হুগলি, 1 সেপ্টেম্বর: নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু ৷ শুধু তাই নয়, পরিবারের লোকজন কাউকে কিছু না জানিয়ে দেহ সৎকারের চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ ৷ খবর পেয়ে শ্মশান থেকে দেহ তুলে নিয়ে গিয়ে ময়নাতদন্ত করল পুলিশ ৷ গ্রেফতার কিশোরীর জেঠু-সহ সাত জন । ধৃতদের রবিবার চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হয়। আদালত নাবালিকার জেঠুকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন । বাকিদের জেল হেফাজত হয় । মৃত কিশোরীর নাম মেঘনা মালিক (8) ৷ বাড়ি হুগলির দাদপুরের মধুবাগান গ্রামে ৷
হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে দাদপুর থানার গোস্বামী মালিপাড়ার শিরা গ্রামে আট বছর বয়সি দ্বিতীয় শ্রেণির এই ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় । পরিবারের লোকজন কাউকে কিছু না জানিয়ে তড়িঘড়ি মৃতদেহ সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে চলে যায় । সন্দেহ হওয়ায় গোস্বামী মালিপাড়ার বাসিন্দা সুখরঞ্জন মুখোপাধ্যায় পুলিশকে ফোন করে জানান শিরা গ্রামে এক ছাত্রীকে পরিবারের লোকজন মেরে ফেলেছে ও প্রমাণ লোপাটের জন্য শ্মশানে নিয়ে গিয়েছে ।
নাবালিকাকে হত্যা করে দেহ লোপাটের চেষ্টা ! গ্রেফতার জেঠু-সহ 7 - Minor Girl Unnatural Death
Minor Girl Beaten to Death: দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু ৷ নাবালিকার দেহ তড়িঘড়ি সৎকারের অভিযোগ ৷ খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় ৷
Published : Sep 1, 2024, 10:59 PM IST
খবর পেয়ে পুলিশ মধুবাগান গ্রামে শ্মশানে গিয়ে হাজির হয় । সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায় সাদা কাপড়ে মোড়া অবস্থায় একটি মৃতদেহ রাখা রয়েছে । শ্মশান যাত্রীদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ । সেই সময় তারা জানায় কিশোরী বাড়িতে গলায় গামছার সাহায্যে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে । যদিও তাদের কথা বিশ্বাস হয়নি পুলিশের। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ।
এই ঘটনায় দাদপুর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, মৃতার জেঠু কিশোরীকে মারধর করে মেরে ফেলে ৷ এরপর গামছা দিয়ে ঝুলিয়ে দেয় ৷ কিশোরীর মা-বাবা কেউই বাড়িতে ছিলেন না ৷ এই বিষয়ে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি ডি অ্যান্ড টি প্রিয়ব্রত বক্সি জানান, ঘটনার কথা জানতে পেরে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে । কীভাবে কিশোরীর মৃত্যু হল, কেন কাউকে না জানিয়ে দেহ সৎকার করে দেওয়া হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।