কলকাতা, 2 নভেম্বর: বাংলার মা-বোনেরা সুরক্ষিত নন ! ভাইফোঁটার অনুষ্ঠানের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ শনিবার একই সঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের সেলফ ডিফেন্সের জন্য ট্রেনিং নিতে হবে।"
এদিন বিকেলে বারাসতের বিবেকানন্দ সেবা ট্রাস্টের গণ ভাইফোঁটার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে ভাই-বোনের পবিত্র সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি অর্জুনের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সুভদ্রার পাশে শ্রীকৃষ্ণ কীভাবে দাঁড়িয়েছিলেন সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের শেষে রাজ্যপাল ভাইফোঁটাও নেন। তাঁদের চকলেট উপহার দেন।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (ইটিভি ভারত) রাজ্যপাল আনন্দ বোস বলেন, "সন্দেশখালিতে হিংসার সময়ে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। তাদের সমস্যার কথা শুনেছিলাম ৷ কথা বলেছিলাম। তখন তারা আমাকে জানিয়েছিল, তারা সেখানে সুরক্ষিত নয়। তারা ভয়ে থাকেন। উদ্বেগের মধ্যে তাদের দিন কাটছে। সেই বিষয়টা আরও পরিষ্কার হয়ে গেল আরজি করের ঘটনার পরে। এর থেকে স্পষ্ট বলতে পারি, বাংলার বোনেরা সুরক্ষিত নন। সুরক্ষার প্রয়োজন আছে। এ কারণে তাদের জন্য অভায়া প্লাস ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করছে রাজভবন।"
আগামী 23 নভেম্বর রাজ্যপাল পদে সিভি আনন্দ বোসের দু'বছর পূর্তি। সেই উপলক্ষ্যে একমাসব্যাপী সৃজনশীল ও গঠনমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের আর্থিক ও সামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া হিংসা-বিধ্বস্ত 250টি গ্রামে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েছেন। এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক নাম দিয়েছেন 'আপনা ভারত–জাগতা বেঙ্গল'। এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে । মূললক্ষ্য মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ তৈরি করা।
সূত্রের খবর, রাজ্যপাল বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেবেন। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে মানবপাচার বিরোধী কার্যক্রমে। মাদক বিরোধী উদ্যোগ, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা। যুব সমাজের অংশগ্রহণ এবং সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক উদ্যোগ থাকবে। যার মাধ্যমে শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপচারিতার সুযোগ পাবেন।
এই উদ্যোগগুলির লক্ষ্য থাকবে সমাজের দুর্বল শ্রেণির কল্যাণে। রাজ্যপালের ওএসডি সন্দীপ রাজপুত বলেন, "রাজ্যপাল তাঁর ধারাবাহিক কাজের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই কর্মসূচি নিয়েছেন। এই কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান ঘটবে। "আপনা ভারত–জাগতা বেঙ্গল" উদ্যোগের মাধ্যমে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জাতীয় গর্বের সঙ্গে বঙ্গের মহিমাকে সংযুক্ত করতে চান।"