হায়দরাবাদ: সম্প্রতি সাইবার ক্রাইম অপরাধীরাও নতুন নতুন প্রতারণার জাল ফেলছে ৷ চাকরির নামে ফাঁদে ফলেছে নাগরিকদের ৷ সোশ্যাল মিডিয়া এবং মেসেজিং প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে ফাঁদে ফলেছে শিকারকে ৷ এই সমস্ত শিকারের ফাঁদে পা দিলেই নিমেষের মধ্যে খালি হয়ে যেতে পারে অ্যাকাউন্ট ৷ সেই সঙ্গে এমনকি খোয়াতে হতে পারে সর্বস্ব ৷ এখানেই শেষ নয়, টানতে হতে পারে জেলের ঘানিও ৷
সাবধান! অকজো মোবাইলের পরিবর্তে জিনিস কিনছেন, চুরি যেতে পারে তথ্য
সম্প্রতি, সোশাল মিডিয়া ও বিভিন্ন মেসেজিং অ্যাপে ফাঁঁদের মাধ্যমে ফাঁদ পেতেই শিকার ধরছে এই সমস্ত সাইবার অপরাধীরা ৷ সমস্যা হল অনেকই বুঝতে পারেন না কীভাবে এই সমস্ত প্রতাকরদের পাতা ফাঁদ থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন ৷ হোয়াটসঅ্যাপে আসা সাধরণ মেসেজ দেখে বুঝবেন কি করে সেটি নিতান্তই ফেক মেসেজ ৷ সার্বিকভাবে উঠে আসা সেই সম্পর্কিত কয়েকটি তথ্য উল্লেখ করা হল ৷
বিদেশি সংস্থায় বিনিয়োগ ও বিপুল রির্টান! হোয়াটসঅ্যাপে এই মেসেজ এলেই সাবধান
অফারটি যাচাই করা দরকার: হোয়াটসঅ্যাপে চাকরির অফার এলে সেটি প্রথমে ভালো করে যাচাই করে নিতে হবে ৷ প্রয়োজনে নিয়োগকারী সংস্থার শংসাপত্র খতিয়ে দেখুন ৷ অফিসিয়াল যোগাযোগ সম্পর্কিত উল্লেখ করা সমস্ত তথ্য ভালো করে খতিয়ে দেখতে হবে ৷ কোন একটি কোম্পানির ডোমেন বা লিঙ্কডইন প্রোফাইল থেকে ইমেল এলে সেটির অস্তিত্ব খতিয়ে দেখতে হবে । কারণ বৈধ কোম্পানিগুলি সাধারণত মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে নিয়োগ করে না ৷
আর্থিক লেনদেনে সতর্কতা: নিয়োগকারীরা আবেদন, ভিসা ও প্রশিক্ষণের জন্য কোনও অগ্রিম ফি নিচ্ছেন কি না সেই ব্যাপারেও সতর্ক থাকা দরকার। বৈধ কোম্পানিগুলি আবেদনকারীদের কাছ থেকে কোনও অর্থ দাবি করে না। একটু ভালো করে দেখলেই সংশ্লিষ্ট সংস্থা ঠিক কি না সহজেই বোঝা যাবে ৷
কোম্পানি সম্পর্কে জানুন: কোনও অফার গ্রহণ করার আগে কোম্পানি সম্পর্কে জেনে নেওয়া দরকার। সংশ্লিষ্ট কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আছে কি না সেটাও দেখে নিন । WhatsApp-এ যে অফার এসেছে সেটির সঙ্গে কাজের অফারের মিল রয়েছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন ৷ দেখা গিয়েছে স্ক্যামাররা পরিবর্তিত নাম বা জাল প্রোফাইল তৈরি করে শিকারকে ফাঁদে ফেলে ৷
ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার না করা: হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, গুরুত্বপূর্ণ নথির তথ্য কখনই শেয়ার করা উচিত নয়। চুরি বা আর্থিক জালিয়াতি করার জন্য আপনার দেওয়া যেকোনও তথ্য ব্যবহার করতে পারে সাইবার অপরাধীরা।
সন্দেহজনক জিনিসে রিপোর্ট করা: হোয়াটসঅ্যাপে আসা কোনও মেসেজ সন্দেহজনক মনে হলে দ্রুত রিপোর্ট করা প্রয়োজন ৷ হোয়াটসঅ্যাপে সংশ্লিষ্ট নম্বরটি ব্লক করা দরকার ৷ স্থানীয় পুলিশ বা কোম্পানির কাছেও রিপোর্ট করতে পারেন ৷ ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে সচেতন হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন ৷ ডিজিটাল ব্যবস্থা যেমন সবকিছু সহজ করেছে, সাইবার অপরাধের সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছে ৷ সতর্ক থাকলে স্ক্যামারদের থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। স্ক্যামাররা আপনার নথি ব্যবহার করে গুরুতর অপরাধ করলে আপনাকে জেলে যেতে পারে। তাই নথি শেয়ারের আগে অবশ্যই সাবধান হওয়া দারকার ৷
প্যান-আধারের তথ্য ফাঁস, নাগরিক সুরক্ষায় ওয়েবসাইট ব্লক কেন্দ্রের