কলকাতা, 22 নভেম্বর: আলু-পেঁয়াজের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে গতকাল নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । তারপরই আজ নবান্নে বৈঠকে বসছে বাজারদর নিয়ন্ত্রণের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি করা টাস্ক ফোর্স । তাদের মাথাব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ আলু ও পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বগতি ।
শুক্রবার সকালে ইটিভি ভারতের প্রতিনিধির সঙ্গে এবিষয়ে কথা বলেছেন টাস্ক ফোর্সের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে । তাঁর দাবি, আলু ও পেঁয়াজের দাম এখনই যে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে এ কথা বলা যাবে না । যদিও আলুর দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য তিনি প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতিকেই কিছুটা দায়ী করছেন । তাঁর দাবি, 26 টাকা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আলু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তীতে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে তারা । এখানেই শেষ নয়, অন্য রাজ্যে রফতানির ক্ষেত্রেও তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি । আর সেই জায়গা থেকেই কিছুটা হলেও আলুর দাম বেড়েছে বলে মনে করছেন তিনি ।
এদিন রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, "আজ টাস্ক ফোর্সের তরফ থেকে বিডি মার্কেটে যাওয়া হয়েছিল । সেখানে আমরা দেখেছি, 32 থেকে 35 টাকা করে আলু বিক্রি করা হচ্ছে । একইভাবে আমরা দেখেছি যে, ওখানে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে 55 টাকা কেজি দরে । যেটা নতুন পেঁয়াজ । কিন্তু যেটা নাসিকের পুরনো পেঁয়াজ সেটা বিক্রি হচ্ছে 70 টাকা কেজি দরে ।" তিনি বলছেন, আলোয়ারের পেঁয়াজ ঢুকেছে, দক্ষিণের পেঁয়াজ ঢুকেছে ৷ এবার পেঁয়াজের দামটাও ধীরে ধীরে কমে যাবে ৷
এদিন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, গতকাল আলু ও পেঁয়াজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে উষ্মা প্রকাশ করলেন, তারপর টাস্ক ফোর্সের কী ভূমিকা হতে চলেছে । রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, "আজ এই বৈঠকে আমরা আলোচনা করব কীভাবে এটাকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় । মুখ্যমন্ত্রী যে পরামর্শগুলি দিয়েছেন সেগুলি কত দ্রুত কার্যকরী করা যায়, সে বিষয়টা আমাদের আরও বেশি করে দেখতে হবে ।"
তিনি এদিন এও বলেছেন, প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ীরা মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া কথা অনুসারে 26 টাকায় আলু দিলে সাধারণ মানুষ তাঁদের নাগালের মধ্যেই আলু পাবেন ।