপাদন কোনওভাবেই দ্বিগুণ করা সম্ভব নয় । এছাড়া সারের উপর 11 শতাংশ এবং কর্ম সুরক্ষা যোজনায় 12 শতাংশ বাজেট বরাদ্দ কমানো হয়েছে । কৃষকদের বীজ প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় যে সংস্থা সেই ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (FCI)-র জন্য বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে । গতবছর বরাদ্দ ছিল 184220 কোটি টাকা । এই বছর তা 108688 কোটি টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে । অর্থাৎ ওই তহবিলে 76532 কোটি টাকা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে । যার জেরে কৃষকরা তাঁদের শস্য কম দামে বেসরকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হবেন এবং বরাদ্দ কমে যাওয়ায় FCI তা বেশি দামে কিনতে পারবে না । সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের তুলনায় বাজারদর অনেক কম । ফলে কৃষকদের প্রচুর ক্ষতি মেনে নিয়েই তাঁদের উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রি করতে হয় । কোটি কোটি গ্রামবাসী এবং দিনমজুরদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে কর্ম সুনিশ্চিত প্রকল্প । এই প্রকল্পের বরাদ্দ 71 হাজার কোটি টাকা থেকে কমিয়ে 61 হাজার 500 কোটি টাকা করে দেওয়া হয়েছে । গতবছর কর মুকুবের নামে কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে 1.45 লাখ কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছিল । যা 2014-15 থেকে বকেয়া পড়েছিল । সব মিলিয়ে এই মুকুবের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল 6.6 লাখ কোটি টাকা । অথচ কেন্দ্র এবং রাজ্যস্তরে কৃষকদের ঋণ মুকুবের পরিমাণ ছিল 1.5 লাখ কোটি টাকা ।
দামের উপরই নজর দেওয়া উচিত
কৃষক সম্প্রদায়ের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে না বলেই রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় স্তরে কৃষিঋণে ঋণখেলাপির সংখ্যা থেকেই যাচ্ছে । কৃষিক্ষেত্রের ভালোর জন্য কৃষকদের মুখের দিকে তাকিয়ে সরকারকে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিচার করতে হবে । তাঁদের সমস্যা সমাধানের দাবিতে কৃষকরা পথে নামছেন । কৃষকদের আয় বাড়ছে । তার মানে এই নয় যে তাঁদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে । তাঁদের আয়ের উৎস ধারাবাহিকভাবে উন্নত হওয়া প্রয়োজন । শুধু আয় দ্বিগুণ করলে তাঁদের পরিস্থিতি ভালো হয়ে যাবে না । তাঁদের পরিস্থিতি ভালো করতে গেলে বিভিন্ন সামগ্রী, সার, কীটনাশক এবং শ্রমিকদের মজুরিতে লাগাম টানতে হবে । অর্থের পরিমাণ বাস্তবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাড়তে হবে । যাতে কৃষক এবং অন্যদের চাহিদা পূরণ হয় । কৃষকদের জন্য বড় ক্ষতি তখনই হয়, যদি ফলন আশাপ্রদ না হয় কিংবা আশা বা প্রয়োজনের থেকে ফলন বেশি হয়ে যায় । ফলন বেশি হলে বাজারেও তা বেশি পরিমাণে যায় । তখন তা চাহিদার তুলনায় অনেকটাই বেড়ে যায় । এটা ফসল বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার জেরে যে ক্ষতি হয়, তার থেকেও ঝুঁকিপূর্ণ । তখন সামান্য দরে ওই ফসল বিক্রি করে দেওয়া ছাড়া কৃষকের হাতে আর কোনও উপায় থাকে না । দুধ, পেঁয়াজ, মাছ, টমেটো এবং সবজি এর মধ্যেই পড়ে । এই সমস্যার সমাধান করতে গেলে কোল্ড স্টোরেজ তৈরি করতে হবে । ফসলের বিনষ্ট হয়ে যাওয়া আটকাতে বিমানে কার্গো পরিবহণ ব্যবহারের সুযোগ মালিকদের দিতে হবে । কৃষকরা যাতে কোনওভাবেই কোনও মধ্যসত্ত্বভোগী, বেসরকারি আর্থিক সংস্থার কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ না নেয় সেদিকেও নজরদারি করতে হবে । এটা তখনই এড়ানো সম্ভব, যখন সরকার সামান্য সুদে কৃষকদের ঋণের ব্যবস্থা করবে । একদিকে কেন্দ্র যখন বলছে যে তারা কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার পথে এগোতে চায়, তখন সরকার ফসল বীমা যোজনার প্রিমিয়ামে তাঁদের অংশিদারিত্ব কমিয়ে দিয়েছে । ফলে কৃষকদের বেশি প্রিমিয়াম দিতে হচ্ছে । এতে কৃষকরা যে আরও ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ছে তাও সরকারকে বুঝতে হবে । না হলে কৃষককে স্বনির্ভর করার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে না ।
সঠিক শস্যের নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ
আমাদের দেশের ভৌগলিক অবস্থান ও পরিবেশ নানা ধরনের শস্যের চাষের পক্ষে উপযোগী । পরিবেশ অনুসারে শস্যের চাষ কৃষকদের জন্য খুবই উপকারী । এই বিষয়ে বিজ্ঞানীদের পরামর্শ অবশ্যই কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত । তহবিলে কাটছাঁট করলেও কেন্দ্র কৃষকদের আয় বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে । 2014-19 এর মধ্যে 40.45 লাখ হেক্টর জমিকে ক্ষুদ্রসেচের অধীনে আনা হয়েছে । জাতীয় কৃষি বাজারের (e-NAM) অধীনে আনা হয়েছে দেশের 585 টি মান্ডিকে । স্থানীয় বাজার তৈরি করা হয়েছে (গ্রামীণ হাট) । কৃষক সংগঠনগুলিকে সাহায্য করা হয়েছে । ন্যূনতম সহায়ক মূল্য 50 শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে । ডাল শস্য এবং তৈলবীজ সংগ্রহের পরিধি বাড়ানো হয়েছে । 22.07 কোটি মাটির গুণমান সংক্রান্ত কার্ড বিলি করা হয়েছে । এতে কৃষকদের উৎপাদন খরচ অন্তত আট থেকে 10 শতাংশ কমেছে । এগুলি কৃষকদের উন্নতিতে নেওয়া কয়েকটি মাত্র সরকারি পদক্ষেপের উদাহরণ । এছাড়াও সরকার আরও যে প্রকল্পগুলি এনেছে, তা হল-
১. ফসল বীমা যোজনা আনা হয়েছে । যেখানে কৃষকদের কম প্রিমিয়াম দিতে হবে আর বাকিটা দেবে সরকার ।
২. কৃষি ঋণের পরিমাণ ও সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে ।
৩. কিষাণ ক্রেডিট কার্ড বিলির পরিধি বৃদ্ধি করা হয়েছে ।
৪. সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সংযুক্ত হয়েছে যার মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের একাউন্টে (DBT) টাকা পৌঁছে যাচ্ছে ।
এই প্রকল্প গুলি সবই নেওয়া হয়েছে অর্থনৈতিকভাবে কৃষককে স্বনির্ভর করার জন্য।