কলকাতা, 24 জানুয়ারি: মহিলার দেহ উদ্ধার হল কলকাতার গরফা থানা এলাকার একটি বাড়ি থেকে ৷ বুধবার দুপুরে সেখানকার পূর্বাচল এলাকার একটি বাড়ি থেকে ওই মহিলার দেহ উদ্ধার হয় ৷ কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম মঞ্জু দে ওরফে মমতাজ বিবি ৷ তিনি বাপ্পা দে নামে একজনের সঙ্গে সেখানে লিভ-ইন করতেন ৷ পুলিশ মহিলার লিভ-ইন পার্টনার বাপ্পাকে আটক করেছে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা ৷ তবে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছান, তখন দেহ একটি চেয়ারে বসানো অবস্থায় ছিল ৷ সেখানেই ছিলেন বাপ্পা ৷ তিনি দাবি করেন যে দেহ তিনিই নামিয়েছেন ৷ কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি । ওই মহিলার গলায় একটি কালশিটে দাগ পাওয়া গিয়েছে । কিন্তু বাহ্যিকভাবে মহিলার দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়নি ।’’
ফলে আত্মহত্যা না খুন, সেটা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার আগে পুলিশ কিছু বলতে চাইছে না ৷ তবে তদন্তে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে ৷ প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে ওই মহিলার বাড়ি দক্ষিণ 24 পরগনার চম্পাহাটি এলাকায় ৷ তিনি বিবাহিত ৷ কিন্তু স্বামীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অনেক আগেই শেষ হয়ে যায় ৷ বছরখানেক আগে তিনি পূর্বাচল এলাকায় থাকতে আসেন বাপ্পার সঙ্গে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে দু’জনের সম্পর্কের টানাপোড়েনের বিষয়টি উঠে এসেছে ৷ তাই সেই টানাপোড়েনে মহিলা আত্মঘাতী হলেন, নাকি তাঁকে খুন করা হল, সেটাই এখন খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা ৷ বাপ্পা দে-কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷ তাঁর ও মৃতার আসল পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷ ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দু’টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে ৷ সে দু’টি খতিয়ে দেখে কোনও তথ্য পাওয়া যায় কি না, তা দেখছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন:
- বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে ব্ল্যাকমেল, দুর্গাপুরের খুনের ঘটনার রহস্য উন্মোচন করল ধৃত মহিলা
- যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার প্রেমিকা
- ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার নোয়াপাড়া থানার হোমগার্ডের ঝুলন্ত দেহ