কলকাতা, 21 অক্টোবর:কালীপুজোর আগে দক্ষিণবঙ্গের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় । আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়, এমন কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার দাবি করেছে, বঙ্গোপসাগরের উপর নিম্নচাপ শক্তি বৃদ্ধি করে গভীর নিম্নচাপ এবং পরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে । ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তার নাম হতে পারে ‘দানা’ । এই নামটি দিয়েছে কাতার । সোমবার থেকেই মৎসজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর ৷
ঘূর্ণিঝড় ডানা প্রসঙ্গে আলিপুর আবহাওয়া দফতর যা জানাচ্ছে:
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আবহবিদ সৌরিশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আন্দামান সাগরের কাছে যে ঘূর্ণাবর্তটি রয়েছে আগামী 24 ঘণ্টায় তা নিম্নচাপে পরিণত হবে । অবস্থান পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরের কাছে । এরপর এই ঘূর্ণাবর্তটি আরও শক্তি বাড়িয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে । 22 অক্টোবর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে । এরপর 23 অক্টোবর তা শক্তি বাড়িয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে । এর অভিমুখ থাকবে উত্তর-পশ্চিম দিকে । 24 অক্টোবর সকালে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল এবং ওড়িশা উপকূলে কাছে আসবে ঘূর্ণিঝড়টি ।"
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাত:
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আবহবিদের দাবি, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দক্ষিণবঙ্গের উপর সেভাবে নেই । কারণ, রবিবার ও সোমবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই । মঙ্গলবার, 22 অক্টোবরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । তবে বুধবার অর্থাৎ 23 অক্টোবর উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে এর প্রভাব বেশি থাকবে ৷ বিশেষ করে দুই 24 পরগনা ও দুই মেদনীপুরে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস । বৃহস্পতিবার এই ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব পড়বে উপকূলের জেলাগুলিতে ৷ এই জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস ৷
দক্ষিণবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব: