কলকাতা, 14 অগস্ট:সিবিআই তদন্ত যেন সঠিক পথে হয় ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে এমনটাই আর্জি জানাবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ বুধবার দিল্লির পথে রওনা দিলেন তিনি ৷ তার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপি সাংসদ ৷
অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লির পথে সুকান্ত মজুমদার (ইটিভি ভারত) তিনি বলেন, "একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দিল্লি যাচ্ছি ৷ সেখানে প্রধান বক্তা অমিত শাহজি ৷ তাঁর সঙ্গে আরজি কর প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলব ৷ এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ তদন্ত যেন সঠিক পথে হয় এবং অবশ্যই যেন দ্রুত হয়, তা জানিয়ে আসব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ৷ তাঁর কাছে ন্যয়বিচারের দাবি জানাব ৷"
এই ঘটনার প্রতিবাদে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচিকে সমর্থন করেন সুকান্ত মজুমদার ৷ এই কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন, "আরজি কর-কাণ্ডে গোটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ক্ষুব্ধ ৷ তারা রাস্তায় নামছে ৷ আমরাও নামব ৷ দলমত নির্বিশেষে সবার এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা উচিত ৷"
রাতে একা কেন বেরিয়েছিলেন আরজি কর হাসপাতালের মৃত চিকিৎসক ছাত্রী ! প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল ৷ তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ৷ তিনি বলেন, "রাতে বাইরে বেরিয়েছেন বলে কলকাতার একটি মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে যদি কোনও মহিলাকে নিরাপত্তা না দেওয়া যায়, তাহলে স্বাধীনতার 75 বছর পর আমরা কী করলাম ? স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায় ।"
তাঁর কথায়, "এই ধরনের মন্তব্য তারাই করে যারা মধ্যযুগীয় চিন্তা ভাবনায় অবস্থান করে ৷ আমি কখনওই চাইব না আমার মেয়েরা এই রাজ্যে থাকুক যেখানে প্রশ্ন উঠবে মেয়েরা একা কেন রাতে বেরোল ৷ মেয়েটা একা কেন গিয়েছিল, এই প্রশ্ন করার অধিকার কে দিয়েছে তাঁকে ৷ মেয়েরা অবশ্যই একা বেরবে ৷ কাজ করবে ৷ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে ৷"
আরজি কর-কাণ্ডে আরও অনেকে জড়িত রয়েছে বলে সুকান্ত মজুমদারের দাবি ৷ তিনি বলেন, "দোষীরা খুব শীঘ্র ধরা পড়ুক ৷ যাকে ধরা হয়েছে আমার মনে হয় না সে আসল অপরাধী । সে অপরাধীদের মধ্যে একজন হতে পারে । শুধু ধর্ষণের জন্য এই খুন হতে পারে না । সংবাদমাধ্যমে জানতে পারছি, আগে তরুণী চিকিৎসকের ঘাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছে । আমরা সংবাদমাধ্যমে যা শুনছি, তাতে আগে থেকে আক্রোশ ছিল তাঁর উপর । কানাঘুষো শুনছি ড্রাগ র্যাকেট, সেক্স র্যাকেট চলত আরজি করে । ড্রাগ পাচার বা অন্য কোনও বিষয় জেনে গিয়েছিল বলেই হয়তো আক্রোশ থেকে খুন করা হয়েছে মেয়েটিকে ৷ এতে মুর্শিদাবাদের এক সাংসদের আত্মীয়ের জড়িত থাকার কথাও উঠে আসছে ৷"
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে সুকান্ত বলেন, "অধ্যক্ষকে নিয়ে কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদর যত্নে রাখেন, তা এবার বোঝা যাচ্ছে ৷ কারওকে এই ঘটনায় বাঁচানোর চেষ্টা করছেন ৷"