চন্দননগর, 3 অক্টোবর: সাতসকালে আগুন চন্দননগরের হাসপাতালে ! দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে ৷ কারও হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি ৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল 7টা নাগাদ মহকুমা হাসপাতালের দ্বিতলের মেন ওটি (অপারেশন থিয়েটারে) থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখেন হাসপাতলের কর্মী ও রোগীর পরিবারের লোকজন ৷
ওটির পাশেই প্রসূতি ও শিশু বিভাগ রয়েছে ৷ সেখানে আতঙ্ক ছড়ায় ৷ খবর দেওয়া হয় দমকলে ৷ দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে ৷ বর্তমানে ওটির সব মেশিন, অন্যান্য জিনিসপত্র এই আগুনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ যতক্ষণ না পর্যন্ত ওটি মেরামতি করা হচ্ছে, ততক্ষণ এখানে কোনও অস্ত্রোপচার হবে না ৷ যদিও আরেকটি বিকল্প ওটি থাকায় এখনই বন্ধ হচ্ছে না জরুরি পরিষেবা ৷
দমকল আধিকারিকরা বলদেব সাঁতরা বলেন, "ইলেকট্রিক শর্টসার্কিট থেকেই আগুন ৷ হাসপাতালের দ্বিতলে ওটি রুমে এসির ইলেকট্রিক কেবলে আগুন লাগে ৷ আগুনের ভয়াবহতা না থাকলেও ধোঁয়া বের হচ্ছি ৷ মিনিট কয়েকের মধ্যেই ভিতরে ঢুকে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে ৷"
রোগীর আত্মীয় সিন্টু পাল বলেন, "রাতে হাসপাতালের মধ্যেই আমরা সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম, সকালে চেঁচামেচি শুনে গিয়ে দেখি জানলা দিয়ে কালো ধোঁয়া বেরচ্ছে ৷ গ্যাসের গন্ধে থাকা যাচ্ছিল না ৷ হাসপাতালের কর্মীরা চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিল না ৷ পরে দমকলকে খবর দেওয়া হয় ৷ তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ৷ একটা বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত ৷"
হাসপাতাল সূত্রে খবর, দ্বিতলে ওটি রুমে এসির ইলেকট্রিক কেবলে আগুন লাগে ৷ আগুনের ভয়াবহতা না থাকলেও গলগল করে কালো ধোঁয়া বের হচ্ছিল ৷ তাতেই আতঙ্ক ছড়ায় ৷ হাসপাতালের সুপার সন্তু ঘোষ বলেন, "সকালে ওটি ছিল ৷ তার আগে এসি চালাতে যাওয়ার সময় একটা আওয়াজ হয় ৷ এসি নষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ বাকি কোথাও কিছু পোড়েনি ৷ যদিও সেই সময় কোন অপারেশন হচ্ছিল না ৷ ইলেকট্রিক ডিপার্টমেন্ট বিষয়টি দেখছে ৷ পুরনো বিল্ডিংয়ে তিনটি এবং নতুন বিল্ডিংয়ে তিনটি ওটি রয়েছে ৷ পুরনো বিল্ডিংয়ে আগুন লেগেছে ৷ এখানে জেনারেল ওটি হত ৷ দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ৷"