গোরখপুর (উত্তরপ্রদেশ), 5 জানুয়ারি: বিয়ের আসর বসে গিয়েছে। শুরু হয়েছে উপাচারের পালা। কনে জানালেন তাঁকে একবার শৌচাগারে যেতে হবে। এরপর থেকেই খোঁজ নেই তাঁর। শুধু তিনি নন, পরিবারের বাকি সদস্য়দেরেও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ! অভিযোগ, বিয়ের অনুষ্ঠান থেকেই গয়না ও টাকা-পয়সা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন কনে এবং তাঁর মা ৷ উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের খাজনি এলাকার ঘটনা ৷ তবে, এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি ৷
জানা গিয়েছে, বছর চল্লিশের কমলেশ কুমারের বাড়ি গোরখপুরের সীতাপুরের গোবিন্দপুরে ৷ প্রথম স্ত্রী মারা গিয়েছেন ৷ পেশায় কৃষক কমলেশ দ্বিতীয়বার সংসার করার সিদ্ধান্ত নেন ৷ ঘটকের মাধ্যমে বিয়ে পাকা করেন ৷ গত শুক্রবার ভারোইয়া শিব মন্দিরে তাঁর দ্বিতীয় বিয়ের আসর বসে ৷ বিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছিল ৷ পুরোহিত অর্ধেকের বেশি নিয়মকানুন পালনও করে ফেলেছিলেন ৷ নববধূর সাজে বিয়ের মণ্ডপে চলে আসেন কনে ৷ কিন্তু, বিয়ের মূল আচার-অনুষ্ঠান শুরুর আগে তিনি শৌচাগারে যাওয়ার কথা বলেন ৷ সেই মতো মণ্ডপ ছেড়ে সেদিকে যান ৷ কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ হয়ে গেলেও ফিরে আসেননি বলে অভিযোগ ৷
এরপরেই কমলেশেরে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন ৷ কিন্তু, কনে না তাঁর মায়ের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ৷ এমনকী সাজঘরে থাকা ব্যাগপত্র এলং টাকাও উধাও হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কমলেশ কুমার ৷ বিয়ের সমস্ত গয়না থেকে মেয়ের পক্ষের সব খরচের টাকা তিনিই দিয়েছিলেন বলে দাবি কমলেশের ৷ সেই সব নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন কনে ও তাঁর মা ৷
কমলেশ বলেন, "আমি চেয়েছিলাম বিয়ে করে দ্বিতীবার সংসার করতে ৷ কিন্তু, তার বদলে আমাকে নিঃস্ব করে দিয়ে চলে গেল ওরা ৷ আমি এবার কী করব ! ঘটককে 30 হাজার টাকা দিয়েছিলাম ৷ সেই টাকাও আমার গেল ৷" হতাশা ব্যক্ত করলেও, পুলিশে অভিযোগ জানাননি কমলেশ এবং তাঁর পরিবার ৷ এ নিয়ে দক্ষিণ গোরখপুরের পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র কুমার বলেন, "এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি ৷ যদি কেউ অভিযোগ জানান, তাহলে আমরা তদন্ত শুরু করব ৷"