কলকাতা, 25 নভেম্বর: দীর্ঘ দিন ধরে জীর্ণ হয়ে পড়ায় শেষমেষ পুরনো টালা সেতু ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হয়। ঠিক সেতুর মাঝে একটি রাস্তা চিতপুরে নেমেছে ৷ তাই টালা সেতুর দুই মাথা বাদে মাঝেও একটি বাস স্টপ ছিল, যেটি নতুন সেতুতে আর নেই । আর তার জেরেই ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে এলাকার হাজার হাজার মানুষকে। সেতুর মাঝে বাস স্টপ ফেরানোর দাবিতে এবার সেই এলাকায় দিনভর ধর্না দিল কংগ্রেস। এই ধর্নায় উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ সভাপতি শুভঙ্কর সরকার।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পুরোনো সেতু ঘিরে মোট তিনটি বাস স্টপ ছিল। টালা পোস্ট অফিস এক মাথায়, বিটি রোড পাইকপাড়া এক মাথায়, মাঝে টালা ব্রিজ বাস স্টপ। কমবেশি এক কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর নব নির্মাণের পর সেতুর মাঝে বাস স্টপ আর দেওয়া হয়নি। ফলে ঘোষ বাগান, কৃপানাথ দত্ত রোড, চিৎপুর, লোকগেট রোড, চুরিপাড়া, কে এল দাস রোড, ডিলার জঙ্গ রোড, কাশিপুর রোড-সহ আর একাধিক এলাকা, টালা জল ট্যাঙ্ক প্রায় দুই পাড়ের কমবেশি 20-30 হাজার মানুষ সমস্যায় পড়ছেন।
কাঠের সেতু বদলে একসময় কংগ্রেস সরকার এখানে কংক্রিটের সেতু করে। নাম দেওয়া হয়েছিল হেমন্ত সেতু। সেই সেতু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জীর্ণ হয়েছে। ফলে সেটিকে ফের ভেঙে নতুন সেতু উদ্বোধন হয়েছে কয়েক বছর আগে। কিন্তু, নতুন সেতুতে আগের মতো মাঝের বাস স্টপ না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ ৷
এদিন সেতুর এই মাঝের অংশে থাকা মানুষজনের সুবিধার্তে বাস স্টপ ফিরিয়ে আনার দাবি তুলে ঘোষ বাগানে ধর্না দেয় কংগ্রেস। শুভঙ্কর সরকার ছাড়াও ধর্নায় উপস্থিত ছিলেন রানা রায়চৌধুরী, সুমন রায়চৌধুরী, কৃষ্ণা দেবনাথ, মায়া ঘোষ-সহ অন্যান্যরা।
ধর্নামঞ্চ থেকে অভিযোগ করা হয়, কাশিপুর বেলগাছিয়া বাস স্টপ নিয়ে কোনও হেলদোল নেই বর্তমান বিধায়ক অতীন ঘোষের। একাধিকবার বলে লাভ হয়নি। বিধায়ক গাড়ি করে যাওয়া আসা করেন। টালা ব্রিজের প্রতি যত্নবান নন। কলকাতা কর্পোরেশন, ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্ট,সকলের কাছে আবেদন করলে তারা বাতিল করছে। দুটো ওয়ার্ডের মানুষ এই বাস স্টোপের উপর নির্ভর করেন। বলার পরেও এই সমস্যা বিধানসভা তুলছেন না। এখানে বয়স্ক লোকজন থেকে অফিসযাত্রী বা স্কুল যাত্রী সকলকেই প্রায় আধ কিলোমিটার হেঁটে যেতে হয়। অসুস্থ মানুষের নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার বলেন, "সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার অজুহাতে সেতুর মাঝে থেকে বাস স্টপ বন্ধ করেছে। মানুষের অসুবিধার কথা ভেবে ফের বাস স্টপ চালু করুক। না হলে আজ অবস্থান এখানে হচ্ছে, কাল ব্রিজের উপর অবরোধ হবে।"