হায়দরাবাদ, 3 অক্টোবর: প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিনকে বৃহস্পতিবার হাজিরার সমন পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কিন্তু এদিন হাজিরা এড়ান টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ব্যাটার ৷ নতুন করে সমন জারি করে তাঁকে 8 অক্টোবর হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ইডি-র তরফে ৷
হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের 20 কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে আজহারের । সেই মামলাতেই তাঁকে সমন পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । হায়দরাবাদের ইডি দফতরে বৃহস্পতিবারই তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু আজ তিনি হাজিরা দিতে পারেনি ৷ পরিবর্তে আরও একটু সময় চেয়ে নেন ৷ তারপরই ইডি নতুন সমন জারি করে ৷
হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন আজহারউদ্দিন ৷ সে সময়েই হায়দরাবাদের উপলে রাজীব গান্ধি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জেনারেটর, ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম এবং অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে 20 কোটি টাকার বেনিয়মের অভিযোগ রয়েছে । সেই অভিযোগেই প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে তলব করেছে ইডি ৷
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, চার্জশিটে হায়দরাবাদের উপলে রাজীব গান্ধি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জন্য ডিজি সেট, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা এবং ক্যানোপির জন্য় বরাদ্দ টাকায় অনিয়ম হয়েছে । চার্জশিট অনুযায়ী, সময় থাকা সত্ত্বেও, বেশ কয়েকটি কাজ অত্যধিকভাবে দেরি করে শেষ হয়েছিল ৷ ফলে ব্যয় বৃদ্ধি হয়েছে এবং হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কয়েক কোটি টাকার লোকসান হয়েছে ।
তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন সেক্রেটারি, প্রেসিডেন্ট, ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং অন্যান্য পদাধিকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের দরুণ নির্বিচারে টেন্ডার বিলি হয়েছিল ৷ তাঁদের পছন্দের ঠিকাদারদের কাছে বাজারের হারের চেয়ে অনেক বেশি দামে কাজ দেওয়া হয় । সঠিক দরপত্র প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি ৷ বহু ক্ষেত্রে কোটেশন প্রাপ্তির আগেই অনেক ঠিকাদারকে অগ্রিম অর্থ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু তাঁরা কোনও কাজই করেনি ৷