কলকাতা, 1 অগস্ট: দীর্ঘ সময় পর অবশেষে অবস্থান উঠল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের ৷ ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতি দুপুর পর্যন্ত 26 ঘণ্টা ঘেরাও করা হয়েছিল উপাচার্য নির্মাল্য নারায়ণ চক্রবর্তীকে ৷ তাঁকেও মুক্ত করলেন পড়ুয়ারা ৷
ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলন (ইটিভি ভারত) প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই ইউনিটের সেক্রেটারি বিতান ইসলাম বলেন, "18 জুলাই অ্যাডভাইজারি কমিটি আমাদের সঙ্গে বৈঠক করে, তখন ফি 178 শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় ৷ এই ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরা অবস্থানে বসেছিলাম ৷ দ্বিতীয়ত, কর্তৃপক্ষকে সরাসরি সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে এসে কথা বলতে হবে ৷ কোনও অ্যাডভাইজারি কমিটি আমাদের সঙ্গে কথা বললে, তা মানছি না ৷ এই দাবিতে আমরা 18 জুলাই থেকে অবস্থান করছিলাম ৷"
বুধবার সন্ধ্যায় উপাচার্যকে ঘেরাও প্রসঙ্গে এসএফআই নেতা বলেন, "গতকাল সন্ধ্যা 7টা থেকে আমরা ভিসিকে ঘেরাও করি ৷ চূড়ান্ত রেকমেন্ডেশন রিপোর্ট যাতে আমাদের হাতে দেওয়া হয়, সেই দাবিতে আমরা ছাত্রছাত্রীরা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম ৷ তিনি আমাদের সঙ্গে বসে তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷ এ নিয়ে লিখিত আশ্বাস চেয়েছিলাম ৷ উপাচার্য দিতে রাজি হননি ৷ এরপর তাঁকে ঘেরাও করে এসএফআই ৷ আজ দুপুর 2টো পর্যন্ত ঘেরাও ছিল ৷ শেষ 26 ঘণ্টার ঘেরাওয়ের চাপে পড়ে এই অ্যাডভাইজারি কমিটির সেক্রেটারি আমাদের জানান, স্থায়ী ভিসা না থাকার কারণে, এই ফি বাড়ানো হচ্ছে না ৷ 2024-25 শিক্ষাবর্ষে যে ফি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছিল, তা রদ করা গিয়েছে আন্দোলনের চাপে ৷"
তবে আন্দোলন এখানেই থামছে না, জানালেন এসএফআই ইউনিটের সচিব বিতান ইসলাম ৷ তিনি বলেন, "বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও স্থায়ী উপাচার্য নেই ৷ তাই এখনই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্সের ফি বৃদ্ধি হচ্ছে না ৷ কিন্তু আমাদের এই আন্দোলন চলবে ৷ কারণ পরে স্থায়ী উপাচার্য এলে ফের এই ফি বৃদ্ধি হতে পারে ৷"
প্রসঙ্গত, প্রায় 14 বছর পর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফি বৃদ্ধি হচ্ছিল ৷ ভর্তির জন্য প্রায় 4 হাজার টাকা লাগত ৷ কিন্তু নতুন ফি হিসাবে তা বেড়ে হচ্ছিল 7 হাজার 200 টাকা ৷ আর টিউশন ফি-এর সঙ্গে ল্যাব এবং প্রথম সেমিস্টার বাবদ যেখানে প্রায় 900 টাকা লাগত, তা এবার বেড়ে হওয়ার কথা ছিল প্রায় 2 হাজার 100 টাকা ৷ কিন্তু সেখানেই প্রশ্ন তুলেছিল বাম ছাত্র সংগঠন ৷ যে আর্থিক ঘাটতি রয়েছে তা সরকারের থেকে কেন নেওয়া হচ্ছে না ? তার সঙ্গে প্রাক্তন উপাচার্য অনুরাধা লুইয়া যে অর্থ মুখ্যমন্ত্রী থেকে আগে নিয়েছিলেন তার হিসাব কী হল ?