নয়াদিল্লি, 3 জানুয়ারি: গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে ৷ 2011-12 সালে গ্রামীণ এলাকাগুলিতে সরকারি প্রকল্পগুলি থাকা সত্ত্বেও দারিদ্র ছিল 25.7 শতাংশ ৷ 2023-24 অর্থবর্ষের শেষে মার্চ মাসে তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে 4.86 শতাংশ হয়েছে ৷ শুক্রবার স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) প্রকাশিত গবেষণায় এই তথ্যই উঠে এসেছে ৷ এরই সঙ্গে কমেছে শহুরে গরিবের পরিমাণও ৷ 2011-12 সালে তা ছিল 13.7 শতাংশ, সেখান থেকে কমে হয়েছে 4.09 শতাংশ ৷
জীবন ধারণের খরচ বিষয়ক সমীক্ষা নিয়ে এসবিআইয়ের এই গবেষণা জানাচ্ছে, সরকারের উল্লেখযোগ্য সাহায্যের ফলে গ্রামাঞ্চলের মানুষ জীবন যাপনের জন্য আগের থেকে বেশি খরচ করেছে ৷ সেই সাহায্য প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ কারণ, খাদ্য সামগ্রীর দামের পরিবর্তন শুধুমাত্র খাবারদাবারের উপরেই প্রভাব ফেলে না, সামগ্রিকভাবে পুরো জীবনকেই প্রভাবিত করে ৷
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্ট্যাটিসটিক্স অ্যান্ড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেনটেশন মন্ত্রক 'হাউজহোল্ড কনসাম্পশন এক্সপেনডিচার সার্ভে' শীর্ষক একটি সমীক্ষা করেছিল ৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, এক বছর আগের তুলনায় 2023 সালের অগস্ট থেকে 2024 সালের জুলাই মাসে গ্রাম এবং শহর এলাকায় জীবন ধারণের জন্য খরচের বৈষম্য কমেছে ৷
এসবিআইয়ের এই গবেষণা আরও বলছে, 'কনসাম্পশন এক্সপেনডিচার সার্ভে' অনুযায়ী, 2023-24 অর্থবর্ষে গ্রামাঞ্চলে গরিব মানুষের হার 4.86 শতাংশ ৷ অন্যদিকে শহুরে এই হার 4.09 শতাংশ ৷ 2021 সালের জনগণনা সম্পূর্ণ হলে এবং নতুন গ্রাম-শহর জনসংখ্যার পরিসংখ্যান প্রকাশিত হলে এই পরিসংখ্যানে হয়তো কিছু পরিবর্তন হতে পারে ৷ এসবিআই সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, "আমরা বিশ্বাস করি শহুরে গরিবের সংখ্য়া আরও কমেছে ৷ অতি-গরিবের অস্তিত্ব এখন সামান্য ৷ ভারতের দরিদ্রতার হার 4-4.5 শতাংশে রয়েছে ৷" গ্রামাঞ্চলে পরিবহণ ব্যবস্থাকে নয়া দিশা দেখিয়েছে বর্ধিত বাহ্যিক পরিকাঠামো ৷
গবেষণায় ধরা পড়েছে, কম-রোজগারের রাজ্যগুলিতে মূল্যবৃদ্ধি জীবনের জন্য খরচের চাহিদাকে প্রভাবিত করেছে ৷ উচ্চ আয়ের রাজ্যগুলিকে তেমন একটা প্রভাবিত করতে পারেনি অবশ্য ৷ স্বল্প-আয়ের রাজ্যগুলিতে গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিতে চান না ৷ উচ্চ-আয় সম্পন্ন রাজ্যগুলির বেশির ভাগের সঞ্চয়ের হার জাতীয় গড় 31 শতাংশের তুলনায় বেশি ৷ উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারে সঞ্চয়ের হার খুব কম ৷ এর কারণ হয়তো রাজ্যগুলির বহু বাসিন্দা পরিযায়ী হিসাবে অন্যত্র কাজ করতে চলে গিয়েছেন ৷ 2023-24 অর্থবর্ষে গ্রামাঞ্চলে নতুন গরিবের সীমারেখা 1 হাজার 632 টাকা এবং শহরে 1 হাজার 944 টাকা৷