ETV Bharat / bharat

আপনার সন্তানের ডিজিটাল আইস্ট্রেন কমান : ডাঃ নিখিল M কামাত

আপনার সন্তানের ডিজিটাল আইস্ট্রেন কমাবেন কী করে ? দেখুন কী বলছেন বিশেষজ্ঞ ৷

Balance the digital eyestrain of your kids
আপনার সন্তানের ডিজ়িটাল আইস্ট্রেন কমান : ডঃ নিখিল M কামাত
author img

By

Published : Jul 4, 2020, 8:04 PM IST

Updated : Jul 5, 2020, 11:49 AM IST

আজকাল সন্তানদের মোবাইলের প্রতি আসক্তি কীভাবে কমাবেন, সেটা বাবা-মার কাছে অন্যতম সমস্যা । অভিভাবকরা কী তাঁদের সন্তানদের ডিজিটাল আইস্ট্রেনের ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন?

অপথ্যালমোলজিস্টরা প্রায়ই বাবা-মাদের কাছে অভিযোগ পান, যে তাঁদের সন্তান কত ঘণ্টা টিভি বা মোবাইল ফোনের সামনে কাটাচ্ছে ৷ তাদের ওপর কতটা স্ট্রেস তৈরি হচ্ছে । কোরোনার জেরে লকডাউন এতে আরও ইন্ধন জুগিয়েছে । বাইরে যাওয়া ও খেলাধুলোর সুযোগ না থাকায়, ছোটদের গড় স্ক্রিন টাইম বেড়েই চলেছে, যার মধ্যে রয়েছে অনলাইন ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট, চ্যাটিং, গেম ও সিনেমা, শো ইত্যাদি দেখা ।

গোয়া মেডিক্যাল কলেজের অপথ্যালমোলজিস্ট ডাঃ নিখিল M কামাতের মতে, " ডিজিটাল আইস্ট্রেন এড়ানো যেতে পারে ৷ যদি গ্যাজেটের ব্যবহার ও চোখের যত্ন নেওয়ার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা যায় । বাবা-মাকে বাচ্চাদের স্ক্রিন অ্যাক্টিভিটির জন্য সময় বেঁধে দিতে হবে ৷ আর কোনও বাচ্চা মাথার যন্ত্রণা হচ্ছে বললে তাঁকে একজন অপথ্যালমোলজিস্টকে দেখাতে হবে ৷ প্রয়োজনে চশমা পরতে হবে । যেহেতু চশমায় অভ্যস্ত হতে সময় লাগে, তাই বাবা-মার কর্তব্য তাদের লাগাতার উৎসাহ জুগিয়ে চলা । বাচ্চাদের 20-30 মিনিট পর পর বিরতি নিয়ে দূরের কোনও জিনিসের দিকে তাকিয়ে থাকা উচিত অথবা স্ক্রিন ব্যবহারের একঘণ্টা পর 10 মিনিটের ব্রেক নিতে উৎসাহিত করা উচিত । "

তিনি আরও বলেন, " গ্যাজেট ব্যবহার করা বাচ্চারা যে সব সাধারণ চোখের সমস্যার মুখে পড়ে তা হল ঝাপসা দৃষ্টি, অস্বস্তি, আইস্ট্রেন, ক্লান্তি, শুকনো ভাব ও মাথাব্যাথা । এর কারণ বেশিরভাগই চশমা পড়ে না, পর্যাপ্ত সংখ্যায় চোখের পাতা ফেলে না এবং বেশিক্ষণ ব্যবহার করে বা দেখার জন্য জোর করে চোখ ছোট করে রাখে । " ইচ্ছাকৃতভাবে চোখের পাতা ফেললে তা প্রাকৃতিকভাবে চোখকে আর্দ্র রাখে, যার ফলে শুকনো ভাব ও চোখ জ্বালা এড়ানো যায় । সামাজিক দূরত্বের মতো আমাদের ডিজিটাল দূরত্বও অনুসরণ করতে হবে । সোজা হয়ে যখন বসে আছেন তখন গ্যাজেট অন্তত এক ফুট দূরে থাকা উচিত । ঘাড় ও পিঠের ব্যথা কমাতে বসার সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখতে হবে । মনিটরটাকে দৃষ্টিরেখার সামান্য নিচে রাখতে হবে ৷ চোখের সুবিধা অনুযায়ী উজ্জ্বলতা কমাতে-বাড়াতে হবে । বাচ্চারা যে পরিবেশে বসে আছে, তা পর্যাপ্তভাবে আলোকিত হতে হবে ৷ নয়তো খুব কম বা খুব বেশি আলো চোখের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে । বাবা-মাকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে বাচ্চারা যথেষ্ট পরিমাণে জল খায় ও ঠিকমতো ঘুমায় । অভিভাবকদের দেখা উচিত বাচ্চারা যাতে চোখ না ঘষে, কারণ এতে চোখজ্বালা বাড়তে পারে ৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে সংক্রমণেরও প্রবণতা থাকে ।

ডাঃ কামাতের মতে, " আমাদের বুঝতে হবে যে প্রযুক্তির খারাপ দিক থাকলেও এটাই ভবিষ্যতের মাধ্যম । স্কুল ও কলেজগুলো নিয়মিত অনলাইন ক্লাস নিতে শুরু করেছে ৷ এই পরিস্থিতিতে মায়োপিয়া ও ডিজিটাল আইস্ট্রেন বাড়তেই থাকবে । যত দ্রত অভিভাবকরা এটা মেনে নেবেন, তত তাড়াতাড়ি সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখা যাবে । " এই লকডাউনের জেরে বাবা-মারা সন্তানদের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটাচ্ছেন, এটাই সময় বোর্ড গেম, বই পড়ে উন্নত জীবনচর্যা গড়ে তোলার ৷

আজকাল সন্তানদের মোবাইলের প্রতি আসক্তি কীভাবে কমাবেন, সেটা বাবা-মার কাছে অন্যতম সমস্যা । অভিভাবকরা কী তাঁদের সন্তানদের ডিজিটাল আইস্ট্রেনের ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন?

অপথ্যালমোলজিস্টরা প্রায়ই বাবা-মাদের কাছে অভিযোগ পান, যে তাঁদের সন্তান কত ঘণ্টা টিভি বা মোবাইল ফোনের সামনে কাটাচ্ছে ৷ তাদের ওপর কতটা স্ট্রেস তৈরি হচ্ছে । কোরোনার জেরে লকডাউন এতে আরও ইন্ধন জুগিয়েছে । বাইরে যাওয়া ও খেলাধুলোর সুযোগ না থাকায়, ছোটদের গড় স্ক্রিন টাইম বেড়েই চলেছে, যার মধ্যে রয়েছে অনলাইন ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট, চ্যাটিং, গেম ও সিনেমা, শো ইত্যাদি দেখা ।

গোয়া মেডিক্যাল কলেজের অপথ্যালমোলজিস্ট ডাঃ নিখিল M কামাতের মতে, " ডিজিটাল আইস্ট্রেন এড়ানো যেতে পারে ৷ যদি গ্যাজেটের ব্যবহার ও চোখের যত্ন নেওয়ার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা যায় । বাবা-মাকে বাচ্চাদের স্ক্রিন অ্যাক্টিভিটির জন্য সময় বেঁধে দিতে হবে ৷ আর কোনও বাচ্চা মাথার যন্ত্রণা হচ্ছে বললে তাঁকে একজন অপথ্যালমোলজিস্টকে দেখাতে হবে ৷ প্রয়োজনে চশমা পরতে হবে । যেহেতু চশমায় অভ্যস্ত হতে সময় লাগে, তাই বাবা-মার কর্তব্য তাদের লাগাতার উৎসাহ জুগিয়ে চলা । বাচ্চাদের 20-30 মিনিট পর পর বিরতি নিয়ে দূরের কোনও জিনিসের দিকে তাকিয়ে থাকা উচিত অথবা স্ক্রিন ব্যবহারের একঘণ্টা পর 10 মিনিটের ব্রেক নিতে উৎসাহিত করা উচিত । "

তিনি আরও বলেন, " গ্যাজেট ব্যবহার করা বাচ্চারা যে সব সাধারণ চোখের সমস্যার মুখে পড়ে তা হল ঝাপসা দৃষ্টি, অস্বস্তি, আইস্ট্রেন, ক্লান্তি, শুকনো ভাব ও মাথাব্যাথা । এর কারণ বেশিরভাগই চশমা পড়ে না, পর্যাপ্ত সংখ্যায় চোখের পাতা ফেলে না এবং বেশিক্ষণ ব্যবহার করে বা দেখার জন্য জোর করে চোখ ছোট করে রাখে । " ইচ্ছাকৃতভাবে চোখের পাতা ফেললে তা প্রাকৃতিকভাবে চোখকে আর্দ্র রাখে, যার ফলে শুকনো ভাব ও চোখ জ্বালা এড়ানো যায় । সামাজিক দূরত্বের মতো আমাদের ডিজিটাল দূরত্বও অনুসরণ করতে হবে । সোজা হয়ে যখন বসে আছেন তখন গ্যাজেট অন্তত এক ফুট দূরে থাকা উচিত । ঘাড় ও পিঠের ব্যথা কমাতে বসার সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখতে হবে । মনিটরটাকে দৃষ্টিরেখার সামান্য নিচে রাখতে হবে ৷ চোখের সুবিধা অনুযায়ী উজ্জ্বলতা কমাতে-বাড়াতে হবে । বাচ্চারা যে পরিবেশে বসে আছে, তা পর্যাপ্তভাবে আলোকিত হতে হবে ৷ নয়তো খুব কম বা খুব বেশি আলো চোখের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে । বাবা-মাকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে বাচ্চারা যথেষ্ট পরিমাণে জল খায় ও ঠিকমতো ঘুমায় । অভিভাবকদের দেখা উচিত বাচ্চারা যাতে চোখ না ঘষে, কারণ এতে চোখজ্বালা বাড়তে পারে ৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে সংক্রমণেরও প্রবণতা থাকে ।

ডাঃ কামাতের মতে, " আমাদের বুঝতে হবে যে প্রযুক্তির খারাপ দিক থাকলেও এটাই ভবিষ্যতের মাধ্যম । স্কুল ও কলেজগুলো নিয়মিত অনলাইন ক্লাস নিতে শুরু করেছে ৷ এই পরিস্থিতিতে মায়োপিয়া ও ডিজিটাল আইস্ট্রেন বাড়তেই থাকবে । যত দ্রত অভিভাবকরা এটা মেনে নেবেন, তত তাড়াতাড়ি সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখা যাবে । " এই লকডাউনের জেরে বাবা-মারা সন্তানদের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটাচ্ছেন, এটাই সময় বোর্ড গেম, বই পড়ে উন্নত জীবনচর্যা গড়ে তোলার ৷

Last Updated : Jul 5, 2020, 11:49 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.