গঙ্গারামপুর, 2 সেপ্টেম্বর:সেপটিক ট্যাঙ্কে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হল 3 জনের। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে গঙ্গারামপুর থানার ভাদ্রা তারোপাড়া এলাকায়। স্থানীয়দের অনুমান, ট্যাঙ্ক থেকে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। এদিন এমন ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ৷
মৃত্যু এক নাবালক-সহ 2 জনের (ইটিভি ভারত) পুলিশ জানিয়েছে, মৃতরা হলেন মিস্ত্রি হান্নান মিয়া (35), শ্রমিক ভানু রায় (45) ও রোহিত মোল্লা (15)। সকলের বাড়ি একই এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকার বাসিন্দা মকবুল হোসেনের বাড়িতে সেপটিক ট্যাঙ্কের কাজ করছিল হান্নান মিয়া ও ভানু রায়। কাজ করার সময় হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা। সেইসঙ্গে রোহিত মোল্লা নামে এক কিশোরও অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে খবর। তাঁদের চিৎকারে ছুটে আসে এলাকার মানুষজন। এরপরেই অসুস্থদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে 3 জনকে। স্থানীয়দের অনুমান, ট্যাঙ্ক থেকে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। এদিন এমন ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর পুলিশ মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আমজাদ আলি বলেন, "সেপটিক ট্যাঙ্কে কাজ করার সময় ভিতর থেকে গ্যাস বেরনোর জন্যই হয়তো 3 জন মারা যায়। সম্ভবত ট্যাঙ্কের মধ্যে গ্যাস হয়ে যাওয়ার জন্যই হয়তো মারা গিয়েছে।"
এ বিষয়ে এলাকার আরও এক বাসিন্দা সাইদ সরকার বলেন, "ওখানে সাটারিংয়ের কাজ হচ্ছিল। সম্পূর্ণ বোঝা যাবে কী কারণে মৃত্যু হয়েছে 3 জনের। এবিষয়ে গঙ্গারামপুর মহকুমার পুলিশ অধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, ভাদ্রা এলাকায় সেপটিক ট্যাঙ্কে সাটারিংয়ের কাজ করার সময় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। কাজ করার সময় হয়তো গ্যাস হয়ে গিয়েছিল ভিতরে সেই কারণেই হয়তো মৃত্যু হয়েছে ৷ তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে সম্পূর্ণ বোঝা যাবে ৷ তদন্ত চলছে ৷
নিউটাউনের সেপটিক ট্যাঙ্কে মিলল চার কেজি টুকরো মাংস, চুল; বাংলাদেশি সাংসদের দেহাংশ ?