বর্ধমান, 2 অগস্ট: টানা বৃষ্টি ও ডিভিসির সেচখালে চাষের জল ছাড়ায় জলমগ্ন হয়ে পড়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার একাধিক এলাকা ৷ বর্ধমান শহর থেকে শুরু করে মেমারি, কাটোয়া, কালনা, রায়না, জামালপুর, আউশগ্রাম, ভাতার ও নিমো-সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টির কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে । ডিভিসি চাষের জল ছাড়ায় বাঁধ ফুটো হয়ে জামালপুরের আঝাপুরে জল ঢুকতে শুরু করে । ফলে আঝাপুর এলাকা জলের তলায় চলে যায় । খবর পেয়ে ব্লক প্রশাসনের তরফে সেচ দফতরকে জানিয়ে লকগেট বন্ধ করে দেওয়া হয় ।
জলমগ্ন বর্ধমানের অবস্থা দেখুন ইটিভি ভারতের পর্দায় (ইটিভি ভারত) এই বিষয়ে জামালপুর এলাকায় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে সেচখালের বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটা নজরে আসে । বহুদিন ধরে ওই বাঁধের ফাটল মেমামতি না হওয়ায় ফাটল বড় হচ্ছে । কিছুদিন আগে ক্যানেল সংস্কারের কাজ শুরু হলেও দু'দিকে কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে বাঁধানোর কথা থাকলেও সেই কাজ হয়নি ।
ভাতার বাজার সংলগ্ন বলগোনা ও মুরাতিপুর-সহ কয়েকটি এলাকার মানুষ গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে । বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে কার্যত অন্ধকার । ফলে কলে জল না আসায় পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে । বাড়িতে, দোকানে ও গোডাউনে জল ঢুকে যাওয়ায় অনেক জিনিসপত্রের ক্ষতি হয়েছে । ভাতারের কুমারুন গ্রামে গোয়াল ভেঙে ছ'টি গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে ৷ এছাড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে ।
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ত্রিপল বিলি করা হচ্ছে (ইটিভি ভারত) জামালপুর ব্লকের বিডিও পার্থসারথি দে বলেন, "বাঁধের ফাটল দিয়ে জল ঢোকার খবর পাওয়ার পরেই সেচ দফতরকে বিষয়টি জানানো হয় । বন্ধ করে দেওয়া হয় লকগেট । পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হয়েছে ।" এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক রাধিকা আইয়ার বলেন, "প্রচণ্ড বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়েছে । সেইসব এলাকার মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে । এছাড়া যেসব বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ত্রিপল ও শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে ।"