কুলটি, 31 জুলাই: দোকানে চাল কিনতে গিয়ে নাকি 200 টাকা চুরি করেছে এক কিশোর। আর সেই অভিযোগে তাকে ঘিরে মারধর করতে শুরু করে বেশ কয়েকজন। বিষয়টির কথা জানতে পেরে ওই কিশোরের বাবা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁকেও সকলে মিলে পেটাতে শুরু করে বলে অভিযোগ। এমনকী শাবল দিয়েও তাঁকে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় মৃত্যু হয় কৃষ্ণ গোস্বামী নামে এক ব্যক্তির ৷ ঘটনায় সুভাষ কর্মকার নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাবাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ (ইটিভি ভারত) মারধরের কারণে কিশোরের বাবা অচৈতন্য হয়ে পড়লে বেগতিক বুঝে বাকি সবাই পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশ এসে ওই আহত ব্যক্তিকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে কুলটি থানার অন্তর্গত লছিপুর যৌনপল্লী এলাকায় ৷ মৃত ব্যক্তির নাম কৃষ্ণ গোস্বামী (46)।
জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে কুলটির লছিপুর যৌনিপল্লীর একটি দোকানে চাল কিনতে গিয়েছিল স্থানীয় এক কিশোর। উত্তম নামে ওই দোকানদারের অভিযোগ, ওই কিশোর তাঁর দোকান থেকে 200 টাকা চুরি করে পালাতে যায় ৷ এরপরেই কিছু বেশ কিছু উৎসাহী বাসিন্দা ওই কিশোরকে ধরে ফেলে ৷
সকলে মিলে মারধর করতে শুরু করে। এই ঘটনার খবর পায় ওই কিশোরের বাবা কৃষ্ণ গোস্বামী। দ্রুত ছুটে যান নিজের ছেলেকে বাঁচাতে। কৃষ্ণ ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই ওই কিশোরকে ছেড়ে এরপর কৃষ্ণ গোস্বামীকে ব্যাপকভাবে মারধর শুরু করে ওই বাসিন্দারা। তাঁকে শাবল দিয়েও আঘাত করা হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। আঘাতের জেরে বেহুঁশ হয়ে পড়েন কৃষ্ণ গোস্বামী। এরপরই ভয়ে তখন অন্যরা পালিয়ে যায়।
এরপর কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কৃষ্ণ গোস্বামীকে আসানসোল জেলা হাসপাতাল নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিশের দাবি ধৃত সুভাষ পুলিশের জেরায় স্বীকার করেছে সে ওই মারধরের ঘটনায় যুক্ত ছিল। পুলিশ অভিযুক্ত বাকিদেরও সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে।