কলকাতা, 16 ফেব্রুয়ারি: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে কোমর বেঁধে ময়দানে তদন্তে নামলেও এবার নতুন সমস্যায় জর্জরিত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ধৃতদের বিরুদ্ধে যারা সাক্ষ্য গ্রহণ করছেন বা সাক্ষী হিসেবে নিজেদের নাম কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে নথিভুক্ত করেছেন, এবার তাদের মধ্যেই সিংহভাগ ব্যক্তি নিজেদের নাম তুলে নিতে চাইছেন। নেপথ্যে কাজ করছে হুমকি এবং ভয়।
বিষয়টি শুক্রবার কলকাতা নগরদায়রা আদালতে প্রকাশ্যে আসে। সম্প্রতি রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে শংকর আঢ্য এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন তাঁকে নগরদায়রা আদালতে পেশ করা হয়। সেই সময় বিশ্বজিতের আইনজীবী আদালতে প্রশ্ন করেন যে, কেন সাক্ষীদের নাম রিমান্ড লেটারের উল্লেখ করছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা ? জবাবে ইডির তরফ থেকে জানানো হয়, বিভিন্ন সাক্ষীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। ফলে তারা তাদের নাম তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে।
এক্ষেত্রে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে এটি একটি বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে ইডি'র কাছে। ইডি'র তরফ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়, বিভিন্ন সাক্ষ্য প্রদানকারী ব্যক্তিরা নিজেদের প্রাণ ভয়ে তাদের নাম তুলে নিচ্ছেন ৷ ফলে সে ক্ষেত্রে সাক্ষীদের নাম গোপন রাখছেন তদন্তকারীরা। গত মঙ্গলবার সাতসকালে তদন্ত নেমে প্রায় সারারাত বিশ্বজিৎ দাসের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি তদন্তকারী আধিকারিকর। পরে বুধবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন যখন বিশ্বজিৎকে আদালতের পথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেই সময় সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বিশ্বজিৎ বলেন, "আমাকে ভুলভাবে ফাঁসানো হচ্ছে আমি কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নই ৷ আমি একজন ব্যবসায়ী।"
এই ঘটনায় উত্তর 24 পরগনার বনগাঁ থেকে শংকর আঢ্যকে গ্রেফতার করা হয় ৷ আর এই শংকর আঢ্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের নাম জানতে পারেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।