শিলিগুড়ি, 29 জুন: ট্রেনেই সন্তান প্রসব যাত্রীর। আরপিএফ-এর সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে মা ও সদ্যোজাত সন্তানকে ৷ কবিগুরু এক্সপ্রেসে ট্রেনের আরপিএফ ও ম্যানেজারের তৎপরতায় এনজেপি স্টেশনে কন্য়া সন্তানের জন্ম দিয়েছেন বিহারের বাসিন্দা পূজা দেবী ৷ শুক্রবার উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের নিউ জলপাইগুড়ি রেল বিভাগের ভূমিকায় খুশি যাত্রীরা।
জানা গিয়েছে, কবিগুরু এক্সপ্রেসে করে অসমের কামাখ্যা থেকে মুজাফফরপুরে যাচ্ছিলেন এক মহিলা ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন পরিবারের সদস্যরা ৷ মহিলা বিহারের মুজাফফরপুরের বাসিন্দা ৷ তিনি গর্ভবতী ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ট্রেনেই তাঁর প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। পরিস্থিতি খারাপ দেখে পরিবারের সদস্যরা ট্রেনে থাকা আরপিএফ ও ট্রেন ম্যানেজারকে বিষয়টি জানান ৷ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে আগাম খবর পাঠানো হয় এনজেপি রেল স্টেশনে।
Published : Jun 29, 2024, 10:32 AM IST
ট্রেনেই প্রসব যন্ত্রণা, রেল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় জন্ম নিল কন্যা সন্তান - Woman delivers baby on moving train
Woman gives birth on train: রেল কর্মীদের সহযোগিতায় ট্রেনেই প্রসব যন্ত্রণা মহিলার ৷ জন্ম হল ফুটফুটে কন্যা সন্তানের ৷ মা ও শিশু এনজেপি রেল হাসপাতালে ভর্তি ৷ রেল সুত্রের খবর, দু'জনেই সুস্থ রয়েছে ৷
ট্রেনটি শুক্রবার সকাল 9টা 55 মিনিট নাগাদ নিউ জলপাইগুড়ির 1 নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছয়। ট্রেনটি এনজিপি পৌঁছনো মাত্র আরপিএফের লেডি হেড কনস্টেবল সুনিতা মিঞ্জ, কনস্টেবল সুজাতা বর্মন, সাব-ইনস্পেক্টর বিকে তিওয়ারি ওই মহিলাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যান ৷ ট্রেনের এস 2 কামরায় ছিলেন ওই গর্ভবতী মহিলা ৷ শিলিগুড়ি রেল হাসপাতাল থেকে একটি মেডিকেল টিম ট্রেনের ওই কামরায় পৌঁছে যায়। কিন্তু সময় কম থাকায় মহিলাকে ট্রেন থেকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা সম্ভব হয় না। মেডিক্যাল টিমের সহযোগিতায় ট্রেনেই প্রসব করানো হয় ৷ কন্যা সন্তানের জন্ম দেন পূজা দেবী ।
প্রসবের পর মহিলাকে এনজেপি রেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ বর্তমানে মা ও সন্তানে দু'জনেই সুস্থ রয়েছে ৷ রেল কর্তৃপক্ষের এই ভূমিকায় কতৃজ্ঞতা প্রকাশ করে জানায় পূজা দেবীর পরিবার। এই বিষয়ে আরপিএফের সহকারী সেফটি কমিশনার রজত কুন্দগির বলেন, "ট্রেন থেকে আগাম খবর আসায় আমরা পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিলাম। খবর ছিল প্রসব যন্ত্রণা বেশি হওয়ায় ট্রেনেই প্রসব করা হতে পারে। সেই মতো মহিলা আরপিএফ ও চিকিৎসক, নার্স প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। মহিলা ও শিশুকে বাঁচাতে পেরে আমরা খুশি।"