দিল্লি, 10 জানুয়ারি : শাহিনবাগে পুলিশি ব্যারিকেড সরানোর জন্য দিল্লি হাইকোর্টে একটি আবেদন জমা পড়ে । আন্দোলনকারীদের নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সরিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার আবেদনও আদালতে জমা পড়েছিল । কিন্তু সেই আবেদনে গুরুত্ব দিল না দিল্লি হাইকোর্ট ।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হওয়ার পর আন্দোলন শুরু হয় দেশজুড়ে । জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ । তারপরেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন শাহিনবাগের স্থানীয়রা । অধিকাংশই মহিলা । প্রথমে কয়েকজন মানুষ প্রতিবাদে ধরনায় বসেন । আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে আন্দোলনকারীদের সংখ্যা । একসময় তা একশো ছাড়িয়ে যায় । প্রায় একমাস হতে চলল তারা অবস্থান বিক্ষোভে রয়েছেন ।
1 জানুয়ারি জাতীয় সংগীত গাইতে গাইতে ওঁরা প্রতিবাদ করছিলেন নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইনের বিরুদ্ধে । 90 বছর বয়সী আসমা খাতুন জানিয়েছিলেন, প্রতিদিন বিকেল 3টে থেকে রাত 9 টা পর্যন্ত শাহিনবাগে বসে থাকেন । তিনি বলেন, "আমরা সংবিধানের জন্য এবং সকল ভাইয়ের পক্ষে লড়াই করছি। যাঁরা আমাদের কাছে প্রমাণ চেয়েছেন তাঁদের কাছে জানতে চাই, আপনার পূর্বপুরুষদের নাম কী ছিল ?" যখন রাতে সারা শহর শীতে কাঁপছে, তখনও জেগে আছে প্রতিবাদরত শাহিনবাগ ।
আন্দোলনকারীদের ঘিরে রেখেছে পুলিশ ব্যারিকেড । অবস্থান বিক্ষোভের জন্য ব্যহত হচ্ছে যানচলাচল, এই কারণ দেখিয়ে আন্দোলনকারীদের হটানোর জন্য আবেদন জমা পড়েছিল দিল্লি হাইকোর্টে । কিন্তু, আবেদনগুলি গুরুত্ব পেল না । অব্যাহত শাহিনবাগ আন্দোলন । চলছে গান, অসাম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ।