ETV Bharat / bharat

বর্তমান ভারত কি গান্ধিকে মনে রেখেছে?

বর্তমানে দাঁড়িয়ে গান্ধি বা তাঁর মতাদর্শের মূল্য নির্ধারণ করতে বলা হলে তা বোকা বোকা লাগবে । তবে সত্যিই কি আমরা এখন গান্ধিকে চিনি?

বর্তমান ভারত কি গান্ধিকে মনে রেখেছে?
author img

By

Published : Sep 3, 2019, 7:12 PM IST

1948 সালের 30 জানুয়ারি । ভারতের ইতিহাসে অন্যতম কালো দিন । দেশ স্বাধীন হয়েছে একবছরও হয়নি । দিল্লির বিড়লা হাউজ় চত্বরে দৈনিক প্রার্থনা সভার জন্য যাচ্ছিলেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধি । সেই সময় কাছ থেকে তিনটি গুলি করে নাথুরাম । রেডিয়োর মাধ্যমে দেশের সর্বত্র গান্ধির মৃত্যুর খবর পৌঁছাতেই 33 কোটি ভারতবাসী শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে । সেদিন অধিকাংশের মুখে খাবার ওঠেনি । কারণ গোটা দেশ কার্যত ছিল গান্ধির বৃহত্তর পরিবার ।

ছোটোদের অনেকেই অবশ্য তখনও বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেনি । অনেকেই বিকেলে খেলার মাঠ থেকে বাড়ি ফিরে মা-বাবাকে কাঁদতে দেখে অবাক হয়েছিল । অনেকেই আবার পরদিন স্কুল ছুটি থাকবে বলে খুশি হয়েছিল । তবে পরদিন অল ইন্ডিয়া রেডিয়োতে ভেসে আসে গান্ধির শেষকৃত্যের বর্ণনা । মা-বাবার পাশে বসে তা শুনতে শুনতে ছোটরাও কিছুটা বুঝতে পারে যে তারা কী হারাল ।

সেই ঘটনার পর কেটে গেছে 71 বছর । বর্তমানে দাঁড়িয়ে গান্ধি বা তাঁর মতাদর্শের মূল্য নির্ধারণ করতে বলা হলে তা বোকা বোকা লাগবে । তবে সত্যিই কি আমরা এখন গান্ধিকে চিনি? বর্তমান ভারতের 130 কোটি ভারতীয় কতটা জানে গান্ধি সম্পর্কে?

আমাদের দেশে গরিবের সংখ্যা অ্যামেরিকার জনসংখ্যা থেকে বেশি । স্বাধীনতার পর সাতদশকেও উন্নত দেশে পরিণত হতে পারিনি আমরা । এই পরিস্থিতিতে জাতির জনককে চেনা কি সম্ভব? গান্ধির মূল্যবোধ কি আজকের ভারতবাসী জানে? আরও বড় প্রশ্ন, গান্ধির মতে কি আমরা আদৌ স্বাধীন?

স্ব-শাসন এবং আত্ম-সংযম । এটাই ছিল গান্ধির মতে স্বরাজের প্রকৃত অর্থ । গান্ধির বিশ্বাস ছিল, মুষ্টিমেয় মানুষের হাতে ক্ষমতা থাকলে স্বরাজ পাওয়া সম্ভব না । তাহলে স্বরাজ কী করে আসবে ? গান্ধির মতে, ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধ করা ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার মাধ্যমেই স্বরাজ আসতে পারে । আর তার জন্য প্রয়োজন জনগণের ক্ষমতায়ন ।

অবশ্য বর্তমান ভারতে এই মনোভাব পোষণ করে কাজ করা কার্যত অসম্ভব । দেশের রাজনৈতিক ও সিভিল সার্ভেন্টদের মাইনে যেখানে প্রতি বছর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, সেখানে আজও দেশের বহু গ্রামে শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি । মোটা অঙ্কের মাইনে পাওয়া রাজনীতিকদের কাছে হয়ত গান্ধির কোনও মূল্য নেই । তবে আজও দেশের সাধারণ মানুষের মনে রয়েছেন গান্ধি । গান্ধির শিক্ষা আজও দেশবাসীকে এগিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করে । তাঁর মূল্যবোধ আজও মানুষকে সঠিক পথে চলার দিশা দেখায় । আজও গান্ধি দেশের সর্বক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক ।

1948 সালের 30 জানুয়ারি । ভারতের ইতিহাসে অন্যতম কালো দিন । দেশ স্বাধীন হয়েছে একবছরও হয়নি । দিল্লির বিড়লা হাউজ় চত্বরে দৈনিক প্রার্থনা সভার জন্য যাচ্ছিলেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধি । সেই সময় কাছ থেকে তিনটি গুলি করে নাথুরাম । রেডিয়োর মাধ্যমে দেশের সর্বত্র গান্ধির মৃত্যুর খবর পৌঁছাতেই 33 কোটি ভারতবাসী শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে । সেদিন অধিকাংশের মুখে খাবার ওঠেনি । কারণ গোটা দেশ কার্যত ছিল গান্ধির বৃহত্তর পরিবার ।

ছোটোদের অনেকেই অবশ্য তখনও বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেনি । অনেকেই বিকেলে খেলার মাঠ থেকে বাড়ি ফিরে মা-বাবাকে কাঁদতে দেখে অবাক হয়েছিল । অনেকেই আবার পরদিন স্কুল ছুটি থাকবে বলে খুশি হয়েছিল । তবে পরদিন অল ইন্ডিয়া রেডিয়োতে ভেসে আসে গান্ধির শেষকৃত্যের বর্ণনা । মা-বাবার পাশে বসে তা শুনতে শুনতে ছোটরাও কিছুটা বুঝতে পারে যে তারা কী হারাল ।

সেই ঘটনার পর কেটে গেছে 71 বছর । বর্তমানে দাঁড়িয়ে গান্ধি বা তাঁর মতাদর্শের মূল্য নির্ধারণ করতে বলা হলে তা বোকা বোকা লাগবে । তবে সত্যিই কি আমরা এখন গান্ধিকে চিনি? বর্তমান ভারতের 130 কোটি ভারতীয় কতটা জানে গান্ধি সম্পর্কে?

আমাদের দেশে গরিবের সংখ্যা অ্যামেরিকার জনসংখ্যা থেকে বেশি । স্বাধীনতার পর সাতদশকেও উন্নত দেশে পরিণত হতে পারিনি আমরা । এই পরিস্থিতিতে জাতির জনককে চেনা কি সম্ভব? গান্ধির মূল্যবোধ কি আজকের ভারতবাসী জানে? আরও বড় প্রশ্ন, গান্ধির মতে কি আমরা আদৌ স্বাধীন?

স্ব-শাসন এবং আত্ম-সংযম । এটাই ছিল গান্ধির মতে স্বরাজের প্রকৃত অর্থ । গান্ধির বিশ্বাস ছিল, মুষ্টিমেয় মানুষের হাতে ক্ষমতা থাকলে স্বরাজ পাওয়া সম্ভব না । তাহলে স্বরাজ কী করে আসবে ? গান্ধির মতে, ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধ করা ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার মাধ্যমেই স্বরাজ আসতে পারে । আর তার জন্য প্রয়োজন জনগণের ক্ষমতায়ন ।

অবশ্য বর্তমান ভারতে এই মনোভাব পোষণ করে কাজ করা কার্যত অসম্ভব । দেশের রাজনৈতিক ও সিভিল সার্ভেন্টদের মাইনে যেখানে প্রতি বছর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, সেখানে আজও দেশের বহু গ্রামে শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি । মোটা অঙ্কের মাইনে পাওয়া রাজনীতিকদের কাছে হয়ত গান্ধির কোনও মূল্য নেই । তবে আজও দেশের সাধারণ মানুষের মনে রয়েছেন গান্ধি । গান্ধির শিক্ষা আজও দেশবাসীকে এগিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করে । তাঁর মূল্যবোধ আজও মানুষকে সঠিক পথে চলার দিশা দেখায় । আজও গান্ধি দেশের সর্বক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক ।

Intro:এক্সক্লুসিভঃ দুর্গাপুরঃ একাধারে দারিদ্রতার সাথে অবিরাম লড়াই,তারপর লড়াই শারীরিক প্রতিবন্ধকতার সাথে আর সেইসব কে সঙ্গী করেই রাজা মগোত্রার সুইজারল্যান্ডে বিশ্ব পারা ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশীপের আসরে পাড়ি দেওয়া।পি,ভি,সিন্ধুর বিশ্বজয়ের কথা সোনার ইতিহাসে যেদিন লেখা থাকল সেদিন আসানসোলের রানীগঞ্জের বাসিন্দা রাজা মোগাত্রাও ওই একই মঞ্চে পারা ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশীপের ডাবলস বিভাগে রাজস্থানের বাদিন্দা কৃষ্ণা নাগরকে সঙ্গী করে দেশকে রুপোর পদক এনে দিয়ে দেশের সাথে সাথে গোটা বাঙলাকে গর্বিত করেছে।সেই রাজার মুখোমুখি হয় ইটিভি ভারত।

রানীগঞ্জের সিয়ারসোলের বাসিন্দা রাজার পরিবারে তারা দুই ভাই ও এক বিধবা দিদি।রাজার বাবা ও মা দুজনের মৃত্যু হয়।বড় দাদা সামান্য রোজগার করে।তাই দিয়েই দুই ভাইয়ের চলছিল।তারপর তার জামাইবাবুর মৃত্যুর পরে দিদিও আসে তাদের সংসারেই।রাজা জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী।তার কোমরের সমস্যার জেরে সে খর্বকায় থেকে যায়।২০১২ সালে শারীরিক প্রতিবন্ধী রাজার ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু।শক হিসাবে যে খেলা সে শুরু করেছিল আজ সেই খেলাকে সঙ্গী করেই দু-দুবার বিশ্ব পারা ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ এর আসরে দেশকে সাফল্য এনে দিল।২০১৭ তে বিশ্ব প্যারা ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশীপে মিক্সড ডাবলস ও ডাবলস বিভাগে ভারত ব্রোঞ্জ পেয়েছিল।আর এই দুই বিভাগেই নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিল রাজা।আসানসোলে যারা শারীরিক ভাবে সক্ষম ব্যাডমিন্টন খেলত তারা রাজা শারীরিক প্রতিবন্ধী বলে তাকে খেলতে দিত না তাদের সাথে আর সেটাই রাজার প্রেরনা হয়ে যায়।এখনও পর্যন্ত রাজা থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, দুবাই,উগান্ডা,হংকং এ ব্যাডমিন্টন এর বড় বড় আসরে খেলে সাফল্য পেয়েছে।কিন্তু কিভাবে অভাবের সাথে লড়াই করা রাজার এই বিদেশ যাত্রার অর্থসংস্থান হয়?রাজার কথায়, ""প্রথমদিকে আমার দুর্গাপুরের কোচ দেবেশ ব্যানার্জ্জী আমায় বিনাপয়সায় কোচিং দেন উলটে তিনি অন্য ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার সাথে কথা বলে আমার খরচ যোগান দেন।আজ আমি দেশের হয়ে খেলি।আজ যাতায়াতের জন্য টাকা লাগেনা।কিন্তু একদিন আমি রানীগঞ্জ থেকে খেলতে এসেছি পকেটে বাস ভাড়ার টাকা থাকত না।খেতেও পেতাম না।""সুইজারল্যান্ডে পি,ভি,সিন্ধুর সাথে এক মঞ্চে পদক জয়, না এখানেই থামতে নারাজ রাজা। লক্ষ্য অলিম্পিক। আর সেই লক্ষেই সুইজারল্যান্ড থেকে আসার পরেই দুর্গাপুরের বিধানভবনে জোরকদমে নেমে পড়েছে প্র‍্যাক্টিসে রাজা।দেশের ক্রীড়ামন্ত্রক থেকে দশ লক্ষ টাকার একটা চেক দেওয়া হয়েছে রাজাকে।রাজা জানালো এই টাকা দিয়ে সে ব্যাডমিন্টন আ্যকাডেমি বানানোর স্বপ্ন দেখছে।কারন তার মত কষ্ট আর যাতে শারীরিক প্রতিবন্ধী কোনও ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় কে না করতে হয়।তাদেরকে বিনা পয়সায় প্রশিক্ষনের ব্যাবস্থা করবে রাজা মোগত্রা।আর এটাই তার স্বপ্ন।তবে একটা সরকারি চাকরির প্রত্যাশা রয়েছে রাজার বুকে।কারন তার ব্যাডমিন্টন প্র‍্যাকটিসের জন্য শাটল,আসা-যাওয়া,খাওয়া বাবদ প্রতিদিন এক হাজার টাকা ন্যুনতম খরচ।দশ লক্ষ টাকা যা সে পাবে তা দিয়ে কতদিন?রাজার কোচ দেবেশ ব্যানার্জ্জী শোনালেন অন্য এক সমস্যার কথা।রাজার কোমরে হিপ জয়েন্টে সমস্যা রয়েছে তবুও রাজাকে দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর বি-জোনে দেশবন্ধুভবনে সিমেন্টের কোর্টে প্র‍্যাকটিস করতে হচ্ছে।অথচ দুর্গাপুরের সিটিসেন্টারে সিধু-কানু ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ব্যাডমিন্টন এর কথা মাথায় রেখে নীচে কাঠের ফ্লোর তৈরি হয়।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বহু ক্লাবকে লক্ষ লক্ষ টাকা অনুদান দিলেও রাজা বা এই ব্যাডমিন্টন আ্যকাডেমি পায়নি সরকারি সাহায্যের সামান্যটুকুও।শুনলে হতবাক হতে হয় আসানসোল বা দুর্গাপুর পুরসভার কর্তাব্যক্তিরা কখনও রাজার এই এত সাফল্যগাঁথার পরেও রাজাকে একটা সামান্য চাকরি দিয়ে সাহায্য করা তো দূর অস্ত, কেও একটা ফুল এনেও শুভেচ্ছা জানায়নি।রাজার তাতে আক্ষেপ নেই বরং এই জেদ তাকে লড়াই এর জন্য আরো প্রেরনা যোগাচ্ছে বলেও সে জানায়। এমনকি বর্তমান শাসকদলের কাজিয়ার জেরে যে সিধু-কানহু স্টেডিয়ামে ব্যাডমিন্টন খেলার পরিকাঠামো রয়েছে সেই স্টেডিয়ামে মাত্র দুঘন্টা প্র‍্যাকটিস করা যাবে বলে নিদান দিয়েছেন বর্তমান মেয়র বলে অভিযোগ। তাই দুঘন্টার বাঁধা সময়ে ব্যাডমিন্টন এর কৃতীরা অনেকে যেতেও পারেনা আর এই সময়টুকু যথেষ্ট নয়।তাই রাজার মত অনেক প্রতভাবন ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়দের তালিম দিচ্ছেন দেবেশ ব্যানার্জ্জী।কিন্তু তারা কংক্রিটের কোর্টে খেলতে গিয়ে চোটের কারনে তাদের বিছানায় থাকতে হচ্ছে।রাজার দুচোখে এখন অলিম্পিক। কিন্তু হিপ জয়েন্টের ব্যাথায় সে কষ্ট পাচ্ছে।সে এবারেই অলিম্পিকে স্থান পাওয়া প্যারা ব্যাডমিন্টন এ সিঙ্গলস বিভাগে খেলবে না ডাবলস,মিক্সড ডাবলস বিভাগে তা এখনই চুড়ান্ত না হলেও এই মুহুর্তে বিশ্বের পঞ্চম স্থানাধিকারী প্রতিবন্ধী ব্যাডমিন্টন তারকা রাজা মাগোত্রা আশাবাদী অলিম্পিক এর আসরে সে দেশকে পদক এনে দেবেই দেবে।ইটিভি ভারতের পক্ষ থেকে আমরা রাজার সাফল্য যা পেয়েছে এবং অলিম্পিক এর আসরে তার সফলতা চেয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানালাম।Body:গConclusion:হ
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.