পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

মুখ্যমন্ত্রীকে জনসাধারণের দানের গুণমান বিচার না-করার অনুরোধ সিনিয়র চিকিৎসকদের - Junior Doctors Protest

Senior Doctors on CM Statement Over Food Quality: সাধারণ মানুষের দানের গুণমান বিচার না-করার অনুরোধ সিনিয়র চিকিৎসকদের ৷ মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে এমনটাই জানালেন সিনিয়র চিকিৎসকরা ৷

Senior Doctors on CM Statement Over Food Quality
জনসাধারণের দানের গুণমান বিচার না-করার অনুরোধ সিনিয়র চিকিৎসকদের ৷ (ইটিভি ভারত)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 14, 2024, 7:45 PM IST

কলকাতা, 14 সেপ্টেম্বর: জুনিয়র ডাক্তারদের পাঁচদফা দাবিতে গত 35 দিন ধরে চলছে আন্দোলন ৷ যা এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে ধরনা মঞ্চে এসে পৌঁছেছে ৷ সেখানেই রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে পাঁচদিন ধরে চলছে তাঁদের অবস্থান ৷ আর আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন অগণিত মানুষ ৷ খাবার, জল, জামাকাপড়-সহ নানা সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করছেন সাধারণ মানুষ ৷

আজ সেই ধরনা মঞ্চে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন, সবাই যে খাবার দিচ্ছে, তা যেন না-খান জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ এবার মমতার এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হলেন সিনিয়র চিকিৎসকরা ৷ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁরা অনুরোধ করলেন, সাধারণ মানুষের এই দানের গুণগত মান বিচার না-করতে ৷ পাশাপাশি, জুনিয়র ডাক্তাররা সেই দানকে নতমস্তকে গ্রহণ করেছেন বলে জানান তাঁরা ৷

চিকিৎসক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সাধারণ মানুষ পাশে থেকে এইভাবে জুনিয়র ডাক্তারদের সাহায্য করছেন ৷ এটা আমরা নতমস্তকে গ্রহণ করেছি ৷ দয়া করে মাননীয়াকে বলব, তাঁদের এই দানের গুণগত মান বিচার না-করতে।" একই কথা শোনা যায় চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও ৷

অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার কথা বলেন ৷ যা নিয়েও সরব হয়েছেন চিকিৎসকরা ৷ চিকিৎসক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিচ্ছেন ভালো কথা ৷ কিন্তু, কাগজ কোথায় ? কাগজ ছাড়া কী করে বুঝব, উনি রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিলেন ! যদি, উনি সত্যিই জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে থাকেন, তাহলে যেভাবে সুপ্রিম কোর্টে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হচ্ছে, তা বন্ধ করা হোক ৷"

এ নিয়ে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, "ইউপিএ সরকার রোগী কল্যাণ সমিতির কথা বলেন ৷ 2005-06 সালে রোগী কল্যাণ সমিতি গঠন হয় ৷ নিয়ম ছিল, যে বিধানসভার হাসপাতাল, সেখানকার নির্বাচিত বিধায়ক এবং সাংসদ তার চেয়ারম্যান হবেন ৷ বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর, দেখলাম নবান্ন থেকে তালিকা আসছে, কে চেয়ারম্যান হবেন ? তাতে দেখা গেল, স্বেচ্ছাসেবী নাম দিয়ে তাঁদের দলের নেতা বা পরাজিত নেতারা চেয়ারম্যান হচ্ছেন ৷ এখন সেটা ভেঙে অধ্যক্ষদের মাথায় রাখবেন ৷ যারা এই 'থ্রেট কালচারের' অন্যতম ছিল ৷ এটা আমরা চাই না ৷"

এছাড়াও, এই আলোচনা কতটা সদর্থক হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা ৷ চিকিৎসক মানস গুমটা বলেন, "আজকে উনি এসে নিজের কথাগুলি বলে গেলেন ৷ একবারও জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি শুনতে চাইলেন না ৷ উনি যদি আজকে এসে কিছু দাবিও মেনে নিতেন, আমরা বুঝতাম সদর্থক আলোচনা হলে চলেছে ৷ কিন্তু, আজকের পর কি করে বুঝবো,এই আলোচনা সদর্থক হবে ৷ উনি একপাক্ষিক কথা বলে চলে গেলেন ৷"

ABOUT THE AUTHOR

...view details