দার্জিলিং, 1 অগস্ট: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমা ক্ষেত্র থেকে জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিকে নোংরা রাজনীতি বলে কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । শুক্রবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নেন সুকান্ত ।
মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ সুকান্তর (নিজস্ব ভিডিয়ো) শুক্রবার সকালে বিমানে দিল্লি থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছন সুকান্ত মজুমদার । সেখান থেকে সড়কপথে বালুরঘাটের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি । তার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জিএসটি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ৷
প্রসঙ্গত, বিমা ক্ষেত্র থেকে জিএসটি প্রত্যাহারের জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি । একইভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সুরেই ওই দাবি তুলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিন এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "জিএসটি কোথায় ও কোন কোন ক্ষেত্রে লাগু হবে, তা কিন্তু ঠিক হয় জিএসটি কাউন্সিলে । আর জিএসটি কাউন্সিলের সদস্য প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীরা । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা করছেন, তা নোংরা রাজনীতি ।"
তিনি আরও বলেন, "ভারতে প্রথম যখন জিএসটি কাউন্সিল তৈরি হয়েছিল, তার মাথায় ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডান হাত অর্থাৎ তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র । তিনিই ছিলেন জিএসটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান । তখন অমিত মিত্রর নেতৃত্বে জিএসটি কাউন্সিল ঠিক করেছিল কোন কোন ক্ষেত্রে জিএসটি লাগু হবে । এখনও তাই হয় ৷ এখনও একইভাবে জিএসটি কাউন্সিল বৈঠকে বসে । সেখানে এরাজ্য-সহ প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীরা থাকেন । তাঁরা ঠিক করেন কোন জিনিসের উপর জিএসটি লাগু হবে এবং কত শতাংশ জিএসটি লাগু হবে । কেন্দ্রীয় সরকার এটা ঠিক করে না । সবাই মিলে সেখানে ঠিক হয় । কারণ জিএসটির দায় পড়ে কেন্দ্রের ঘাড়ে, আর রাজ্য ভাগ নেয় । আর জিএসটির ভাগ বাড়ার ফলে রাজ্য সরকারটা টেনেটুনে চলছে ।"
অন্যদিকে, ফের পরপর শুটআউটের ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত মজুমদার । তিনি বলেন, "এখন গোটা রাজ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য কিছু নেই । চাকরি-বাকরিও নেই । শিল্পও নেই । এটাই এখন শিল্প হচ্ছে । একসময় বিহার নিয়ে অপহরণ সিনেমা তৈরি হয়েছিল । এখন বাংলার যা পরিস্থিতি এখানে হয়তো নব অপহরণ ফিল্ম তৈরি হবে ।"
অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনার প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে সুকান্ত বলেন, "আমরা এখন সেই পরিস্থিতিতে নেই যে আমরা ওই বিষয়ে কিছু বলব । এটা অধীর চৌধুরীর দেখার বিষয় যে, তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী । তিনি একজন স্বনামধন্য ও প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা । তিনি যা খুশি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন । আমরা বলার কেউ নই ।"